সাকিব-মুশফিক ব্যাট নিলামে তুললেন, গালি খেলেন। এক ভক্ত সাকিবের ব্যাট বিশ লাখ টাকায় কিনলেন, তিনিও হলেন ট্রলের শিকার। অথচ আফ্রিদি মুশফিকের ব্যাট কেনায় কেউ কেউ পারলে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিয়ে দেয়!

সাকিব ব্যাট নিলামে তুলেই একদফা গালি হজম করলেন। তার কি টাকার অভাব হইসে? তার ব্যাংকে টাকা নাই? ব্যাট বেচা লাগবে ক্যান? শুধু এটেনশন কামানোর ধান্দা!

সেই ব্যাট বিশ লক্ষ টাকায় এক প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই কিনে হলেন আরেকদফা ট্রলের শিকার। নিজ চোখে প্রথম আলোর কমেন্ট গুলা পড়েছিলাম। এই ব্যাটের দাম তো ১০০০ টাকাও হবেনা! কতবড় বলদ হলে ২০ লক্ষ টাকায় কিনসে! সবই নাম কামানোর ধান্দা। সাকিব আসলে তারা ফার্মের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দিতেই এই ব্যাট বেচার নাটক করসে- এমন কমেন্ট দেখলাম হাজার হাজার!

মুশফিকও ব্যাট নিলামে তুলে গালি আর ট্রল উপহার পেলো। তার ব্যাংকে কি টাকা নাই? ব্যাট বেচা লাগে কেন? কিন্ত যেই না আফ্রিদি ঐ ব্যাট ১৭ লাখ টাকায় কিনলো ব্যাস! প্রথম আলোর কমেন্টে, করোনার গ্রুপগুলাতে হাজার হাজার মানুষ প্রশংসা ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে আফ্রিদিকে! হোয়াট ইজ দিস কোলাভেরি ডি??

আফ্রিদি ১৭ লাখ টাকা দিসে ভালো কথা, তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্ত একই কাজ আগে যখন এক বাঙালী করলো, সেই ডেমোগ্রাফিক, সেইম আমজনতা তখন ট্রোল আর গালিই দিচ্ছিলো! আর মুশফিক ব্যাট নিলামে না তুললে আফ্রিদি মহানুভবতা দেখাতো কিভাবে? অথচ সেটার জন্য মুশফিক গালিই হজম করেছে, তীব্র ট্রলের শিকার হয়েছে।

মাঝে দিয়ে হুমায়ূন ফরিদির চশমাও নিলামে বিক্রি হলো, সেখানেও ম্যাক্সিমাম কমেন্ট ছিলো ট্রলধর্মী- এই পাপীর চশমা কোন ভোদাই কিনসে এত টাকায়! তাহলে ভালোবাসা, প্রশংসা শুধু এই একটা সুযোগের জন্যই অপেক্ষা করছিল? সকল উচ্ছ্বাস, ভালোবাসার দাবীদার শুধু আফ্রিদিই হলেন, আগের সবাই ভোদাই, এটেনশন সিকার?

আমাদের দেশের আমজনতারে যত দেখি, যত এক্সপ্লোর করি তত অবাক হই! ৪৯ আগের মুক্তিযুদ্ধ নামের 'গণ্ডগোল'টা যে কেন হয়েছিল!


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা