যে আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাও কম হয়ে যায়!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
ভালোবাসার এ গল্পগুলো হারাতে দিও না!
তাঁরা কয়েকজন আলেম, স্বেচ্ছায় নিজেরা মিলে একটা টিম তৈরি করেছে, টিমের কাজ করোনায় আক্রান্ত মৃতের জানাজা ও দাফন ইসলামিক নিয়মে পরিচালিত করা। করোনা আতংকে আমরা দেখেছি নানান স্থানের অনেক অনেক অমানবিক চিত্র, গোরস্থান আটকে দেয়া, হাসপাতাল ভেঙ্গে ফেলা, সিটের অভাবে এ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু, পরিবার পরিজনহীন অবস্থায় নিঃসঙ্গ দাফন। এমনকি পরিবারের সদস্যরা মৃত বাবার মুখ পর্যন্ত দেখতে পারেনি, তাঁরা জানেও না কিভাবে কবর হয়েছে।
একটি মুসলিম পরিবারে কাছে সঠিক নিয়মে জানাজা আর দাফন যে কত বড় বিষয় কেবল মাত্র ভুক্তভোগী পরিবার তা জানে। সেই সময় কয়েকজন আলেম এগিয়ে এসেছে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আলেমদের তৈরি টিমের নেতৃত্বে আছেন একজন মাওলানা, তার নাম গাজি ইয়াকুব। তিনি বলেন, 'অনেক দেশে করোনা আক্রান্ত মুসলমানদের দাফন ও জানাজায় সংকট তৈরি হয়েছে, ভয়ে কেউ কাছে যেতে চায় না, আমরা চাই না আমাদের দেশে এমন সংকট হোক। আমরা তাই এই দল তৈরি করেছি, ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী একজন মুসলমানকে পরিপুর্ন মর্যাদায় আমরা জানাজা আর দাফনের ব্যবস্থা করবো, যদি প্রয়োজন হয় আমাদের জানালে আমরা কাফনের কাপড়ও নিয়ে আসব।'
এমন একটি টিমের কথা শুনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ষাট থেকে সত্তুর জন আলেম স্বেচ্ছায় এই টিমে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
রূপকথার মতো মনে হলেও গল্পটি সত্যি। এই গল্পটি আমাদের আলেম সমাজের যাদের নিয়ে সুযোগ পেলেই আমরা অতি বুদ্ধিমানরা মজা লুটি, কৌতুক করি, তাদের ধর্ম ভীরুতা নিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি। তাঁরা বরাবর নীরব থাকে, সেজদায় সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে, কোরআনের পাতায় মুক্তি খোঁজে, কিন্তু কর্তব্য এড়িয়ে যায় না। তাদের চরম বিদ্বেষকারীর জানাজার নামাযে তাঁরা ইমামতির দায়িত্ব নিয়ে সামনে দাড়িয়ে যায়। নামায শেষে জনতার উদ্দেশ্যে ভেজা চোখে বলে, আপনারা মৃতের ব্যবহারে মনে কষ্ট রাইখেন না, তাকে ক্ষমা করে দিয়েন। করোনার এই নিষ্ঠুর সময়েও তাঁরা ঠিকই সাহায্য করতে ছুটে এসেছে।
মানবিকতার এই গল্পগুলো চলমান মহাপ্রলয়ে সম্মিলিত লড়াইয়ের মূল প্রেরণা, শক্তির রসদ। জানাজা, দাফন কার্যে আলেমদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ০১৯২০ ৭৮১৭৯২