সামাদকে ঘিরে যত কিংবদন্তি গল্প প্রচলিত, ততটা আসলে পেলে কিংবা ম্যারাডোনাকে ঘিরেও নেই। সামাদ ছিলেন একদম স্বতন্ত্র ঘরানার ফুটবলার। ব্রিটিশ শাসনের যাঁতাকলে এদেশের কত সোনালী অর্জন, সম্পদ হারিয়ে গেছে। আমাদের সংরক্ষণে নেই সামাদের কীর্তি।

বিংশ শতাব্দীর কথা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনজুড়ে সন্ধ্যে নামার আয়োজন। শেষ বিকেলের দিকে ইডেন গার্ডেনের উল্টা পাশের ফুটপাত ধরে আনমনে হেঁটে যাচ্ছিলেন একজন। মানুষটা প্রায় ছয় ফুট লম্বা। হঠাৎ করেই তার পাশে এসে হুট করে একটা গাড়ি থামলো। গাড়িতে বসেছিলেন অবিভক্ত বাংলার স্বয়ং গভর্ণর। তিনি গাড়ি থেকে নেমে এলেন, সাথে তার সুন্দরী কন্যাও নেমে দাঁড়ালেন। গভর্ণর সাহেব আচমকাই ছয় ফুট লম্বা মানুষটাকে জড়িয়ে ধরলেন। এমনভাবে আঁকড়ে ধরলেন যেন এইজনমে আর ছাড়বেন না। ছয় ফুট লম্বা মানুষটি ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গেলেন। গভর্ণরের সাথে থাকা প্রটোকলের লোকজনও অবাক। স্যার এইটা কী করছে! একটা ফুটপাতের মানুষকে জড়িয়ে ধরলো! ঘটনা কী? গভর্ণর ছয় ফুট লম্বা লোকটার সাথে কুশল বিনিময় করলেন। তারপর নিজ কন্যাকে ডেকে বললেন, “এসো, ফুটবলের জাদুকরের সঙ্গে পরিচিত হও (Meet the wizard of football)”। কী অদ্ভুত ঘটনা না? তিনি কী এমন যে একজন গভর্ণর তাকে এভাবে পরিচয় করিয়ে দেবেন? তাও আবার নাকি ফুটবল জাদুকর! কী এমন জাদু দেখিয়েছেন এই লোকটা? 

লোকটার নাম সৈয়দ আবদুস সামাদ। ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হয়, তখন তিনি পূর্ব পাকিস্থানে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। স্বাধীন বাংলার ভুখন্ডে তিনি জন্ম নেননি, জীবিত ছিলেন স্বাধীনতা পর্যন্তও; কিন্তু ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হলো তখন তিনি এদেশের মাটিকেই নিজের দেশ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এই কথাটি বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো এই মানুষটির কথা বাংলাদেশের অনেকে জানেও না। বিশেষ করে এই প্রজন্মের ফুটবল যখন মোটিভেশনহীনতা ও আইকনহীনতায় ভুগছে তখন তাদেরকে কেউ স্মরণ করিয়ে দেয় না যে এই ভুখন্ডে একজন ফুটবল জাদুকর ছিলেন। র‍্যাংকিংয়ের ১৮৭তম দলটিকে কেউ মনে করিয়ে দেয় না যে এই দেশে ছিলেন একজন দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার।

শৈশব কৈশোরের দিনগুলোতে ফুটবল 

১৮৯৫ সাল। সৈয়দ আবদুস সামাদ সে বছর জন্মেছিলেন একটি দরিদ্র পরিবারে। পিতা সৈয়দ ফজলুল বারী সরকারি চাকরি করতেন। চাকরি সূত্রে তিনি থাকতেন বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। সামাদ পূর্ণিয়ার ধুলাবালি মাখা মাঠে পড়ে থাকতেন। একা থাকতেন না, তার সাথে থাকতো ফুটবল। ছোটবেলা থেকেই তার ফুটবল প্রতিভা ডানা মেলতে শুরু করে। ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহটা বাড়াবাড়ি রকমের। পড়াশুনায় একটুও মন বসতো না। মন চলে যেতো ফুটবলের মধ্যে। মাত্র অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। এরপর আর হলো না, পড়ালেখা ছেড়ে দিলেন। ইচ্ছে করেই ছাড়লেন কি না কে জানে, হয়তো দারিদ্রের একটা প্রভাবও ছিলো সেখানটায়। পড়া ছেড়ে মাঠে পড়ে থাকতেন সামাদ। পূর্ণিয়ার দিনগুলো ছিল তার কাছে স্বপ্নের মতো দিন। খেলাটার প্রতি তার নিবেদন ছিলো দেখার মতো।

পূর্ণিয়ার জুনিয়র একাদশে যখন খেলা শুরু করলেন, শুরুতেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন সামাদ। কী তার গতি- যেন ক্ষীপ্র চিতা, কী অমায়িক মুগ্ধতা ছড়ানো ড্রিবলিং। বয়স তখন কত? অল্পই। ১৬/১৭ হবে। এই বয়সেই কলকাতার বড় বড় ক্লাবের কোচ-ম্যানেজাররা তার পেছনে লাইন ধরে। তাদের কাছে খবর রটে যায় সামাদ আলাদা জিনিস। তাকে দলে ভেড়াতেই হবে যে করেই হোক। সামাদও ফুটবলে জীবন নিবেদনের ইচ্ছা নিয়ে ১৭ বছর বয়সে পাড়ি জমালেন কলকাতার মহানগরে।

তরুণ আবদুস সামাদ

ফুটবল ক্যারিয়ার 

১৯২১ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত তিনি খেলেছেন বিখ্যাত ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের হয়ে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তিনি অবিভক্ত ভারতবর্ষের জাতীয় দলেও খেলেছেন। সামাদ এর পারফর্মেন্স এতোই অসাধারণ ছিলো যে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলো ভারতবর্ষের অধিনায়কত্ব! তিনি সে সময় ভারতের হয়ে বার্মা (মিয়ানমার), সিলোন (শ্রীলঙ্কা), সুমাত্রা-জাভা-বোর্নিও (ইন্দোনেশিয়া), মালয় (মালয়েশিয়া), সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন ও ইংল্যান্ড সফর করেন।  ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা মোহামেডানে। সামাদ প্রায় একক কৃতিত্বে টানা পাঁচবার কলকাতা মোহামেডানকে সিনিয়র ডিভিশন লিগে চ্যাম্পিয়ন করেন। এই সময়ে “আইএফএ শিল্ড”ও ঘরে তুলেছিল মোহামেডান।

জাদুকর সামাদ

সামাদ তার ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন কিছু নিদর্শন দেখিয়েছেন যে তাকে ফুটবল জাদুকর মানতে বাধ্য হয়েছিলো তৎকালীন সময়কার সব স্তরের মানুষ। এমনকি ব্রিটিশরাও এই ফুটবল খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে বিস্মিত হয়েছে। উপমহাদেশে এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় সামাদ, যাকে ফুটবল জাদুকর উপাধি দেয়া হয়েছে। এর পেছনেও কারণও রয়েছে। সামাদ সাধারণ কেউ ছিলেন না, তিনি জন্মেছিলেন অসময়ে,একটি অনগ্রসর ভূখণ্ডে কিন্তু তার সৃষ্টি ছিল অসাধারণ। তিনি ছিলেন একটি বিশেষ ও বিরল প্রতিভা। জাদুকর সামাদের সৃষ্টিশীলতার উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি গল্প উল্লেখ করা প্রয়োজন। 

১. সর্ব-ভারতীয় ফুটবল দল গেলো লন্ডনে। গ্রেট-ব্রিটেন ফুটবল দলের বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচ। গ্রেট ব্রিটেনের দলটা নাক সিটকানো শুরু করলো। তারা ভারতবর্ষের পুঁচকে খেলোয়াড়দের সাথে খেলার ব্যাপারে আগ্রহী না। তার উপর তারা হচ্ছে ব্রিটিশ জাতি। তারা ভারতবর্ষ শাসন করছে। তাই ভারতবর্ষকে তারা নিচু চোখে দেখে সব দিক থেকেই। খেলার বিষয়ে তাই তারা তেমন আগ্রহ বোধ করলো না। কিন্তু সর্ব-ভারতীয় ফুটবল দলের এই সফরে ছিলেন সামাদ নামে একজন বাঙ্গালী ফুটবলার। তিনি বিপত্তি বাঁধালেন। শক্তিশালী ব্রিটিশ দলটাকে সামাদ ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বসলেন। তিনি বললেন, গ্রেট ব্রিটেন ফুটবল দলকে গুণে গুণে এক হালি গোল খাওয়াবেন!  পুরো লন্ডন নড়েচড়ে বসলো! এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি।

এই বোকা বাঙ্গালের চ্যালেঞ্জে ব্রিটিশদের মাথা চড়ে গেলো। গ্রেট ব্রিটেন খেলতে রাজী হয়ে গেলো। খেলায় জিতেই তারা সামাদকে আচ্ছামতো নাকানি-চুবানি খাওয়াবে। এমনটাই প্ল্যান তাদের। খেলা শুরু হলো। বিপুল পরিমাণ দর্শক সমাগম হয়েছে। বিলেতি ম্যামরাও মাঠে এসেছেন। সামাদকে কিভাবে নাস্তানাবুদ করা হবে সেটাই দেখতে এসেছেন তারা। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর বিলাতি ম্যামদের ফরসা চোখ মুখ লাল হয়ে যেতে শুরু করলো। সামাদ সেই খেলায় একদম গুণে গুণে চারটা গোলই করলেন! সর্ব-ভারতীয় ফুটবল দল গ্রেট-ব্রিটেনকে ৪-১ গোলে পরাজিত করলো। গোটা ইউরোপ হতভম্ব হয়ে যায়। সামাদের ফুটবল নৈপুণ্যে আবেগে বিহ্বল হয়ে পড়ে ইউরোপবাসী। তারা সামাদকে “ফুটবল জাদুকর” উপাধি প্রদান করলো। সেই সময় এক স্কটিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন, ”সামাদ ইউরোপে জন্মগ্রহণ করলে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃতি পেত।“ সামাদ এতটাই অসাধারণ ছিলেন তার গোটা ক্যারিয়ার জুড়ে! 

২. জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ চীন। সামাদও খেলছেন এই ম্যাচে। কিন্তু পরিস্থিতি এবার অনুকূলে নেই। কারণ, চীন বেশ ভালো খেলছিলো। তারা তিন তিনটা গোল দিয়ে ফেলেছে। ৩-০ তে এগিয়ে আছে চীন ভারতবর্ষের বিপক্ষে। এই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে রুপকথা সৃষ্টি করতে হবে। সামাদ যেন রুপকথার নায়ক। তিনি সেদিন মাঠে নতুন করে রুপকথার সৃষ্টি করলেন। ৩-০ তে পিছিয়ে পড়া ম্যাচটার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। একাই চারটা গোল দিলেন। ভারতবর্ষ জিতে গেলো ৪-৩ গোলে! এও সম্ভব? সামাদ ছিলেন সম্ভব-অসম্ভব এর বাইরে বেসম্ভব এক প্রতিভা। তাই এমন ঝলক শুধু তার পক্ষেই দেখানো সম্ভব। 

৩. ইন্দোনেশিয়া সফরের গল্প। সর্ব-ভারতীয় ফুটবল দল গিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাভায়। খেলা শুরু হলো। সামাদ স্বভাবসুলভ তার ক্যারিশমা দেখাতে শুরু করেছেন। চার পাঁচজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ড্রিবলিং করতে করতে আচমকা এক তীব্র শট নিলেন গোলপোস্টের দিকে। বল গিয়ে লাগলো গোলপোস্টের ওপরের ক্রসবারে। সামাদ খুবই বিস্মিত হলেন। কারণ, তিনি খুব একুরেট শট করেন। মাপা শটে গোল না হওয়ায় তিনি মনঃক্ষুণ্ণ হন। কিছুক্ষণ পর আবারো একই ঘটনা ঘটলো। সামাদ এবার চ্যালেঞ্জ করলেন রেফারিকে। তিনি অভিযোগ করলেন, “গোলপোস্টের উচ্চতা কম আছে। তা না হলে আমার দুটি শটেই গোল হতো।“ সামাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফিতা দিয়ে মাপা হলো গোলপোস্ট। দেখা গেল সত্যিই গোলপোস্টের উচ্চতা স্ট্যান্ডার্ড মাপের চেয়ে চার ইঞ্চি কম রয়েছে! 

৪. সামাদ শট নিয়েছেন কিন্তু গোল হয়নি এবং পরে তিনি গোলপোস্ট মেপে দেখার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন এই ঘটনা বেশ কয়েকবারই ঘটেছে। ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকতে থাকতে আর এই খেলাটার প্রতি তীব্র প্যাশন থাকাতে এই বিরল গুণটি সামাদের মধ্যে সহজাত হয়ে গিয়েছিলো। একদিন ফুটবল মাঠে পায়চারি করছিলেন জাদুকর সামাদ। কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হবে। তাই মাঠের ভেতরে একটু ঘুরে দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর সামাদ বললেন, এই মাঠে আমার দল খেলবে না। কারণ কি? তিনি ক্রীড়া কমিটির কাছে গিয়ে কারণটা বললেন। এই মাঠ আন্তজার্তিক মাপের তুলনায় ছোট। তাই এ মাঠে খেলতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন সামাদ। ক্রীড়া কমিটি পরে মাঠ পরিমাপ করে দেখলো। আসলেই তাই। এতদিন ধরে এই মাঠে খেলা হচ্ছে কিন্তু কেউ বিষয়টা ধরতে পারলো না। মাঠ আসলেই আন্তর্জাতিক মাপের চেয়ে ছোট ছিলো!

বয়স্ক আবদুস সামাদ

***  স্বতন্ত্র ফুটবলের এই জাদুকর জীবনের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ১৯৩৬ সালে। রেলওয়ে দলের হয়ে ইস্টবেঙ্গল দলের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে মাঠে আহত হন। ইনজুরি বেশ গুরুতর হওয়ায় তখন থেকেই সকল ধরণের প্রতিযোগিতামূলক খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এই ফুটবলের রাজপুত্র। বিশেষণের খাতিরে তাকে রাজপুত্র বললাম কিন্তু একই সাথে লজ্জিত অনুভব করছি এ কারণে যে সৈয়দ আবদুস সামাদ আসলে বিস্মৃত নাম এই বাংলায়। তার জন্ম যেমন হয়েছিল একটি দরিদ্র পরিবারে, মৃত্যুকালেও তাকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিলো। তীব্র দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে,বিনাচিকিৎসায় ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারী মানুষটা মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুর আগে একবার তিনি বলেছিলেন, “আমি তো নিঃশেষ হয়ে গেছি। আমার প্রাপ্য মর্যাদা আমি পেলাম না। আমি ধুঁকে ধুঁকে মরে যাব, সে-ই ভালো। কারো করুণা এবং অনুগ্রহের প্রত্যাশী আমি নই।” হায়! সামাদ শেষ বয়সে যেভাবে ধুঁকেছেন আমাদের ফুটবলেরও যেন শেষ সময়,আমাদের ফুটবলও যেন এখন সেভাবেই ধুঁকছে। গুণীর কদর কে করেছে কবে এদেশে! সামাদকে ঘিরে যত কিংবদন্তি গল্প প্রচলিত, ততটা আসলে পেলে কিংবা ম্যারাডোনাকে ঘিরেও নেই। সামাদ ছিলেন একদম স্বতন্ত্র ঘরানার ফুটবলার। সামাদ যে সময়টায় খেলেছেন সে সময় আজকের মতো এত টেলিভিশন বা সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি ছিল না। তার উপর সামাদের জন্ম এমন একটি ভৌগলিক সীমানায় যারা আজন্ম অবহেলিত। ব্রিটিশ শাসনের যাঁতাকলে এদেশের কত সোনালী অর্জন, সম্পদ হারিয়ে গেছে। আমাদের সংরক্ষণে নেই সামাদের কীর্তি। আমাদের পূর্বপুরুষদের মুখে মুখে প্রচলিত কিংবদন্তী গল্পগুলো একদিন হারিয়ে যাবে। একদিন হারিয়ে যাবে জাদুকর সামাদের নাম, তার কীর্তি। কেউ হয়তো জানবেও না, আমাদেরও ছিল একজন জাদুকর,আমাদের এই ভূখন্ডে ছিলেন একজন মুকুটহীন সম্রাট।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা