কারো চোখে তিনি পাগল, কারো চোখে উন্মাদ, কিন্ত বেশিরভাগ মানুষই তাকে চেনে স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে। যিনি স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত হন না, স্বপ্নটাকে পূরণ করে দেখিয়ে দেন।

ছোটবেলাটা তার কেটেছে বুলিং আর তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে। মিশুক প্রকৃতির ছিলেন না, সহপাঠীদের সঙ্গে বন্ধুত্বও করতে পারতেন না। নিজের মতো থাকতেন, ভালোবাসতেন বই পড়তে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা পড়ে শেষ করে ফেলেছিলেন মাত্র দশ বছর বয়সে। স্কুলে ক্লাসের ছেলেরা তাকে 'অ্যাবনরমাল' হিসেবেই ট্রিট করতো, গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসতো অনেকে। এই মানসিক চাপ নিতে না পেরে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল ছেলেটাকে। সেই মানুষটাই এখন দুনিয়ার সেরা উদ্যোক্তাদের একজন, যার সম্পত্তির মূল্যমান দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। নাম তার ইলন মাস্ক, স্বপ্ন দেখিয়ে যিনি ক্ষান্ত হন না, স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে ছাড়েন! 

কে এই ইলন মাস্ক? 

ইলন মাস্ক নামের মানুষটাকে ছোটখাটো একটা অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করা যাবে না কখনও। জিপ টু থেকে পেপ্যাল, এরপরে স্পেস এক্স এবং এখন টেসলা- ইলন মাস্ক নিজের পরিধিটা ছড়িয়ে চলেছেন ধীরে ধীরে। কারো চোখে ইলন মাস্ক পাগল, কারো চোখে উন্মাদ, কিন্ত বেশিরভাগ মানুষই তাকে চেনে স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে। যিনি স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত হন না, স্বপ্নটাকে পূরণ করে দেখিয়ে দেন। নতুন কিছু করার জন্যে যিনি মুখিয়ে থাকেন সর্বক্ষণ, পৃথিবী ছাপিয়ে যে মানুষটা এখন নিজের কীর্তিকে নিয়ে যেতে চাইছেন সুদূর মঙ্গলে! 

যাত্রা শুরুর গল্প

ইলনের পুরো নাম 'ইলন রিভ মাস্ক', জন্ম ১৯৭১ সালে, দক্ষিন আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। প্রচণ্ড ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের ছিলেন ছোটবেলায়, সেটার জন্যে ভুগতেও হয়েছে তাকে। বইয়ের নেশা ছিল, বাড়িতে থাকা লাইব্রেরীর সব বই পড়ে শেষ করার পরে আগ্রহটা গেল কম্পিউটারে। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করতে পারতেন ইলন। ১২ বছর বয়সে ব্লাস্টার নামের একটা ভিডিও গেম তৈরি করে ফেললেন, কারো সাহায্য ছাড়াই। মজার ব্যাপার হলো, সেই ভিডিও গেমটি তিনি একটি ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করেছিলেন নগদ ৫০০ মার্কিন ডলারে, সেটাই ছিল ইলনের জীবনের প্রথম আয়।

ইলন মাস্ক- যখন কিশোর ছিলেন

সেনা জীবনকে 'না' বলে উদ্যোক্তা হবার গল্প

ইলনের জন্ম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেখানে কলেজ জীবন শেষ করার পরে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে দুই বছর সময় কাটাতে হয়। প্রতিটা নাগরিকের জন্যেই এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল তখন। কিন্ত ইলনের মাথাজুড়ে তখন নতুন কিছু করার স্বপ্ন, সেনাজীবনের কাঁটাতারে ঘেরা ছাউনির ভেতরে ঢুকে দুটো বছর তিনি খরচ করতে চাইলেন না। পাড়ি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে, ইউনিভার্সিটি অফ পেনিসিলভেনিয়া থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করলেন। বিজ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকেই, আর তাই পদার্থবিজ্ঞানের ওপরেও একটা স্নাতক ডিগ্রি নিলেন। 

এনার্জি ফিজিক্সের উপর পিএইচডি করার উদ্দ্যেশে ইলন গেলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে ভর্তি হওয়ার পরপরই ইলন ঠিক করে ফেললেন যে, পিএইচডিটা তিনি করবেন না, পড়ালেখা বাদ দিয়ে তিনি ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা হবেন। এরইমধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে গেল, প্রথম দিন ক্লাস শেষ করে হোস্টেলে এসে পত্রিকায় ছাপা হওয়া বিল গেটসের একটা ইন্টারভিউ তার চোখে পড়লো। সেখানে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত নিয়ে বিল বলেছেন- "Internet is the new big thing!" ইলনের ভাবনার জগতটা আরও একবার ধাক্কা খেলো, দুইদিন ক্লাস করেই পিএইচডির স্বপ্ন ছাড়লেন তিনি, মিশন উদ্যোক্তা হওয়া, ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে!

প্রথম প্রচেষ্টা- জিপ টু

ইন্টারনেট তখন নতুন নতুন এসেছে, নীরবে একটা বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে পৃথিবীর বুকে। সেই বিপ্লবে এক কমরেড হিসেবে যোগ দিলেন ইলন মাস্কও। খবরের কাগজের জন্যে ইন্টারনেট গাইড হিসেবে কাজ করবে, এরকম একটি সফটওয়্যার আবিস্কার করলেন তিনি। কোম্পানী গঠন করা হলো, কাজ চলতে থাকলো জোর কদমে। সফটওয়্যারের নাম দেয়া হলো জিপ টু। প্রথম কাজেই সফলতা পেলেন ইলন, তার সফটওয়্যারটা নজরে পড়লো বিখ্যাত টেক কোম্পানী কমপ্যাকের। ১৯৯৯ সালে তারা তিনশো মিলিয়ন ডলারেরও বেশি দামে পুরো কোম্পানীটাই কিনে নিলো, ইলন মাস্কের পকেটে ঢুকলো প্রায় বাইশ মিলিয়ন ডলার। 

ইলন মাস্ক সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন টেসলার গাড়ির কারণে

এবার পেপ্যাল!

আমরা এখন বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে মানি ট্রান্সফার করতে পারি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। সেই ১৯৯৯ সালেই এই আইডিটা সর্বপ্রথম এসেছিল ইলন মাস্কের মাথায়। জিপ টু বিক্রির পরে এক্স ডটকম নামের একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলেন ইলন, অনলাইনে মানি ট্রানজেকশন করা যেতো এর মাধ্যমে। কালের বিবর্তনে সেই এক্স ডটকমই রূপ নিলো পেপ্যাল- এ, পরে যেটি পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মানি ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্মে। ২০০২ সালে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইবে কিনে নিলো পেপ্যালকে, এজন্যে তাদের গুণতে হয়েছিল দেড় বিলিয়ন ডলার! পেপ্যালের ১১% শেয়ারের মালিক ছিলেন ইলন মাস্ক, তার একাউন্টে জমা পড়লো ১৬৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি টাকা! 

সীমানা এবার মহাকাশ

১৬৫ মিলিয়ন ডলার যে কত টাকা, সেটা হিসেব করতে বসলেও টেন ডিজিটের ক্যালকুলেটর হ্যাং করে বসবে। ইলন মাস্ক চাইলে বাকী জীবনটা আরাম আয়েশে কাটাতে পারতেন, যাবতীয় ঝুট ঝামেলা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ভোগ-বিলাদে জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্ত তার রক্তের ভেতরে সেরাদের সেরা হবার নেশায়া খেলা করে সারাক্ষণ, আর তাই তো পেপ্যাল পাট চুকে যাওয়ার পরে নতুন সৃষ্টির নেশায় মাতলেন তিনি। তবে এবার তার লক্ষ্য ছিল মহাকাশ। 

আন্তঃমহাদেশীয় রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পণ্য সরবরাহের চিন্তাটা তার মাথায় এসেছিল আগেই, কিন্ত খানিকটা সংশয়ে ছিলেন বিষয়টা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান না থাকায়। বিস্তারিত জানার জন্যে ইলন ছুটে গেলেন রাশিয়ায়, কিন্ত সেখানে গিয়ে রকেটের দাম শুনেই হতাশ হয়ে পড়লেন তিনি। একেকটা ব্যালাস্টিক রকেটের দাম ছিল আট মিলিয়ন ডলার, আর সেগুলো একবারের বেশি ব্যবহার করা যেতো না। সেখানে দাঁড়িয়েই ইলন ঠিক করে ফেললেন, তার কোম্পানী থেকে এবার স্বল্পমূল্যে এমন সব রকেট বানাবেন যা পৃথিবীর অরবিট ছাড়িয়ে আরও দূরে পাড়ি দিতে সক্ষম এবং একইসাথে যেটা বারবার ব্যবহার করা যাবে। 

২০০২ সালে গঠিত হলো স্পেস-এক্স। যাত্রাটা সহজ ছিল না। প্রথম তিনটা রকেটই উৎক্ষেপনের সময় ব্যর্থ প্রমাণীত হলো, গণ্ডায় গণ্ডায় টাকা নষ্ট হলো, কিন্ত ইলন হাল ছাড়লেন না, লেগে রইলেন জোঁকের মতো। ইলন নিজের প্রযুক্তি আর সক্ষমতার ওপর শতভাগ আস্থা রেখেছিলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন তার এই প্রযুক্তিই তার স্বপ্নটাকে নিয়ে যাবে মহাকাশে। রকেট সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না তার, দিনের পর দিন পড়তে আর জানতে গিয়ে একসময় তিনি হয়ে গেলেন এই বিষয়ে রকেট বিজ্ঞানীদের চেয়েও প্রখর জ্ঞানসম্পন্ন একজন। 

স্পেস এক্সের বানানো রকেটের সামনে ইলন মাস্ক

টানা কয়েকটা ব্যর্থতার পরে শত বাধা আর ঝুঁকিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্পেসএক্স এর ফ্যালকন-১ এর সফল উৎক্ষেপণ হলো। ইলন মাস্ক নাম লেখালেন ইতিহাসে, দুনিয়াজুড়ে শুরু হলো তার স্ততি গাওয়া। ক'দিন আগেও যারা তাকে পাগল আর বদ্ধ উন্মাদ বলেছে, তারাও তার প্রশংসা করা শুরু করলো। ২০১২ সালে মহাকাশে পাঠানো হলো ফ্যালকন-৯, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত নভোচারী আর বিজ্ঞানীদের জন্যে ১০০০ পাউন্ড ওজনের খাবার আর অন্যান্য রসদ বহন করেছিল সেটি। ইলন মাস্ক তখন সবার চোখে সুপারস্টার। বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটও কিন্ত ইলন মাস্কের কোম্পানী স্পেস-এক্সের মাধ্যমেই উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। 

টেসলার গল্প

গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে, পরের বছর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হলেন ইলন মাস্ক। তিনি এসে টেসলার থিমটাই পাল্টে দিলেন, ঘোষণা করলেন, টেসলার প্রতিটা গাড়ি হবে শতভাগ পরিবেশবান্ধব। ২০০৮ সালে বাজারে আসে টেসলার স্পোর্টস কার রোডস্টার, বিদ্যুৎ চালিত এই গাড়িটি সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামি গাড়ির খেতাব অর্জন করেছিল। এরপরে বাজারে এলো টেসলার হেভি ট্রাক, এক চার্জে যেটি ফুল লোড অবস্থায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম! রোডস্টারের পরবর্তী ভার্সন আসবে এবছরই, সবচেয়ে দ্রুতগামী গাড়ির খেতাবটা আবারও টেসলা অর্জন করতে পারবে, ইলনের বিশ্বাস সেরকমই। 

মজার ব্যাপার হচ্ছে, টেসলার বিজনেস মডেলটা যখন ইলন মাস্ক বদলে দিয়েছিলেন, তখন সবাই বলেছিল, মার্কেটে এসব চলবে না। পেট্রোল আর ডিজেল বাদ দিয়ে বিদ্যুতের গাড়ি? পাগল নাকি! গাড়ি এনে ইলন মাস্ক নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। পরে যখন টেসলার হেভি ট্রাক বাজারে আনার ঘোষণা দিলেন, তখনও সবাই তাকে নিয়ে মজা করেছিল। বলেছিল, এই লোক গাঁজা টেনে এসে যা খুশি তা বললেই বিশ্বাস করতে হবে? ইলন মাস্ক জবাব দিয়েছেন কাজের মাধ্যমে। তিনি তার স্বপ্নের কথা বলেন, লোকে তাকে পাগল ভাবে। স্বপ্নটা ইলন যখন নিজের হাতে পূরণ করে ফেলেন, তখন আর কাউকে সমালোচনার জন্যে আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায় না।

মঙ্গল যাত্রা

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে ইলন মাস্কের অদ্ভুত একটা আগ্রহ আছে। স্পেস-এক্স থেকে তিনি ফ্যালকন হেভি নামের একটা আলাদা স্পেসশীপ বানিয়েছেন শুধু মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্যেই। টেসলার একটা ভারী গাড়ি তিনি এই স্পেসশিপে করে মহাকাশে পাঠিয়েছেন শুধু এটা প্রমাণের জন্যে যে  চাইলে আমরা বাসাবাড়ির মালপত্র নিয়েও মঙ্গলে গিয়ে বসত গড়তে পারি। মিশন টু মার্স নামের এই প্রোজেক্টটা ইলন মাস্কের ড্রিম প্রোজেক্ট। কয়েকবার তো তিনি বলেছেনও, মঙ্গলে মরতে পারলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। লোকে তার এই প্ল্যানটাকেও আজগুবি বলছে, তবে অতীতের রেকর্ড যদি বজায় থাকে, তাহলে মঙ্গলযাত্রার আর বেশি দেরী নেই! 

ইলন মাস্কের কীর্তিগাঁথা বর্ণনা করতে বসলে আস্ত একটা শাহনামা লিখে ফেলা যাবে। হাইপারলুপ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সোলার সিটি, তার প্রায় প্রতিটা উদ্যোগই ব্লকবাস্টার হিট। বিশ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক তিনি, সারাটাদিন পরিশ্রম করেন, এরপরেও দিনে কয়েক ঘন্টা সময় তিনি বরাদ্দ রাখেন বই পড়ার জন্যে। তার কাছে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পড়তে হবে, জানতে হবে। কিশোর প্রোগ্রামার ইলন মাস্ক থেকে আজকের সফল উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক হবার পেছনে পরিশ্রমের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যে গুণটা তাকে সাহায্য করেছে, সেটা হচ্ছে তার জানার ইচ্ছেটা। 

বিজ্ঞানী গ্যালিলিও যখন চারশো বছর আগে দাবী করেছিলেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে নয়, আসলে পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে- তখন লোকে তাকে বদ্ধ উন্মাদ আর পাগল ছাড়া অন্য কিছুই মনে করেনি। বছর বিশেক আগে ইলন মাস্ক নামের একজন যখন স্বপ্ন দেখেছিলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিরাপদে টাকা লেনদেন করা যাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই- তখনও লোকে তাকে পাগল ঠাউরেছিল। তিনি যখন বলেছিলেন, বিদ্যুতের শক্তিতে চালিত গাড়ি দিয়ে শত শত মাইল পাড়ি দেয়া যাবে, তখন সবাই ভেবেছিল, নতুন পাগলের আমদানি! 

ইলন মাস্ক হাল ছাড়েননি, নিজেকে প্রমাণ করেই ছেড়েছেন, স্বপ্নকে পরিণত করেছেন বাস্তবে। এখন ইলন মাস্ক স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মঙ্গলে বসবাস করার, মানুষের মস্তিস্কে মেমোরি চিপ বসানোর; তাতেও অনেকে তাকে উন্মাদ ভাবছেন। কে জানে, একদিন হয়তো তার হাত ধরেই মঙ্গলের পথে পা বাড়াবে মানুষ, মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার জন্যে হিড়িক পড়বে একদিন, কিংবা ব্রেইনচিপের মাধ্যমে কোটি কোটি ডাটা মানুষ সহজেই মনে রাখতে পারবে, স্মৃতি নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে না, বারবার গুগলের দ্বারস্থ হতে হবে না। সেদিন ইলন মাস্ক পৃথিবীর ওই বোকা লোকগুলোর কথা মনে করে হেসে উঠবেন আনমনে, যারা একদিন তাকে পাগল ভেবেছিল! কে জানে, উদ্যোক্তারা বোধহয় একটু পাগলাটেই হন, অসম্ভব ঝুঁকি না নিলে তো আর সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না! 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা