ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখান থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে মৃতদেহগুলো অগ্নিদগ্ধ নয়। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহগুলো আগের, যা হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই ছিল...

গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কোভিড-১৯ ইউনিটের পাঁচজন রোগী মারা গেল। অগ্নিকান্ডে যে কেউ-ই মারা যেতে পারে এ কথা ঠিক। তবে শুরুতে এ হসপিটাল কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করতে চায়নি।

মাসখানেক হল তারা এই হসপিটালের নিচে এক জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে চার রুমের করোনাভাইরাস ইউনিট স্থাপন করে। এবং রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে। শুরুতে তাদের মত অনেক হসপিটালই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি। কাজেই ইউনাইটেডও শুরুতে রাজি না-ই হতে পারে।

সেটা না হয় বাদ দিলাম। কিন্তু আগুনটা ঠিক ওই ইউনিটেই লাগল! আর ওই ইউনিটের যে রুমে তিনজন করোনা পজেটিভসহ পাঁচজন আইসোলেশনে ছিল সেই রুমের কাউকেই উদ্ধার করা গেল না! এটা কেমন কথা!

মিঃ হাইজিন জীবাণুমুক্ত হাতের প্রতিশ্রুতি

এবং এক্ষেত্রে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তো আরো অবাক হবার মত। তারা এজন্য আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন! তারা বলছেন, আগুন লাগার সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে আইসোলেশন ইউনিটে থাকা রোগীদের বাইরে বের করা যায়নি।

কি অদ্ভুত যুক্তি! ব্যপারটায় আরো রহস্য ঘনিভূত করলেন ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখান থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে চারটি পুরুষের ও একটি নারীর। তবে মৃতদেহগুলো অগ্নিদগ্ধ নয়। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহগুলো আগের, যা হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই ছিল।

ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষের কথা সত্য হলে এই পাঁচজন মানুষ কিভাবে মারা গেল? কখন মারা গেল? ও হ্যাঁ, ইউনাইটেডের কোভিড-১৯ ইউনিটে এখন আর কোনো করোনা রোগী নেই। আগুন লাগলেই শর্ট সার্কিট অথবা এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণ এই ভাঙা রেকর্ড আর কত?

''সুষ্ঠু তদন্ত হোক''

লেখক: ফজলুল হালিম রানা, এসোসিয়েট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট চেয়ারপার্সন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা