আপনি যখন ২ লাখ টাকা মূল্যের দ্রব্য ৭০/৮০/৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখবেন, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগবে কিভাবে এতো অবিশ্বাস্য অফার দেয় ইভ্যালি?

বাংলাদেশে ই-কমার্স সিনে একটি নাম সম্প্রতি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম ইভ্যালি। বহুজাতিক কোনো কোম্পানির ইনভেস্টমেন্ট কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো ফান্ডিং ছাড়া একটি দেশি ই-কমার্স হুট করে এতো হৈ চৈ ফেলে দেবে তা ছিল ভাবনার বাইরে।

ইভ্যালি এরকম হাইপ তুলেছে যে ইভ্যালির নাম শুনলেই ইভ্যালির গ্রাহকদের চোখে ভেসে উঠবে কিছু শব্দ। আর্থকোয়াক, সাইক্লোন, থান্ডারস্ট্রম, ২৫০% ভাউচার, গিফট কার্ড ইত্যাদি৷ ৫০% ক্যাশব্যাক শব্দটা ইভ্যালির সাথে তো ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। তারা এতোটাই অবিশ্বাস্য অফার, ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাকের ক্যাম্পেইন দিয়ে থাকে যে তাদের নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়ে গেছে চারদিকে। কিভাবে ইভ্যালি সম্ভব করছে? কোন আলাদিনের চেরাগ আছে তাদের কাছে? তাদের লক্ষ্য কি আসলে?

বেশ কিছুদিন যাবতই ইভ্যালিকে নিবিড়ভাবে খেয়াল করে যাচ্ছি। দেখছি ইভ্যালির বিস্তৃত হওয়ার জার্নি। ইভ্যালি অনেকটা নেশা ছড়ানো আয়োজন নিয়ে নেমেছে মার্কেটে। গ্রাহকের মাথা আউলে দেয়ার মতোই তাদের একেকটি অফার। ১০টাকায় পেনড্রাইভ, টিশার্ট, ১৬ টাকায় মোবাইল ফোন - এরকম অফারে মানুষ এতোই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যে এপ্স ডাউন হয়ে যায়, সাইট ওভারলোডেড হয়ে যায় তাদের। মানুষ চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে বসে থাকে এইসব অফার বাগিয়ে নেয়ার জন্যে।

ইভ্যালির সিইওকে ঘিরে সেলফি তুলছে গ্রাহকরা!


আমার ব্যক্তিগতভাবে একটা বাইক কেনার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন ধরেই। এখনো কেনা হয় নি। কারণ, বাইকের দাম একটু বেশিই বাংলাদেশে। ভারতে ৭০/৮০ হাজার রুপির বাইক এদেশে আসতে আসতে ২ লাখ, আড়াই লাখে চলে যায়। কিন্তু, ইভ্যালির গ্রুপে দেখছি, অসংখ্য বাইক কেনার গল্প। তারা প্রায় ২ লাখ টাকার বাইক ভূমিকম্প অফারে কিনছে অর্ধেক দামে। মেগা ফ্ল্যাশ সেলের অফারে প্রায় ৪০% এর মতো দাম কম ছিল একেকটা বাইকের!

আপনি যখন ২ লাখ টাকা মূল্যের দ্রব্য ৭০/৮০/৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখবেন, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগবে কিভাবে এতো অবিশ্বাস্য অফার দেয় ইভ্যালি? দ্বিতীয় প্রশ্ন জাগবে, লোভে পড়ে অর্ধেক দামে নিজে কিনতে গিয়ে টাকা জমা দেয়ার পর সেই টাকা নিয়ে কি ইভ্যালি ভেগে যেতে পারে? তাদের কেন বিশ্বাস করবো? ইভ্যালিকে নিয়ে এই প্রশ্নগুলো আসছে। কেউ কেউ বলছেন, ইভ্যালি মানুষের হুজুগ কাজে লাগিয়ে কোনো বাজে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে মাঠে। তারা ডেসটিনির মতো জাল বিছিয়ে দিচ্ছে, একদিন হুট করে ভেগে যাবে মানুষের অর্থ নিয়ে।

ডেসটিনির সাথে যদিও ইভ্যালির আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবুও, ডেসটিনির সাথে ইভ্যালির তুলনা দেয়ার কারণ হলো প্রোডাক্টের জন্যে অগ্রিম টাকা নেয়া। ইভ্যালিতে কেউ যদি কোনো অফারে পণ্য কিনতে চায়, তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রোডাক্টের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট দিনের পর সাধারণত ১৫ দিন, ২১ দিন কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেড় মাসেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয়। এই দীর্ঘ সময়ে ইভ্যালির কাছে জমা দেয়া টাকার টেনশনেই অনেকের মাথা খারাপ অবস্থা। প্রতি মুহুর্তে সে মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকে, আসলেই কি পণ্যটা পাবো নাকি টাকাটা হাওয়া হয়ে যাবে?

কিংবা কারো কারো কাছে এই দীর্ঘ অপেক্ষা প্রচন্ড বিরক্তির। তবে ইভ্যালি এই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টাকা নিজেদের কাছে জমা রাখায় তাদের পক্ষে মার্কেটে প্রভাব তৈরি করা, বিনিয়োগ টানা এবং বণ্টনপ্রণালীতে এই অফারগুলো এফোর্ড করা সহজ। এতে করে মিডলম্যানের জায়গায় ইভ্যালি ব্যালেন্স করার সুযোগ সময় পায়। গ্রাহককে এই সত্যটা বুঝতে হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে  


কিন্তু, গ্রাহকেরা এই দুশ্চিন্তা খুবই যুক্তিযুক্ত এবং সাধারণ। ইভ্যালির আরেকটি লক্ষ্যণীয় দিক হলো, এখানে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি' সিস্টেম নেই। অর্থাৎ, অফার কিংবা অফারের বাইরে যা-ই কিনতে যাক কেউ, তাকে আগেই পেমেন্ট করে দিতে হবে। বাংলাদেশে প্রোডাক্ট ডেলিভারি এন্ডে এখনো ফিরিয়ে দেয়া পণ্যের হার অনেক বেশি। যা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সেলারদের জন্যে হতাশার। ইভ্যালি সম্ভবত সেলারদের সেল নিশ্চিত করতেই এই সিস্টেমটি ফলো করছে। এতে করে অবশ্য তাদের যেমন লাভ, তেমনি গ্রাহকের জন্যেও লাভ। কারণ, সেলারদের কাছ থেকে এই সিস্টেমের কারণে বাড়তি ছাড় তারা আদায় করে নিতে পারে, যেহেতু পণ্যের দামও আগেভাগে পাওয়া যায়, আবার কোয়ানটিটিও অনেক থাকে।

যাইহোক, যেহেতু ইভ্যালির পেছনে এখন পর্যন্ত আমাজন, আলিবাবা কিংবা জায়ান্ট কোনো বড় কোনো কোম্পানি নেই, তাই ইভ্যালির অফার সবাই লুটে পড়ে লুফে নিলেও ইভ্যালির ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট সম্পর্কে তাদের একধরণের অস্বস্তি বোঝা যায়। ইভ্যালির জন্ম কিভাবে এক্ষেত্রে সেটা জানা জরুরি।

ইভ্যালির বয়স খুব বেশি নয়, মাত্র এক বছর। হুট করে একরাতে মোহাম্মদ রাসেল ঠিক করলেন, এই ই-কমার্স শুরু করবেন। সাথে সাথে ঘোষণা দিলেন। শুরুর দিকে অনেক স্ট্রাগল ছিল ইভ্যালির। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কোনো কোনো মাসের বেতন ঠিক সময়ে দেয়ার অবস্থা ছিল না। ফান্ডিং ছিল ব্যক্তিগত সোর্স আর লোন। সেদিনগুলোতে মোহাম্মদ রাসেল তার কর্মীদের বলতেন, আসো আমরা একসাথে একটু ম্যানেজ করে চলি।

সেই ইভ্যালি এই বিজয় দিবসে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। রাতারাতি তাদের উত্থান৷ দুই মাসে গ্রাফ এতোটাই উর্ধে গেছে যে তারা শুধু চমম নয়, ভয়ও জাগিয়ে তুলেছে মার্কেটে। তারা এক বছরে প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত গ্রাহক পেয়েছে ১২ লাখের বেশি! ইভ্যালির সেলার বা মার্চেন্ট ২০ হাজারেরও বেশি। গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইভ্যালি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পাঁচ লাখের বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে।

এতো অল্প সময়ে এতো বেশি সাফল্যকে চোখ পাল্টে দেয়ার মতো হলেও ইভ্যালির ফাউন্ডার মোহাম্মদ রাসেলের কাছে এটা খুব বেশি অস্বাভাবিক না৷ বর্তমানে মার্কেটে দারাজ সহ আরো বেশি কিছু ই-কমার্স সাইট আছে। তারপরেও মার্কেট বিস্তৃতির দিক দিয়ে ইভ্যালির গ্রোথ সবচাইতে চোখে বাঁধার মতো। ইভ্যালি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মোহাম্মদ রাসেল স্বপ্ন দেখেন, ২০২০ সালে এটি দেশের শীর্ষ ই-কমার্স সাইট হবে। ২০২৫ সালে দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হবে সব দিক দিয়ে।

ইভ্যালি ফাউন্ডার মোহাম্মদ রাসেল    


এতো বড় করেই স্বপ্ন দেখছেন ইভ্যালির ফাউন্ডার মোহাম্মদ রাসেল, যিনি ছিলেন একজন ব্যাংকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ করে ঢুকলেন ব্যাংকিং পেশায়। সেখানে প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, কালচার সম্পর্কে শিখলেন, জানলেন। 

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই স্বপ্ন দেখতেন ভিন্ন কিছু করবেন। প্রস্তুতি পর্ব হিসেবেই ব্যাংকের চাকরি, পাশাপাশি প্রচুর বই পড়েছেন বোঝা যায়। আলিবাবা, আমাজন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজন্যাস মডেল স্টাডি করেন।

তার মনে হয়েছে, ই-কমার্স ধারণাটাই এমন এটাকে ছোট পরিসরে রাখলে এখানে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আর বিজনেস ধারাটাই এমন এখানে লস হবেই। লস হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ তিনি ইভ্যালিকে জনপ্রিয় করতে ভর্তুকি দিয়েছেন, অফারে প্রোডাক্ট দিচ্ছেন এটাকে তিনি ইনভেস্টমেন্ট বলছেন। ১২ লাখের অধিক নিবন্ধিত গ্রাহক থাকা স্বত্তেও তিনি আরো বড় পরিসরে ভাবতে চান।

আগামী বছরগুলোতে ২ কোটি গ্রাহক আনা টার্গেট তার। সেলার সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও নজর ইভ্যালির। এতে করে কি হবে? তিনি বড় ইনভেস্টমেন্ট আনতে পারবেন। বড় কোম্পানি থেকে বড় ছাড়ে পণ্য সেল করতে পারবেন।

যখন অনেক নিবন্ধিত গ্রাহক ইভ্যালি টানতে পারবে এইসব অফার দিয়ে, ইভ্যালির মাধ্যমে বিক্রির পরিমাণ হবে অবিশ্বাস্য তখন সেলাররাও চাইবে ইভ্যালিতে আসতে। ইনভেস্টররাও চাইবে ইভ্যালিতে বিনোয়োগ করতে।

তাই, ইভ্যালির অফার যে নিঃস্বার্থ তা নয়। তারা বিজনেসকে সম্প্রসারণ করতেই বিজনেসের হার্ট কাস্টমারকে আগে আকৃষ্ট করছে। মোহাম্মদ রাসেল তার ইভ্যালি দিয়ে আসলে ই-কমার্সের ধারণাকে বাংলাদেশে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে চাচ্ছেন, তা তার স্বপ্ন দেখেই আভাস মেলে৷

ইভ্যালি পরিকল্পনায় সামনে আছে দেশের প্রতি থানায় ইভ্যালি হাব করা, ফ্র‍্যাঞ্চাইজ মডেলের এই হাবগুলোর পরিচালকরাই মালিক হবেন হাবের। ইভ্যালি এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করছে। ইভ্যালির বিশাল পরিকল্পনা বুঝতে কষ্ট হয় না, যখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলায় মাঠে সাইডস্ক্রিনে ইভ্যালির লোগো ভাসে। বিপিএলে একটি প্রাইজ মানি স্পন্সরও করছে তারা। বিপিএলে ডিজিটাল বোর্ডে ইভ্যালির বিজ্ঞাপন, গুগল এডে তাদের বিজ্ঞাপন, টেলিভিশনেও। দেশজুড়ে ইভ্যালি নিজেদের নাম আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া।

ইভ্যালির সৌজন্যে 'প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ' প্রাইজমানি 


এইরকম মরিয়া হয়ে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের নামকে বিস্তৃত করতে চায়, তারা কি ভেগে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আসে? ইভ্যালির সবচাইতে স্বতন্ত্র একটি দিক হচ্ছে সিইও মোহাম্মদ রাসেলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স। তিনি নিজের প্রোফাইলে সারাক্ষণ আপডেট দিচ্ছেন, একই সাথে ইভ্যালির গ্রুপেও তাকে সক্রিয় দেখা যায়।

পৃথিবীর কোনো ই-কমার্স সাইটের সিইওকে এতো সক্রিয় এবং গ্রাহকদের কাছাকাছি সচারাচর দেখা যায় না। ইভ্যালির বিশেষ অফারগুলো তিনিই ঘোষণা করেন। ইভ্যালির প্রোডাক্ট রিলেভেন্ট সব আপডেট আসে তার মুখ থেকে। তিনি লাইভে আসেন প্রায়ই৷ এমনকি গ্রাহককে পণ্য হাতে তুলে দেয়ার ক্ষেত্রেও তাকে দেখা যায় সামনে। তিনি সেলফি তুলেন, তার সাথে সেলফি তুলতে ভীড় জমায় গ্রাহকরা। এই দৃশ্য অবিশ্বাস্যই।

কিন্তু, গ্রাহকদের অসন্তুষ্টির জায়গাও কম নেই। কাস্টমার কেয়ার থেকে অনেক সময় মেলে না সঠিক সাপোর্ট। কখনো কখনো সমস্যার কথা জানিয়ে কেউ ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করলে তা এপ্রুভ হয় না। পণ্য ডেলিভারিতে দেরি করার অভিযোগ তো বহু পুরানো। আছে আনঅথোরাইজড ফোন বিক্রির অভিযোগ।

কিন্তু একটা দিক ভালো যে, সার্ভিসে ইভ্যালির এখনো ত্রুটি আছে তা ইভ্যালিও স্বীকার করে। মোহাম্মদ রাসেল এই ত্রুটিগুলোর কথা স্বীকার করেন। স্ক্রেচ থেকে শুরু হওয়া কোম্পানি এখনো নিজেদের ভাংছে, গড়ছে। তাই, ভুল ত্রুটি হচ্ছে অসংখ্য। ইভ্যালি সেই ভুল স্বীকার করে এটা শুভ লক্ষণ। বাংলাদেশে ভুল স্বীকারের প্রবণতা এমনিতেই কম।

তবে, দীর্ঘমেয়াদে ইভ্যালিকে টিকে থাকতে হলে কাস্টমার সার্ভিসকে উন্নত করতেই হবে৷ ইভ্যালি শুধু অফারের গিমিক দিয়ে টিকে থাকবে এমনটা ইভ্যালিও কল্পনা করে না নিশ্চয়ই। তবে দেশি কোম্পানি হিসেবে ইভ্যালি এখন পর্যন্ত যা করে দেখিয়েছে তা রিমার্কেবল। 

বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যদি যেতে পারে, ই-কমার্সকে সত্যিকার অর্থে বদলে দিতে পারে তাহলে সাধুবাদ অবশ্যই দিতে হবে তাদের। কিন্তু, তার জন্যে ইভ্যালিকে কথা দিতে হবে, মানুষের বিশ্বাসের জায়গাখানিতে তারা যেন কোনো অবিশ্বাসের কুয়াশা ছড়িয়ে না দেয়। তবেই ইভ্যালির আমল দীর্ঘ হবে...


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা