এক দশক ধরে চলা যুদ্ধে নিখোঁজ হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার শিশু। কী ঘটেছিল এই নিষ্পাপ শিশুদের ভাগ্যে? গিনিয়া এবং লাইবেরিয়ার সীমান্তে সিয়েরা লিওনের হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে শরনার্থী হিসেবে। কেন?

সিয়েরা লিওন, পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক সৈন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় যে দেশটিতে বর্তমানে অবস্থান করছে। অনেকের কাছেই তাই এই দেশটির নাম বেশ পরিচিত। সিয়েরা লিওনের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে এর খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে হীরা এই দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এছাড়াও রয়েছে অন্যতম পণ্য টাইটানিয়াম ও বক্সাইট, অন্যতম প্রধান পণ্য সোনা, এবং রয়েছে রুটাইল এর পৃথিবীর বৃহত্তম মজুদের একটি অংশ। তবে এত মূল্যবান সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যের ফেরে এই দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করে চলেছে নাজুক অবস্থা।  

১৯৯১ থেকে ২০০১ সালে সিয়েরা লিওনে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেটা ছিল বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় গৃহযুদ্ধ। কী কারণে সংঘটিত হয়েছিল এই গৃহযুদ্ধ? জাতিগত বিদ্বেষ? উত্তর–উপনিবেশ প্রভাবিত শাসনব্যবস্থা? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা? এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ নিহত এবং পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। কিন্তু কেন? এক দশক ধরে চলা এই যুদ্ধে নিখোঁজ হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার শিশু। কী ঘটেছিল এই নিষ্পাপ শিশুদের ভাগ্যে? গিনিয়া এবং লাইবেরিয়ার সীমান্তে সিয়েরা লিওনের হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে শরনার্থী হিসেবে। কেন? 

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক গ্রেগ ক্যাম্বেল সিদ্ধান্ত নেন সরেজমিনে দেশটিতে যাবেন সশরীরে। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি সিয়েরা লিওনে যান ২০০১ সালে। যাওয়ার পর দেশটির করুণ অবস্থা দেখে তিনি চমকে উঠেন! পথে প্রান্তরে এমন কোনো জায়গা নেই যা যুদ্ধের চিহ্ন বহন করছে না। দীর্ঘদিন সরেজমিনে তদন্তের পর তার অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০২ সালে একটি বই প্রকাশ করেন তিনি। যে বইটির নাম ছিল, "Blood Diamond – Tracing the deadly path of the world’s most precious stones"... 

হ্যাঁ, অবশেষে তিনি তার প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছিলেন যা তিনি লিপিবদ্ধ করেন এই বইটিতে। এই বইটির আলোকেই চার্লস লিভিট লেখা শুরু করেন একটি সিনেমার চিত্রনাট্য এবং ২০০৬ সালে সেই চিত্রনাট্যের ভিত্তিতে পরিচালক এডওয়ার্ড জুইক নির্মাণ করেন "Blood Diamond" চলচ্চিত্রটি, যা তুলে আনে কর্পোরেট বেনিয়াদের ব্যবসায়ের আড়ালে নির্মমতার চাদরে ঢাকা গোপন একটি অধ্যায়!

মূল্যবান হীরা কিংবা ডায়মন্ডের প্রতি আদিমকাল থেকেই মানুষের তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। মানুষের কাছে কর্পোরেট বিজনেস টাইকুনদের কাছে সবচেয়ে দামী এবং মহামূল্যবান সম্পদের নাম হচ্ছে- হীরা! প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে, ছবিটির নাম ব্লাড ডায়মন্ড কেন? এই মোহনীয় হীরা যে কত রক্তপাতের কারণ আপনি সেটা ঘুনাক্ষুরেও কল্পনা করতে পারবেন না! হ্যাঁ, বলা হয়ে থাকে মানুষ হচ্ছে পৃথিবী নামক এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী অথচ হীরার মতো ঝকঝকে এক পাথরখন্ডের কারণে কত মানুষের মূল্যবান প্রাণ যে ঝরে গেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, মানুষের জীবনের চেয়েও মূল্যবান হচ্ছে হীরা। হীরা বেশ দামি একটা পদার্থ, দুনিয়াতে হীরার দুই তৃতীয়াংশ মজুদ রয়েছে রাশিয়া এবং আফ্রিকাতে। 

আফ্রিকার অনেক দেশে অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে খনিজ সম্পদ, কিন্তু পরিমাণের সীমাবদ্ধতার কারণে তার মূল্য চিন্তার বাইরে! যার কারণে এই মহামূল্যবান সম্পদকে নিয়ে বিবাদ বা গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবেই আফ্রিকার অনেক দেশেই গৃহযুদ্ধের মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এই হীরার খনিগুলো। দূর্নীতি এবং আইন শৃংখলার অবনতির কারণে আফ্রিকার প্রায় প্রতিটি দেশেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মাফিয়া এবং বিদ্রোহীগোষ্ঠী, যারা তাদের কার্যক্রমের ফান্ডিং করে এই হীরা বিক্রয়ের মাধ্যমে। হীরার খনিগুলোর মালিনাকানা তাই এদের হাতেই হাতে থাকে। উন্নত দেশগুলোর স্বার্থ হচ্ছে এখানে, অনেক কম মূল্যে তারা এই হীরা এসব জায়গা থেকে অবৈধ পন্থায় এই মাফিয়া গ্রুপগুলোর সাহায্যে নিয়ে আসতে পারে। 

দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছে এতে। এক পক্ষ অল্প মূল্যে পাওয়া এই হীরে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি করে সমাজের ধনকুবেরদের কাছে, আরেকপক্ষ পায় মূল্যবান অস্ত্র। ফলাফলস্বরূপ দুই পক্ষই নিজেদের স্বার্থের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই গৃহযুদ্ধ জিইয়ে রাখে। এতে কিছুসংখ্যক মানুষ লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় অসংখ্য সাধারণ মানুষ। যারা জানে না হীরার মানে, যারা জানে তথাকথিত সভ্য দেশের মানুষগুলোর কূটচাল। তারা শুধু চোখের সামনে দেখে, পরিবারের প্রিয় মানুষটার মৃত্যু। তাদের সন্তানদের অপহরণ করে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে অল্প বয়সেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অস্ত্র। 

এই মূল্যবান ডায়মন্ড জোগাড়ের জন্য মানুষদের ধরে এনে দাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হীরার খনিগুলোতে। দিনরাত অমানুষিক ভাবে তাদের খাটানো হচ্ছে হীরা উত্তোলনে। কেউ হীরা তোলার কাজে অসম্মতি জানালে তার কপালে নেমে আসে মৃত্যু। সেজন্যই এই ডায়মন্ডের নাম দেয়া হয়েছে "ব্লাড ডায়মন্ড"। এই ব্লাড ডায়মন্ডকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ রোমহর্ষক এবং হৃদয়বিদারক। কারণ এতে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষের অশ্রু, দুঃখ এবং মৃত্যুর করুণ গল্পগাথা। 

ঘটনার সময়কাল ১৯৯৯ সাল। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে হঠাৎ করে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে শুরু করে। সিয়েরা লিওনে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন রেভল্যুশনারি ইউনাইটেড ফোর্স বা আরইউএফ হঠাৎ করে শেঞ্জি গ্রামে ভয়াল আক্রমণ চালায়। হীরার খনিগুলো থেকে হীরা উত্তোলন করতে হবে, আর তাতে শ্রমিক হিসেবে চাই মানুষ। অসংখ্য মানুষ লাগবে। শুধু হীরাই না, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গেলেও মানুষের বিকল্প নেই। তাই আরইউএফ এই গ্রামে হামলা চালায় মানুষ অপহরণের জন্য। অনেককে অপহরণ করে হীরা উত্তোলনের কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। 

যারা একটু শারিরীকভাবে শক্ত সামর্থ্য তাদেরকে লাগিয়ে দেয়া হয় যুদ্ধের কাজে। ভাগ্যের ফেরে তাদের হাতে অপহৃত হয় সলোমন সলোমন (জিমন হানসো), বিদ্রোহী সংগঠনটি তাকে হীরা উত্তোলনের কাজে লাগিয়ে দেয়। সলোমন জানে না তার ছেলে দিয়া এবং তার পরিবারের অবস্থান। জানে না তারাও একইভাবে অপহৃত আছে কিনা। তার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা ধরা পড়েনি। হয়তো তারা পালাতে পেরেছে শেষ পর্যন্ত। একদিন কাজের ফাকে সুযোগ বুঝে সলোমন একটা বড় আকারের হীরা লুকিয়ে ফেলে। হীরার আকৃতি দেখেই সলোমন বুঝে গিয়েছিল এর বাজারমূল্য কতোটা আকাশছোঁয়া হতে পারে! কৌশলে সে এটা লুকিয়ে ফেলে, পালাতে গিয়েও পালাতে পারে না। সেনাবাহিনী আর্মিতে আক্রমণ করে, অন্য সবার মতো সলোমনের ঠাই হয় জেলে।

দৃশ্যপটে হঠাৎ করে এসে হাজির হয় ড্যানি আর্চার। এই ড্যানি আর্চারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমাদের সবার প্রিয় অস্কারজয়ী অভিনেতা লিউনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। জাতিতে সে আফ্রিকান হলেও শ্বেতাঙ্গ। তার পেশা হীরা পাচার করা। লুকিয়ে হীরা পাচার করতে গিয়ে সীমান্তে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ড্যানি। কী আর করা? তারও ঠাই হয় জেলে। আর ঠিক সেই জেলেই তার সাথে পরিচয় হয় সলোমনের সাথে। সলোমনের কাছে সে জানতে পারে মূল্যবান সেই হীরক খন্ডের কথা। ড্যানি হচ্ছে ধূর্ত শেয়াল, দীর্ঘদিন ডায়মন্ড স্মাগলিং এর কাজে জড়িত থেকে সবকিছুর নাড়িনক্ষত্রই সে জানে। 

সলোমনের মুখে সেই হীরক খন্ডের কথা শুনে ড্যানির চোখ চকচক করতে থাকে, মুখে ফুটে ওঠে শয়তানি হাসি। সে সলোমনকে তার পরিবার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিয়ে ডায়মন্ডটি পাওয়ার অভিযানে নেমে যায়। এর মধ্যে আর্চারের সাথে এক আমেরিকান সাংবাদিক ম্যাডি বয়েনের (জেনিফার কনেলি) সাথে পরিচয় হয়। যে একটা ভালো গল্প জোগাড়ের জন্য যে কোনো কিছু করতে পারে। ম্যাডি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আর্চার এবং সলোমনকে সাহায্য করে। এখন হীরক খন্ড খুঁজে পেলেই তো কাজ শেষ না। সেটা যতক্ষণ ইউরোপের কর্পোরেট বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়া না যায় ততক্ষণ সেটার মূল্য শূণ্যই বলা চলে। হীরার বাজারকে নিয়ন্ত্রন করে এরকম এক কোম্পানির নাম হচ্ছে "ভ্যান ডি ক্যাপ"। ম্যাডির সহায়তায় তারা যোগাযোগ করে এই কোম্পানির সাথে। 

প্রশ্ন এখন অনেক গুলো। ড্যানি, সলোমন, ম্যাডি কি শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায় গোলাপি রঙ এর সেই অনিন্দ্য সুন্দর ব্লাড ডায়মন্ডটা? সলোমন কি শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায় তার পরিবারকে? ব্লাড ডায়মন্ডের পেছনের নির্মম ইতিহাস শেষ পর্যন্ত কি ম্যাডি জানাতে পারবে মানুষকে? উত্তর পাবার জন্য ১৪৩ মিনিটের এই সিনেমাটি দেখে ফেলতে হবে দর্শককে। 

২০০৬ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রকাশনার সাক্ষাতকারে ছবির পরিচালক এডওয়ার্ড উইক বলেন “গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলারের হীরা আমদানি করেছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের অর্ধেক আমদানির সমান। আমি লক্ষ্য করেছি উন্নয়নশীল দেশের সম্পদ শুধুমাত্র আমাদের বিলাসিতার জন্যে কীভাবে শোষিত হয়, কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর কোটি কোটি মুনাফা অর্জিত হয় এসব দেশের শ্রমিকের হাত দিয়ে যাদের মজুরী দৈনিক এক ডলারেরও নিচে।” যে কারণে সিয়ারা লিয়নের একজন হীরার খনির শ্রমিকের মুখে বলতে শোনা যায় “আমরা হীরা উৎপাদন করি কিন্তু একটা সাইকেল কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই। এই দেশের ভূমি আমাদের, সবকিছু আমাদের, তবু কিছুই যেন আমাদের না।” 

এবার অভিনয়ের প্রসঙ্গে আসা যাক। মুভির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও , জিমন সোনহাও এবং জেনিফার কনেলি। লিও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন একজন ডায়মন্ড স্মাগলারের চরিত্রে। শুরুর দিকে রুক্ষ কঠিন অভিব্যক্তি দেখে মনে হবে, এই মানুষটা ভীষণ স্বার্থপর, স্বার্থের জন্য যে কোনো মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়াটা যার কাছে কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু সিনেমা যত সামনে আগাতে থাকে ততোই তার পাথর কঠিন মনের কোণে লুকিয়ে থাকা কোমল অংশটা প্রস্ফুটিত হতে থাকে। নির্দয় মনের আড়ালে মানুষের জন্য তারও যে একটা মায়া কাজ করে সেটা লিও তার অসামান্য অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন দর্শকদের। 

সিনেমার ক্লাইম্যাক্সে লিও আর জিমনের একটা কথোপকথন আছে, যে দৃশ্য এবং সংলাপগুলো দেখলে চোখের অশ্রু ধরে রাখাটা প্রায় অসম্ভবই হয়ে পড়ে। সলোমন রূপি জিমনের অভিনয়ের প্রশংসা যতই করবো, তার শেষ হবে না। ছবির কিছু অংশে লিওর চেয়েও সপ্রতিভ অভিনয় করেছেন জিমন। শুধুমাত্র চোখের মাধ্যমে যে এক্সপ্রেশনগুলো তিনি দিয়েছেন তাই যথেষ্ঠ তার অভিনয় প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য। জেনিফার কনেলির স্পেস কম ছিলো। তার মাঝেও তিনি ছিলেন উজ্বল। একজন সাহসী সাংবাদিকের চরিত্রে তিনি পুরোপুরি সফলই ছিলেন বলা যায়।

লিওনার্দো এবং জিমন দুজনেই তাদের অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অস্কারে বেস্ট অ্যাক্টর ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পান। মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে অস্কার নমিনেশন পায় এই ছবিটি, যদিও অস্কার পায়নি শেষ পর্যন্ত। চলচ্চিত্রটি যখন মুক্তি পায়, সেই সময়টাতে ইউরোপের ডায়মন্ড মার্কেটে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ডে বিয়ার গ্রুপের। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর মানুষ যখন ডায়মন্ডের পেছনের রক্তাক্ত ইতিহাস জানতে পারে, তখন দলে দলে অনেকেই ডায়মন্ডের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ডে বিয়ার গ্রুপের মার্কেট শেয়ার আশংকাজনক হারে কমে যায় এতে। আইএমডিবিতে ৮, মেটাক্রিটিকে ৬৪%, রোটেন টমেটোজে ৯০% ফ্রেশ রেটিং পাওয়া ১৪৩ মিনিটের এই সিনেমাটি সবার কাছেই ভালো লাগবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা