এমন সংকটে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কীভাবে নেন আপনারা?
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
আমরা হাজার হাজার কোটির হিসাব বুঝি না। বিমান ভাড়া করে এনে পালিয়ে যেতে পারি না। আমাদের থাকতে হবে এই দেশেই, বুকপকেটে থাকা ময়লা নোট গুনতে গুনতে।
লকডাউনে অনেকে চাকরি হারিয়েছে। প্রচুর কোম্পানি কর্মী ছাটাই করেছে। মানুষজনের ছোট ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। স্যালারি রিডিউস হচ্ছে। পুরা ওয়ার্ল্ডের ইকোনোমি চেঞ্জ হচ্ছে। পুরা দুনিয়াতেই আমরা স্যালারি রিডিউস ব্যাপারটা দেখছি।
এমন একটা ফিনানশিয়াল কন্ডিশনে দাঁড়িয়ে দেশের গণপরিবহনের ভাড়া বাড়তে পারে না। কখনোই না। আশি ভাগ ভাড়া বাড়ানো কোনো মাস পিপল ফ্রেন্ডলি ডিসিশন হতে পারে না।
প্রতিদিন অফিস যাতায়াতে যার ১০০ টাকা বাস ভাড়া লাগতো, তার লাগবে ১৮০ টাকা। এই অতিরিক্ত ৮০ টাকার বোঝা টানতে হবে পুরো পরিবারকে। ফ্যামিলিতে শুধু একজন বের হয় না। আরও সবার জন্য ট্রান্সপোর্টেশন দরকার হবে। সবার নরমাল লাইফ স্টাইল বন্ধ হয়ে গেছে। খাবারের স্ট্যান্ডার্ড কমে গেছে। জীবন যাত্রার মান কমছে। সবকিছুই যেখানে নিম্নমুখী, সেখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ভাড়া বাড়তে পারে না।
সবাইকে এই অবস্থাটা মেনে নিতে হচ্ছে। সার্ভাইভ করতে হচ্ছে। কম আয় মেনে নিয়ে সংসার চালানোর প্ল্যান করতে হচ্ছে। তবুও যদি প্রণোদনা কিংবা ভর্তুকি দিতে হয়, সেটা সরকার দিতে পারে। দয়া করে জনগণের পকেট থেকে নিবেন না।
পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন অনেক শক্তিশালী। তাদের অনেক টাকা। এই সময়ে সংগঠনও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। এতদিন যারা চাঁদাবাজি করেছে, তারা দাঁড়াতে পারে। সব দায় জনগণের কাঁধে এনে দেবেন না। অথচ তাদের সংগঠন তাদের খবরও রাখেনি। তাদের ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। যার ছবিতে তারা জুতার মালা পরিয়ে রেখেছিলো সারাজীবন।
এমন একটা অন্যায় আবদার রক্ষা করবেন না। মাস পিপলের কথা ভাবুন। আমাদের জীবনের আগে জীবিকাকে বেছে নিতে হচ্ছে। আবার জীবনও বাঁচাতে হচ্ছে। এমন সংকটের সময়ে আমাদের এভাবে মোরালি ডাউন করে দেবেন না।
আমরা হাজার হাজার কোটির হিসাব বুঝি না। বিমান ভাড়া করে এনে পালিয়ে যেতে পারি না। আমাদের থাকতে হবে এই দেশেই, বুকপকেটে থাকা ময়লা নোট গুনতে গুনতে।
দয়া করে, আশি ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির বিল পাশ করবেন না। আমাদের কথা শুনুন, ভাবুন। তারপর ডিসিশন নিন...