আমার পরিচিত অনেকেই বলছেন- তারা ইদানিং অস্বাভাবিক কুকুরের কান্না শুনছেন এবং তাঁরা এটিকে চিহ্নিত করছেন অমঙ্গলের আলামত হিসেবে! কুকুরের কান্নার সাথে আসলেই অমঙ্গলের কোন সংযোগ আছে কি?

গণহারে কুকুর কাঁদছে এ কথা সত্য। লকডাউনের কারণে সবারই খাবার দাবার সীমিত। অপচয় বন্ধ। এমনকি ডাষ্টবিনেও খাবার নেই। রাস্তাঘাটের খাবারের উপর নির্ভরশীল কুকুরেরা তাই খুবই খাদ্য সংকটে আছে। এরা সারাদিনই খাবারের ধান্দায় এটা-সেটা খুঁটে বেড়ায়, না পেয়ে ক্ষুধায় কাঁদে। দিনের বেলা আশেপাশে নয়েজ থাকায় এদের কান্না আপনি শুনেন না। রাত-নিশুতিতে সব স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় এদের কান্না আপনার কানতক পৌঁছুবার সুযোগ পায় আর আপনার তরল-দ্রবীভূত রাতমন অজানা নানা আশংকায় ভীত হয়৷

আমি যে এলাকায় থাকি, সে এলাকায় কিন্তু কুকুরের কান্না শুনি না। কারণ এখানকার স্থানীয় প্রাণীকল্যাণ সংঘ (MDAWS) নিয়মিত কুকুরদের খাবার দিয়ে যাচ্ছে৷ আপনিও আপনার গলির দু-চারটা কুকুরকে মাঝে মাঝে খাবার দিন। এ পরিস্থিতিতে কুকুরকে খাবার দেয়া বিলাসিতা মনে হলে অন্তত উচ্ছিষ্ট, মুরগীর পা-চামড়া বা বাসী ভাত-তরকারীটা কুকুরের জন্য রাখতে পারেন৷ একটা গলিতে মানুষ থাকে ৫ হাজার, কুকুর থাকে মোটে ৫টা৷ চাইলেই কিন্তু আপনি কুকুরের কান্না বন্ধ করে অমঙ্গল ঠেকিয়ে ফেলতে পারবেন!


ট্যাগঃ

শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা