যখন একটা প্রাণ আরেকটার প্রাণের কষ্ট অনুধাবণ করতে পারে- সহমর্মিতার গল্পগুলো সেখান থেকেই শুরু হয়। এবং সেটা পাবার পরে অধিকাংশ মানুষ ভুলে গেলেও, বাকী প্রাণীরা নিজেদের মতো করে ঠিকই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তেমনই ৭টি অবিশ্বাস্য ঘটনা নিয়ে আমাদের আজকে ফিচার...

একটা কাঠবিড়ালির গল্প

২০০৯ সালের ঘটনা। ব্র্যান্টলি হ্যারিসন নামে এক ভদ্রলোক হিংস্র পেঁচার কাছ থেকে একটা কাঠবিড়ালিকে বাঁচান। তার পরিবারের সবাই মিলে পাঁচ মাস ধরে সেবা শুশ্রুষা করে সেই কাঠবিড়ালিকে সুস্থ করে তোলেন। তারা তার নাম দেন বেলা। এবং বেলার বাসস্থানে রেখে আসেন। সেই থেকে প্রতিদিন কাঠবিড়ালিটা হ্যারিসন পরিবারের সাথে দেখা করে যায়...

সেই কাঠবিড়ালিটা 

একটা রাজহাঁসের গল্প

রাজহাঁসেরা সাধারণত একটু আক্রমনাত্মক আচরণের হয়। তেমনই একটা রাজহাঁস যখন কাঁটাতারে আটকা পড়লো। গলাটা এমনভাবে সেখানে আটকালো যে হাঁসটা নড়তেও পারছিলো না। তখনই রিচার্ড উইজ নামের একজন সে হাঁসটাকে মুক্ত করেন। তারপর যা ঘটে সেটা তাকেও বেশ অবাক করে। হাঁসটা তার সেই ক্ষত মাথা ও গলা দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। হয়তো এটাই ছিলো তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা...

সেই রাজহাঁসটা 

একটা বন্য হরিণের গল্প 

ঘটনাটা নরওয়ের। শিকারিদের কাছে থেকে একটা বন্য হরিণকে বাঁচানোর পর, সেই হরিণটা প্রতিদিন এক বৃদ্ধার বাড়িতে এসে দেখা করে যায়। বৃদ্ধাটাও পরম মমতায় হরিণটাকে খেতে দেয়। এভাবেই চলছে এই সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার গল্প...

সেই বন্য হরিণটা 

একটি কুকুর ও তিনটা হরিণের বন্ধুত্বের গল্প

প্রচন্ড ঝড়ে আটকা পড়ে যায় একটা হরিণ, সাথে তিনটা বাচ্চা। উপায় না দেখে কাছের এক বাড়িতে ঢুকে যায় আশ্রয়ের আশায়। বাড়ির মানুষটাও নিরাশ করে না। ঝড় থেমে গেলে আবার তারা চলেও যায়। এরই মাঝে বাসার কুকুরটার সাথে সেই হরিণ সাবকের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কৃতজ্ঞ সে হরিণটা নিয়মিত ফেরত আসে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য... 

কুকুর আর হরিণের সেই বন্ধুত্বের গল্প 

একটা ক্যাঙ্গারুর গল্প

অস্ট্রেলিয়ার ঘটনা। পাঁচ মাস বয়সী একটা ক্যাঙ্গারুকে পাচারকারীদের কাছ থেকে বাঁচায় এলিস স্প্রিংস এনিমেল শেল্টারের সদস্যরা। সেই থেকে সেখানে প্রতিদিন আসে সে। তাকে যারা বাঁচিয়েছিলো তাদের জড়িয়ে ধরে। দশ বছর ধরে এভাবেই চলছে...

সেই ক্যাঙ্গারুটা 

একটা জাগুয়ারের গল্প

ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর একটা টিম আমাজনের জঙ্গল থেকে একটা বাচ্চা জাগুয়ারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার পর, তাদের কাছেই বেড়ে উঠতে থাকে। কোনোভাবেই তাকে আর জঙ্গলে রেখে আসা যায়নি। সে বারবার ফিরে আসে তাদের কাছে, এখন সেই জাগুয়ারটি ঐ টিমের অবিচ্ছেদ্য অংশ...

সেই জাগুয়ারটা 

আগুনে পোড়া এক কুকুরের গল্প

জেক নামের একটা বাচ্চা কুকুর। আগুনে তার শরীর পুড়ে যায়। সেখান থেকে উইলিয়াম লিন্ডার নামের এক ফায়ারসার্ভিস কর্মী তাকে উদ্ধার করে। ঐ কুকুরটাকে আর ত্যাগ করতে পারেনি সেই দমকল কর্মী। ফলাফল, জেক বেড়ে উঠেছে উইলিয়ামের কাছে। সঙ্গ দোষে লোহা নাকি ভাসে, ঠিক সেভাবেই জেকও পুরোদস্তুর দমকল কর্মী হয়ে উঠেছে। তার এখন ফায়ার সার্ভিসের ব্যাজও আছে। নিজেই আগুন থেকে উদ্ধার হওয়া সেই কুকুরটা এখন অন্যদেরকে উদ্ধার করে চলেছে আগুন থেকে... 

সেই আগুনে পোড়া কুকুরটা- ছোটবেলা ও বড়বেলার ছবি 

 

(ব্রাইটসাইডের আর্টিকেল অবলম্বনে)

আরো পড়ুন-
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা চলচ্চিত্রের ব্র‍্যান্ড অ্যাম্বাসেডর
এখন ভিনদেশীরা বলায় যদি নীতিনির্ধারকদের ঘুম ভাঙে!

আজকের এই দুর্দিনের জন্য তো আপনিও দায়ী!

শূন্যতার কতখানি হাহাকার মানুষকে এমন নির্লিপ্ত করে তোলে?

শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা