বিচার না করতে করতে দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেলেন আপনারা!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
দেশের উন্নয়ন, রাজনীতি, বন্ধু- শত্রুর খেলা... বিশ্বাস করেন। সবকিছুর প্রতি আমাদের আগ্রহ তলানিতে। আমরা এসব নিয়ে আর ভাবি না। শুধু বেঁচে থাকার মত একটা পরিবেশ চাই। আমাদের মেয়েদের বাঁচাতে চাই।
ধর্ষণ করার পর লাইভে এসে চার শুওরে বলছে, হ্যালো ফ্রেন্ডস! কাল জেলে যেতে পারি। আর দেখা হবে না।
বিচার না করতে করতে দেশটারে কোথায় নিয়ে গেলেন আপনারা। এই সমাজে একটা মেয়ে নিরাপদ না। ঘরে- ঘরের বাইরে কোথাও না। আমাদের পুরো দেশের সব সিস্টেম বন্ধ করে দিয়ে সবার আগে ধর্ষকদের বিচারের নতুন আইন করা দরকার। এক মাসের মধ্যে এই মামলার রায় হবে। একটাই শাস্তি, ধর্ষকের ফাঁসি।
দেশের উন্নয়ন, রাজনীতি, বন্ধু- শত্রুর খেলা... বিশ্বাস করেন। সবকিছুর প্রতি আমাদের আগ্রহ তলানিতে। আমরা এসব নিয়ে আর ভাবি না। শুধু বেঁচে থাকার মত একটা পরিবেশ চাই। আমাদের মেয়েদের বাঁচাতে চাই।
দেশের সব কাজ বন্ধ করে দিয়ে হলেও আপনারা প্লিজ ভাবুন। আপনারা যারা নীতিনির্ধারণ করেন। আপনারা দয়া করে বসুন। তাতে দেশ যদি বন্ধ হয়ে থাকে, থাকুক। দেশের উন্নয়ন দশ বছর পিছিয়ে গেলে, যাক। আমাদের এতকিছু দরকার নাই। যে দেশের হাঁটুর বয়সী ছেলেরা ফেসবুকে লাইভে এসে হাসতে হাসতে ধর্ষণ পার্টি করতে পারে সে জাতির আর কিচ্ছু দরকার নাই। সেই জাতির শুধু মানুষ হওয়া প্রয়োজন।
আপনারা যারা ওয়াজ মাহফিল করেন। ধর্ম নিয়ে ভালো ভালো কথা বলেন। আপনাদের যাদের মাস অডিয়েন্স আছে। একদম রুট লেভেল থেকে কাউন্সিলিং করার সুযোগ আছে আপনারা প্লিজ এসব নিয়ে কথা বলুন। জামা কাপড়ের অজুহাতের বাইরে এসে মেয়েদের জীবন নিয়ে কথা বলুন। তাদের বাঁচাতে কথা বলুন। হ্যারেসমেন্ট বন্ধের সামাজিক দায়িত্ব পালন করার সবচেয়ে বড় সুযোগ আপনাদের।
ফেমিনিজম, নারী অধিকার এসবের আগে আমাদের দরকার নারী নিরাপত্তা। রেস্টুরেন্টের বিল শেয়ার করার ফেসবুকের খোটার পাশাপাশি তার জন্য হান্ড্রেড পার্স্টেন্ট সেফ ওয়ার্ক এনভিরনমেন্ট ক্রিয়েট করুন। তারা চলাফেলা- জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তারপর দেখবেন তার বিল সে নিজেই পে করবে।
প্রচুর মেয়ে যাদের ক্যালিবার অনেক হাই। কিন্তু তারা বাইরের দুনিয়াটাকে ভয় পায়। এই একটা ভয় নিয়ে সারাটাজীবন কেটে যায়। একটা শরীর সামলাতে গিয়ে তাদের মাথাটাই তারা ব্যবহার করার সুযোগ পায় না কখনও।
সমান সমান ব্যাপারটা দরকার নিরাপত্তায়। রাত দুইটার সময় রাস্তায় বের হলে আমি আমার ফোন, ওয়ালেট হাইজ্যাক হওয়ার ভয়ে যেমন থাকি একটা মেয়েও থাকবে ঠিক তেমনই। সে শরীর হারানোর ভয়ে থাকবে না। এটা কোন সভ্য সমাজ হতে পারে না। এই অসভ্য জাতি কখনও মানুষ হতে পারে না। প্রতিটা এমন ঘটনার পর আমার নিজেকে ছোট লাগে মায়ের কাছে। ছোট লাগে আমার বোনের কাছে। ছোট লাগে ভালোবাসার মানুষটার কাছে।
অন্তত আমাদের মত দেশে লেডিস ফার্স্ট না হয়ে হোক লেডিস সেফটি ফার্স্ট। তাকে সামনে যেতে দিয়ে পেছন থেকে তাকে প্রোটেক্ট করতে পারাতেই পুরুষত্ব প্রমাণ না করে তার জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করা খুব জরুরী। যেখানে সে একা একাই চলতে পারবে। হাজারও সুস্থ মানুষের ভিড়ে একজন সাধরণ মানুষ হয়ে...