প্রথম আলোর এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। অথচ প্রথম আলোর সাংবাদিকদের নাকি বলা হয়েছে, এ নিয়ে ফেসবুকেও লেখা যাবে না। এমনকি এখন নাকি মিটিংয়ে ঢোকার আগে রিপোর্টারদের মোবাইল নিয়ে নেয়া হয়!

কখনো কখনো সত্য জানলে যে এতো কষ্ট পেতে হয় সেটা আগে বুঝিনি। করোনার এই সময়ে সাংবাদিকরা কেমন আছেন, তাদের ছাটাই করা হচ্ছে কিনা এসব বিষয় জানতে চেয়ে শুক্রবার রাতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। উত্তরে যা জেনেছি সেগুলো ভয়ঙ্কর। আমাদের সাংবাদিকদের নানা রকম সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু করোনার এই সময়ে কী ভয়াবহ সংকট আর বেদনা নিয়ে তাদের দিন কাটছে সেটা জেনে মনটাই খারাপ হয়ে গেছে। 

সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি এই কথা শুনে, করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে এক তৃতীয়াংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ও শীর্ষ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দৈনিক প্রথম আলো। এজন্য প্রথম আলোর সব বিভাগীয় প্রধানদের একটি চিঠি দিয়ে দ্রুত ছাঁটাই যোগ্য কর্মীদের তালিকা দিতে। ডেটলাইন বেঁধে দেয়া হয়েছে ২৯জুন। জুলাই থেকে ছাঁটাই কার্যক্রম শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বেতনও নাকি কমবে।

আমার প্রথমে ঘটনা বিশ্বাস হয়নি। আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান, ভালোলাগার প্রতিষ্ঠান, ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান প্রথম আলো। আমার জীবনের,আমার তারুণ্যের সেরাটা ১২ টা বছর কেটেছে প্রথম আলোতে। ২০০৫ থেকে ২০১৭। না এমন নয়, আমার অন্য কোন পেশায় যাওয়ার সুযোগ ছিল না। অনার্স-মাস্টার্স দুটোতেই আমার প্রথম শ্রেণী ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়াটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল না। চাইলে বিসিএস বা সরকারি চাকুরির লড়াইয়ে নামতে পারতাম। কিন্তু এসব দিকে না গিয়ে আমি ভালোবেসে সাংবাদিকতাকেই আমার পেশা হিসেবে নিয়েছিলাম।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান 

অবজারভার, বাংলানিউজ, বিডিনিউজ হয়ে ২০০৫ সালে আমি যোগ দেই প্রথম আলোয়। এরপর টানা ১২ বছর। কখন আমার দিন গেছে, কখন রাত গেছে বলতে পারবো না। কারণ ভালোবাসে কাজ করেছি। মতি ভাই আমাদের ভীষণ আদর করতেন। অসাধারণ একটা টিম ছিলো। কখনো কাজ করতে খারাপ লাগেনি। জীবনের তাগিদেই ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আমি হুট করে প্রথম আলো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমার লেখালেখি বা সাংবাদিকতা পুরোপুরি ছেড়ে দেইনি। প্রথম আলোর সাবেক সব সহকর্মীর সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক।

এর মধ্যেই কাল যখন হঠাৎ করে জানলাম, করোনার এই সময় প্রথম আলোর এক তৃতীয়াংশ কর্মী ছাটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। প্রথমে মনে হয়েছে, এটা গুজব। নানা সময় প্রথম আলোকে ঘিরে এসব গুজব ছড়ানো হয়। কারণ আমি প্রথম আলোর সহকর্মীদের স্ট্যাটাসে দেখেছি, করোনার সময় প্রথম আলো আর মতি ভাই সবার খোঁজখবর রাখছে।

সবার বাসায় ফল পৌঁছে দিচ্ছে। মাসুম ভাই আর সাবিহা আপার বিশাল বড় লেখা পড়েছি প্রথম আলো কীভাবে তাদের পাশে থাকছে। করোনার এই সময়ে কর্মীদের প্রতি এমন ভূমিকা দেখে ভালো লেগেছে। আমি জানি প্রথম আলো এমনই। তাহলে হঠাৎ করে কী এমন হলো যে এক তৃতীয়াংশ লোকের চাকুরি চলে যাবে? শুনলাম গত ঈদে নাকি তাদের বোনাসও দেয়া হয়েছে এক চতুর্থাংশ। আমি সত্যি বলছি খবরগুলো বিশ্বাস করিনি। কিন্তু পরে শুনতে পারি আসলেই নাকি ঘটনা সত্য।

কোনো কোনো বিভাগীয় প্রধান নাকি চিঠি হাতে পেয়ে দারুণ অস্বস্তিতে রয়েছেন। আমি নিজে একটা বিশাল টিম চালাই। আমাকে যদি বলা হয়, আপনার একশজন কর্মী থেকে একজনকে বাছাই করেন যাকে ছাটাই করা হবে আমি করতে পারবো না। কারণ আমি জানি কতোটা ভালোবেসে তারা কাজটা করে। প্রথম আলোর প্রায় প্রত্যেক সাংবাদিক এবং সহকর্মীকে আমি চিনি। একযুগের বেশি সসময় তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। 

এদের প্রায় প্রত্যেকেই দারুণ সৎ মানুষ। এদের প্রায় সবার অন্য কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা ভালোবেসে সাংবাদিকতাটা করে। মাস শেষে তাদের বেতনটাই তাদের সবকিছু। সেখানে যদি তাদের চাকুরি জলে যায়, তাদের বোনাস কমিয়ে দেয়া হয় তাহলে তারা যাবে কাথায়? আমি আরও কয়েকটা কথা শুনে অবাক হয়েছি। প্রথম আলোর সাংবাদিকদের নাকি বলা হয়েছে, এ নিয়ে কোথাও কথা বলা যাবে না।

ফেসবুকে লেখা যাবে না। এমনকি এখন নাকি মিটিংয়ে ঢোকার আগে রিপোর্টারদের মোবাইল নিয়ে নেয়া হয়। আমি কোনভাবেই এগুলো বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ এই প্রথম আলোর কথা আমি শুনিনি। আমার মনে আছে, ২০০৫ সালে প্রথম আলোয় যোগ দেওয়ার কয়েকদিন পর আমি সম্পাদককে কঠিন সব প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি অবাক হয়ে পরের মিটিংয়ে বলেছিলেন, এই অফিসের সবচেয়ে তরুণ সাংবাদিকটা আমাকে মুখের উপর এই কথাগুলো বলেছে এবং আমি মনে করি সে ঠিক বলেছে।

আমি আমার ১২ বছরের প্রথম আলোর জীবনে সবসময় তর্ক করেছি, প্রশ্ন করেছি, কোন অন্যায় দেখলে চিৎকার করেছি। আমার চীফ রিপোর্টার বা বার্তা সম্পাদক আমাকে মিটিং শুরুর আগে বলতেন, মতি ভাইকে রাগাইয়েন না। মিটিংয়ে এতো প্রতিবাদ কইরেনা না। কিন্তু আমি বলেছি। আমি করেছি। চাকুরি ছাড়ার আগেরদিনও আমি মতি ভাইয়ের সঙ্গে তর্ক করেছি, প্রশ্ন করেছি। মতি ভাইকে বলেছি, আরেকটা শরিফুল হাসান আপনি এতো সহজে পাবেন না।

সত্যি বলছি, এই যে সবসময় তর্ক করেছি, প্রতিবাদ করেছি আমার কখনো ভয় লাগেনি আমার চাকুরি চলে যাবে। বরং আমার মনে হয়েছে, মতি ভাই যৌক্তিক কথা শুনবেন। তিনি শুনেছেনও। আজকে যখন শুনি কেউ প্রতিবাদ করে না, মতি ভাইয়ের সামনে কেউ কথা বলে না আমি ভীষণ অবাক হই। সংবাদপত্র অফিসে তর্ক-মত-ভিন্নমত থাকবে না? আমার কাছে সপ্তম আশ্চর্য মনে হয় যে প্রথম আলোর মিটিংয়ে অ্যাডমিনের লোকেরা সবার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নেয়।

আমি অবাক হয়ে যাই শুনে, ফল দেওয়ার পর প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে, করোনায় সুস্থ কর্মী এক পৃষ্ঠাজুড়ে মহাকাব্য লিখতে পারবেন কিন্তু সাংবাদিকরা তাদের যন্ত্রণা নিয়ে কোন কথা বলতে পারবেন না। এটা কী পত্রিকা অফিস না জেলখানা? ঘটনার সত্যতা জানতে আমি নিজে প্রথম আলোর কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেককে আমার ভয়ার্ত মনে হয়েছে। সবাই বলেছে এ নিয়ে কথা বলতে মানা। অথচ আমি সারাজীবন জেনেছি যে কোন কিছু নিয়ে অফিসের ভেতরে কথা বলা যায়। তর্ক করা যায়।

প্রিয় মতি ভাই, কোন সন্দেহ নেই করোনা আমাদের কঠিন এক সংকটে ফেলেছে। সারা বিশ্বেই গণমাধ্যম সংকটে। সার্কুলেশন কমে গেছে, বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেছে সবই সত্য। কঠিন এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে সেটাও সত্য। কিন্তু মতি ভাই, এভাবে তালিকা করে ছাটাই কোন মানবিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। কখনোই না।

মতি ভাই, আমি বা আমরা সবমময় গর্ব করে বলি, প্রথম আলো সাংবাদিকদের জন্য আদর্শ। আমার ১২ বছরে কোনদির নিরাধারিত তারিখের পর একদিন দেরি হয়নি বেতন পেতে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম যেখানে ওয়েজবোর্ড দেয় না প্রথম আলো দিতো। অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি ছাড়ার পর যেখানে প্রাপ্য পেতেন না সাংবাদিকরা তখন প্রথম আলো দ্রুততম সময়ে প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতো। এই দেশে যারা সাংবাদিকতার করেন তাদের সবার মনে মনে স্বপ্ন থাকে প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারে কাজ করা।

মতি ভাই, আজকে প্রথম আলো যদি করোনাকালে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে অন্যরা কিন্তু সেই পথ ধরবে। আমি পরশু আমার স্ট্যাটাসে জানতে চেয়েছিলাম কোন কোন গণমাধ্যম এই করোনাকালে কর্মীদের বেতন-বোনাস ঠিকমতো দিচ্ছে। আমি খুব বেশি নাম পাইনি। কারণ আমি জানি অনেক টিভি বা পত্রিকায় তিন-চারমাস বেতন বকেয়া। অনেক জায়গায় বেতন কমছে। এখন প্রথম আলো যদি ছাটাই করে, বেতন বোনাস কমায় সবাই একই কাজ করবে। 

মতি ভাইসহ দেশের গণমাধ‌্যমের সম্পাদক ও মালিকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, করোনার এই সংকটকালীন সময়ে দয়া করে আপনারা কাউকে ছাটাই করবেন না। কারও বেতন-বোনাস কমাবেন না। হ্যা আমি জানি গণমাধ্যমগুলোর কঠিন সময় যাচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে সংকট চলছে সবাই মিলে কষ্ট করে পার করা সম্ভব।

মতি ভাই, আমি বলবো আপনি প্রথম আলোর সব রিপোর্টার কর্মীদের নিয়ে বসেন। সবাইকে পরিস্থিতি বোঝান। আমি নিশ্চিত কোন একটা উপায় বেরিয়ে আসবে। আমাদের সাংবাদিক কর্মীরা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক কোন দাবি করবে না। সাংবাদিকরাই সিদ্ধান্ত নিক তারা কী করবে। তাতে যদি কেউ বলে আমরা নিজে থেকে সামনের দিনগুলোতে বেতন একটু কম নেবো হতে পারে।

আরেকটা কথা, আমি কিন্তু জানি প্রথম আলো ২০ বছর লাভ করেছে। কোন কোন বছল ৬০-৬৫ কোটি টাকাও লাভ করেছে। মতি ভাই আপনি নিজে প্রথম আলোর মালিকদের একজন। তার মানে আপনিও লাভ পেয়েছেন। সারাজীবন লাভ করলে আজকে কেন তিন মাস বা ছয়মাস সংকটে পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন না? আপনি যদি লস কমাতে চান আরও নানা উপায় আছে। সবকিছু ফেসবুকে বলতে চাই না।

কিন্তু আমি বিশ্বাস করি সবাইকে সাথে নিয়ে আপনি কোন না কোন উপায় বের করতে পারবেন। আমি এখনো মনি করি করোনার এই সময় ছাটাইয়ের ভয় না দেখিয়ে ভালোবেসে সবাই মিলে একসাথে সংকটটা পাড়ি দেয়া সম্ভব। আরেকটা কথা, মানুষকে কথা বলতে দেয়া উচিত। আমি মনে করি কাউকে মুখ বন্ধ না রেখে সবার কথা বলতে দেয়া উচিত। সাংবাদিক হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারবে না, কথা বলতে পারবে না এর চেয়ে কষ্টের কী আছে।

আমি মনে করি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কীভাবে গণমাধ্যম পরিস্থিতি সামলাবে সেজন্য আলোচনা হতে পারে। গোলটেবিলও হতে পারে। শুধু প্রথম আলো নয়, আমি দেশের সব গণমাধ্যম মালিক ও সম্পাদকদের বলবো, বেতন বকেয়া বা ছাটাই না করে কীভাবে এই সংকট মোকাবেলা করা যায় আপনারা আলোচনা করুন আরেকটা কথা বলবো সব সাংবাদিদের। আমরা সবসময় ভাবি, অন্য কারও চাকুরি গেলে যাক আমার তো কিছু হচ্ছে না। তাই সবাই চুপ থাকে। আমি আপনাদের বলবো চুপ থাকবেন না।

মনে রাখবেন, আজকে আপনার পাশের লোকটি বিপদে কাল আপনিও একই বিপদে পড়তে পারেন। কাজেই শুধু নিজের স্বার্থ না ভেবে সবাইকে নিয়ে চলুন বাঁচতে শিখি। আপনারা সবসময় ভয় ভেঙে কাজ করতে হবে, দুরন্ত সাহস, মত প্রকাশের অঙ্গীকার আরও কতো কী বলেন। তাহলে আপনারা কেন নিজেদের উপর হওয়া অন্যায় নিয়ে চুপ থাকবেন। আমি বলবো সবাই মিলে এক হয়ে প্রতিবাদ করুন। সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজুন।

আমি রাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলবো বিশেষ করে আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয়কে। গণমাধ্যমের এই সংকট কীভাবে মোকাবেলা করা যায়, কীভাবে আপনারা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা করতে পারেন সেসব ভাবুন। একইসঙ্গে আমি আমাদের সাংবাদিক নেতাদেরও বলবো আপনারাও সোচ্চার হন। কথা বলুন। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিন। নয়তো ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না আপনাদের।

কেউ কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন, আপনি তো প্রথম আলোতে নেই। আপনি তো ভালো আছেন। তাহলে কেন এসব নিয়ে ভাবছেন। আমি বলছি, আমি ভাবছি কারণ আমি আমার মন থেকে সাংবাদিক। আমার সত্ত্বায় সাংবাদিক। এই মানুষগুলোর সঙ্গে আমি একযুগ কাজ করেছি। আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আমি চাই এই দেশের সাংবাদিকতা আর গণমাধ্য্যমগুলো টিকে থাকুক। দেশের স্বার্থে এটা জরুরী।

হ্যাঁ, এই কথাগুলো বলার কারণে আমার অনেক ক্ষতি হতে পারে, আমি অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারি, এমনকি যদি আমার জীবনও দিতে হয় তাও আমি কথাগুলো বলবো। কারণ আমি কথাগুলো না বললে বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবো। আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন, আমি আমার জীবনে কখনো এতোটুকু অসৎ হইনি, কখনো আপোষ করিনি।

এই বাংলাদেশের সাংবাদিকার স্বার্থে, এই দেশের স্বার্থে এই বাংলাদেশের আমি সবসময় সত্যকথাগুলে বলতে চাই। দেশের সব সাংবাদিকদের পাশে থাকতে চাই। আমি চাই ভালো থাকুক দেশের সব সাংবাদিকরা। ভালো থাকুক দেশের সব গণমাধ্যম। ভালো থাকুক বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন- ইতিহাসের জীর্ণতাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন যে শতবর্ষী মানুষটা!


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা