ইউটিউবে আপনার সবচেয়ে পছন্দের এন্টারটেইনমেন্ট ভিত্তিক চ্যানেল কোনটা? প্রশ্নটা আমি আমার ভাই বন্ধু মহলে রেখেছিলাম। তাদের প্রায় সবার উত্তর, কোনো চ্যানেলই ভালো লাগে না এখন আর। সব একঘেয়ে। একই রকম আইডিয়া একজন শুরু করলে সেই আইডিয়া কপি পেস্ট করে অন্যরা কন্টেন্ট বানায়।

একসময় সালমান মুক্তাদিরদের 'ঢাকা গাইজ' সিরিজ কিংবা কোনো কোনো চ্যানেলের বাংলা ফানি ভিডিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কন্টেন্টের বেঞ্চমার্ক হয়ে গিয়েছে ওই ঘরানার কন্টেন্ট। সবাই কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে পারেন না। নতুন আইডিয়াও খুঁজে পাওয়া যায় না। প্র‍্যাংকের নামে বিব্রতকর অনেক কন্টেন্ট দেখতে দেখতেও তারা বিরক্ত। ফলে, ইউটিউব থেকে বিনোদনমূলক কন্টেন্টের চেয়ে গান শুনতে তারা পছন্দ করেন।

সত্যি বলতে ইউটিউবের প্রথম প্রজন্মের হিট কন্টেন্ট মেকারদেরকে এখন নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ করতে কদাচিৎ দেখা যায়। রোস্টিং, বাস্টিংয়ের নামে ইউটিউবে একধরনের অস্থিরতাও দেখা যায় ইদানিং। আবার এর বিপরীত একটা চিত্রও আছে। কিছু কিছু চ্যানেল আছে, যেখানে ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ভালো কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সেই চ্যানেলগুলো সর্বমহলে হয়ত পরিচিতি পেয়ে ওঠেনি সেই অর্থে। কিংবা এভাবে বলা যেতে পারে, একটা সাধারণ মানের কন্টেন্টকে আমরা অনেক সময় মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ পেতে দেখি। কিন্তু কিছু কিছু 'আন্ডাররেটেড' চ্যানেল হয়ত তারচেয়ে বহুগুণে বুদ্ধীদীপ্ত সৃজনশীল অথেনটিক কন্টেন্ট তৈরি করেও আশানুরূপ সংখ্যক দর্শকের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

এমনই একটি চ্যানেলের কথা না বললেই নয়, যে চ্যানেলটির নাম 'বাটফিক্স' / ButtFixx। আমি বাটফিক্স চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করেছি বছর তিনেক হলো। যদিও এই চ্যানেলটির শুরু অনেক আগে। ২০১০ সালের দিকে চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করে। এই চ্যানেলটির কন্টেন্টগুলো প্রকাশের তারিখ একনজরে দেখলে লক্ষ্য করা যায়, অনেক দীর্ঘবিরতি দিয়ে তারা নতুন কন্টেন্ট মুক্তি দেন। বাটফিক্সের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা মৌলিকতা। নিজেদের একটা স্টাইল এই চ্যানেলটি তৈরি করতে পেরেছে। একটি ভিডিও দেখেই অনেকে হয়ত এই চ্যানেলটির পাড়ভক্ত হয়ে যান এবং অপেক্ষা করেন নতুন কোনো কন্টেন্টের জন্যে। এর পেছনে যে বিষয়টি প্রভাবক তা হলো- সৃজনশীল উপস্থাপনা, মজাদার বাক্য শব্দ দিয়ে বর্ণনা করার শক্তি, কন্টেন্টের উপস্থাপন এবং নিখাদ বিনোদনের অফুরন্ত উপাদানের উপস্থিতি।

'সিনেমাল' সিরিজের কথা বলতে পারি৷ বাটফিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্টগুলো এই সিরিজের। বাংলা সিনেমাকে নিয়ে অনেকরকম সারকাজম, রিভিউ, হাসি ঠাট্টার ছলে বাংলা সিনেমা নিয়ে বানানো কন্টেন্ট দেখে থাকবেন আপনি। বাটফিক্স বাংলা সিনেমা নিয়ে রিভিউধর্মী যে কন্টেন্টগুলো বানায় সেই সিরিজের নাম 'সিনেমাল'। আমি নিশ্চিত সিনেমা নিয়ে এই সিরিজের চেয়ে ভাল কোনো কন্টেন্টের উদাহরণ হয়ত কেউ দেখাতে পারবে না। সিনেমাল সিরিজ দেখেই আপনার জানতে ইচ্ছে করবে, কে বানায় এমন অসাধারণ কন্টেন্ট, 'মাল'টা কে?

বাটফিক্সের 'সিনেমাল' সিরিজটা দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে

কয়েকজন বন্ধুকে এই চ্যানেলের ব্যাপারে প্রথম যখন জানাই, তারা প্রথমে বলে তারা আগে জানতো না চ্যানেলটি সম্পর্কে। কিন্তু, সিনেমাল সিরিজ দেখার পর তাদের হাসির ব্যামো থামানো মুশকিল হয়ে গিয়েছিলো। শুধু 'সিনেমাল' সিরিজ নয়, এই চ্যানেল বাংলাদেশের প্রথম মকুমেন্টারি ওয়েব সিরিজ উপহার দিয়েছে। সিরিজটির নাম ছিল 'টিম পসিবল'। আমার প্রবল মন খারাপের সময় আমি টানা এই সিরিজ দেখে কী অপার আনন্দ পেয়েছি, তা বর্ণনা করা সম্ভব না। এর বাইরে 'বাট অফ থ্রোনস' নামে গেম অফ থ্রোনস সিরিজের ফাইনাল সিজনের রিভিউ এসেছিল বাটফিক্সে। যখন হাজার হাজার ফ্যান থিউরি এবং জল্পনা কল্পনা চলছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায় গেম অফ থ্রোনস নিয়ে, তখন 'বাট অফ থ্রোনস' সিজনের এপিসোডগুলোর বর্ণনা দিয়েছে সহজবোধ্য গল্পের আকারে অথচ সেখানে হিউমারও ছিল প্রবলভাবেই।

এই চ্যানেলে দেখেছিলাম 'দ্যা ফ্যানেরন' নামে একটি মাথা চক্কর দেয়া সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার শর্ট ফিল্ম। স্বভাবতই আপনি বুঝতে পারবেন, এই চ্যানেলের যিনি উদ্যোক্তা তিনি মারাত্মকরকম সিনেমাপ্রেমী এবং তার গল্পের ধারণা এবং উপস্থাপনা অস্থির ইউটিউবে স্বস্তি খুঁজে পাওয়ার জায়গা।

বাটফিক্স নামক এই চ্যানেলটির পেছনে কে আছেন? নিয়মিত ফ্যানদের অনেকেই জানেন তাকে। মানুষটার নাম রাহাত রহমান। আগাগোড়া এক সিনেমাপ্রেমী, গল্প যাকে টানে ভীষণরকম। তার সাথে বাটফিক্স নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়। তিনি বেশ আন্তরিকতার সাথে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানান আমাদের। জানতে চেয়েছিলাম, বাটফিক্স চ্যানেল শুরু করার পেছনের গল্পটা। রাহাত রহমান বলেন, 

'আসলে তেমন কোন লং টার্ম প্ল্যান নিয়ে চ্যানেলটি শুরু করা হয়নি। দুই একটি ভিডিও বানিয়ে আমি ফেইসবুকে দিয়েছিলাম ২০০৯ সালের দিকে, অনেকেই সেগুলো খুব পছন্দ করে। তখন ভাবলাম একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলা যেতে পারে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল পথচলা।'

আমার খুব আগ্রহের জায়গা ছিল সিনেমাল সিরিজটি। কেন? কারণ, একটা বাংলা সিনেমা ধরে তিনি রিভিউ দিতে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটা স্টোরিলাইন তৈরি করেন। সেই স্ক্রীপ্টে মূল সিনেমার ক্লিপের সাথে জুড়ে দেন আরো অসংখ্য সিনেমা থেকে নেয়া ভিডিও ক্লিপ। স্টোরিলাইনের সাথে অনেকগুলো সিনেমার ক্লিপ, এক্সপ্রেশন এবং বর্ণনা যেভাবে ব্লেন্ড হয়, এটা অসাধারণ মেধার পরিচায়ক। আমি প্রায়ই ভাবতাম, কীভাবে একটা মানুষ এমন মানের কন্টেন্ট বানাতে পারেন? কী পরিমাণ রিসার্চ তিনি করেন, কতগুলো সিনেমা দেখলে এরকম ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে সিনেমাকে দেখা যায়, কতটা সেন্স অফ হিউমার থাকলে এমন ভাবে বর্ণনা করা যায়! এই প্রসঙ্গে রাহাত রহমান জানিয়ে দিলেন 'সিনেমাল' সিরিজের এপিসোডগুলোর পেছনের গল্প।

'অন এ্যাভারেজ, একটি সিনেমাল এপিসোড তৈরি করতে অন্তত চার থেকে পাঁচটি সিনেমা পুরোটা দেখে সেখান থেকে একটি সিনেমা বাছাই করা হয়। যতদুর মনে পরে আট নম্বর এপিসোড তৈরির আগে সর্বোচ্চ আটটি সিনেমা দেখে মন মতো সিনেমা না পেয়ে অবশেষে বছর দুয়েক আগে অর্ধেক বানিয়ে ফেলে রাখা একটি এপিসোড নিয়েই আবার কাজ শুরু করি।' 

অবাক করা বিষয় হলো, এই পুরো প্রক্রিয়া তিনি একাই সামলান। এটা আরো চমক জাগিয়েছে, কারণ সিনেমাল সিরিজ দেখে কারো মনে হতেই পারে এর পেছনে হয়ত বিশাল রিসার্চ টিম আছে। কিন্তু আসলে তা নয়। এর পেছনে কারণ জানতে গিয়ে জানা গেল আরেকটা প্রশ্নের উত্তর, কেন সিনেমাল সিরিজের এপিসোডগুলো এতো দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আসে.. 

'সিনেমাল সিরিজের স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে সব কিছুই আমারই করা। আমার মনে হয় এই ফরম্যাট নিয়ে কোলাবোরেশন বা টিমওয়ার্ক এর মাধ্যমে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। প্রসেসটা হলো এমন, প্রথমে বেশ কয়েকটি সিনেমা দেখে একটি সিনেমা বাছাই করা হয় সেটির ‘পটেনশিয়াল’ নির্ধারন করার মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে একটি কমন ধারনা ভাঙাতে চাই, তা হলো যে কোন সিনেমা নিয়েই আসলে একটি ভালো মানের সিনেমাল এপিসোড বানানো সম্ভব নয়। অনেক সিনেমাতেই একটি দুটি ইন্টারেস্টিং দৃশ্য থাকলেও সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ এপিসোড বানানোর মতো পর্যাপ্ত ম্যাটেরিয়াল থাকে না।

একটি সিনেমা নির্বাচনের পর সেটি দেখে নোট নেয়া হয়, তারপর সেই নোটের উপর ভিত্তি করে আবার সিনেমাটি দেখে দেখে একটা স্ক্রিপ্ট দাড় করানো হয়। তারপর ভয়েস রেকর্ড করে ভিডিও এডিটিং পর্ব শুরু হয়। এই পর্যায়ে স্ক্রিপ্টটি ছয়-সাত বার রিরাইট করা হয় কারণ অনেক কিছুই লেখায় কাজ করলেও ভিডিওর সাথে ঠিক মতো কাজ করে না। এই রকম বেশ কয়েক দফা স্ক্রিপ্ট রিরাইট, ভয়েস রিরেকর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে ফাইনালী একটি এপিসোড তৈরি হয়। অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ একটা প্রসেস বলেই খুব ঘন ঘন এই সিরিজের এপিসোড নির্মান করা সম্ভব হয় না।' 

দুর্ধর্ষ কোপা, সিনেমাল সিরিজের ভিডিও

যার এতোটা সখ্য সিনেমার সাথে, তার প্রিয় সিনেমা কী? এমন কোনো সিনেমা কি আছে যা তার মনে দাগ রেখে গেছে, এমন কোনো সিনেমা কি আছে যা তাকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করে? উত্তরটা জানা দরকার ছিলো এই কারণে যে, সিনেমার একটা স্পেশাল শক্তি আছে। যে শক্তি কাউকে কাউকে আজন্ম তাড়িয়ে বেড়ায়। গল্প বলায় উৎসাহ দিয়ে যায়। রাহাত রহমানও চেয়েছেন নির্মাতা হবেন। গল্প বলবেন। সেই গল্প বলার তাড়না এসেছে কীভাবে?

'মিকেল গন্ড্রি’র প্রথম সিনেমা "হিউম্যান নেচার" দেখে আমি যেহেতু সচেতন ভাবে ডিসিশন নেই যে সিনেমা নির্মাতাই হতে হবে, সেই অর্থে এটি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে বলা যায়। এছাড়া ইসাও তাকাহাতা’র "গ্রেভ অফ দি ফায়ারফ্লাইজ" বেশ ইমোশনালী আঘাত করেছিলো। আর রিসেন্টলী দেখা ডাচ ছবি "বোর্গম্যান" দেখে মনে হয়েছে এমন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে পারলে নিজেকে সার্থক ভাববো।' 

রাহাত রহমানের সেই মেধা আছে এটা নিয়ে সংশয় নেই। সিনেমায় নতুন গল্প, আইডিয়া এসবের অভাব তো রয়েছেই, একই সাথে ইউটিউব যেখানে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সময় মানুষ ব্যয় করে কন্টেন্ট দেখার জন্যে সেখানেও ভাল কন্টেন্টের অভাব। আবার ভাল হলেই যে সবাই প্রাপ্য মর্যাদা পায় এমন নয়। বাটফিক্স বেশ ভাল রুচিসম্পন্ন একটা দর্শকশ্রেণী পেয়েছে। তবে কন্টেন্টের বিচারে আরো হয়ত বেশি আলোচিত হবার দাবিদার চ্যানেলটি। এই প্রসঙ্গে রাহাত রহমানের ভাবনা কী? তিনি কি 'আন্ডাররেটেড' মনে করেন বাটফিক্সকে? 

'বাটফিক্স আন্ডাররেটেড মনে করি। তবে একই সাথে এটাও বাস্তব যে এই ধরনের কন্টেন্টের এই দেশে দর্শক খুব বেশি নেই। তাই এখানে এই চ্যানেলটি কখনো খুব মেইনস্ট্রিম পপুলারিটি পাবে বলেও মনি করি না। যদিও এটা মানি যে গড়পড়তা বাংলাদেশি ইউটিউব কন্টেন্ট থেকে বাটফিক্সের কন্টেন্ট একটু ভিন্ন, তবে এটার পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে বলে মনে করি না। আমার মনে হয় বেশিরভাগ দেশি ইউটিউব চ্যানেলের কন্টেন্ট মান আশানরুপ নয়। কারণ প্রথমত অরিজিনালিটির অভাব; বেশিরভাগ ভিডিওর নির্মানশৈলী ও চিন্তাধারা প্রায় একই রকম লাগে। দ্বিতীয়ত ‘প্রেজেন্টেশন’ বা ‘প্যাকেজিং’ এর ক্ষেত্রে চরম অবহেলা দেখা যায়, যে কারণে কন্টেন্টে এক ধরনের অপরিপক্কতার ছাপ থেকে যায়, যা সেই ২০১০-১২ সালের দিকে হয়তো মানা যেত, কিন্তু এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়।' 

রাহাত রহমান বাটফিক্সকে আন্ডাররেটেড মনে করেন

শেষ প্রশ্ন হিসেবে জানতে চেয়েছিলাম, একজন কন্টেন্ট মেকার হিসেবে আপনার কাছে ভাল কন্টেন্টের সংজ্ঞা কী? বাটফিক্স নিয়ে পরিকল্পনা কী? ইতিমধ্যে একটা ওয়েব সিরিজও বাটফিক্স চ্যানেলে দেখা গেছে। শর্টফিল্মও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে কন্টেন্টের জায়গা থেকে কীভাবে নিজেদের এক্সপ্লোর করতে চান? রাহাত রহমান উত্তরে চ্যানেলের নিয়মিত দর্শকদের জন্য একটা সুসংবাদ ও একটা 'দুঃসংবাদ' জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন,

'ভালো কন্টেন্টে তার মেকারের একটা নিজস্বতা বা সিগনেচার থাকা দরকার বলে আমি মনে করি। বাইরের দেশের একক ইউটিউবার বা কোনো একটি টিম পরিচালিত চ্যানেলগুলোর কন্টেন্ট যদি আমরা দেখি, দুই ক্ষেত্রেই কন্টেন্টে মেকার বা চ্যানেলের নিজ নিজ সিগনেচার থাকে, যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও যে কোনো কন্টেন্ট নির্মাণের পেছনে যথেষ্ট প্রিপারেশন এবং রিসার্চ থাকা খুবই জরুরী।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আমি বলবো কন্টেন্টের প্রেজেন্টেশন। আপাতত, সিনেমাল এর মতো আরো দুইটি নতুন নিয়মিত শো তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এছাড়া শুধু এন্টারটেইনমেন্ট বা কমেডি কন্টেন্ট এর বাইরেও ইনফরমেশনাল কন্টেন্ট তৈরির ইচ্ছা আছে। ওয়েব সিরিজ নির্মাণের কোনো প্ল্যান আপাতত নেই। এবং এই সুযোগে দর্শকদের আবারো জানাতে চাই যে 'টিম পসিবল' সিরিজটির নতুন কোনো সিজন আসার সম্ভাবনা নেই...'


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা