শুধুমাত্র ফেসবুক রিএকশন বাটনে চাপ দিয়েই তো জীবন পরিবর্তন করা যায় না, দরকার ফলপ্রসু উদ্যোগ। একক প্রচেষ্টায় সেই উদ্যোগই গ্রহণ করেছেন জিএমবি আকাশ। পরিবর্তন এনেছেন শতাধিক শ্রমজীবী শিশু ও তাদের পরিবারের জীবনে...

জিএমবি আকাশ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন বাংলাদেশী আলোকচিত্রী। ছবি তোলাই যার কাজ, অথচ সেই কাজের সীমানা পেরিয়ে নিজের সীমিত আয় দিয়ে একক প্রচেষ্টায় ১৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন সুবিধাবঞ্চিত শ্রমজীবি শিশুদের নিয়ে। সম্প্রতি, আরো ৫ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর আজীবনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জিএমবি আকাশ। সেই ছবি শেয়ার করেছেন তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে। এই নিয়ে গত দুই মাসে ১০ জন শ্রমজীবী শিশুদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি।

নিজের ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যখন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ছবি তুলতেন, তখন থেকেই ইচ্ছে ছিলো তাদের জীবন পরিবর্তনে কিছু করার। সে ইচ্ছা থেকেই সরাসরি এমন কিছু  করবার তাগিদ আসে যাতে এ মানুষগুলোর জীবনে তার প্রভাব বিদ্যমান হয়। প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শ্রমজীবী শিশুদের পরিবারকে বোঝানো লাগতো। তারা বুঝতে চাইতেন না। তারা চাইতেন আয়ের উৎস কিংবা বিকল্প কোনো পথ। সেই ব্যবস্থাও করে দিলেন আস্তে আস্তে। শতাধিক পরিবারের দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আর এভাবেই একক প্রচেষ্টায় বদলে দিচ্ছেন প্রেক্ষাপট।

জিএমবি আকাশ

শুধু স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়ে যান না আকাশ, নিয়মিত সেই শিশু এবং তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখেন। লেখাপড়া থেকে শুরু করে তাদের এবং তাদের পরিবারের জীবনযাপনের জন্য দরকারি প্রয়োজনও পূরণ করেন তিনি।  খুব শীঘ্রই আরো ২০ জন শ্রমজীবী শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার। আপনি একাই পৃথিবীটা বদলাতে পারবেন না। তবে কারো না কারো পৃথিবী অবশ্যই বদলাতে পারেন। এমনই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছেন জিএমবি আকাশ।  

হয়তো নামে চেনেন তাকে কিংবা ফেসবুকে দেখেছেন তার ফটোস্টোরি। তার চেষ্টায় দারিদ্র্য ও অশিক্ষার কবল থেকে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে কমপক্ষে শতাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ। সেসব শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি, দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের পরিবারেরও। নিশ্চিত করেছেন তাদের আয়ের উৎস। শুধুমাত্র কয়েক দিন, মাস কিংবা বছর নয়। এসব সুবিধাবঞ্চিত শ্রমজীবী শিশুদের আজীবনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

একটি ইউনিফর্ম বদলে দিতে পারে একটি শিশুর মখের হাসি ও ভবিষ্যত 

আকাশের ইচ্ছে শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা, তাদের জীবনে পরিবর্তন আনা, যতদূর সম্ভব! শুধুমাত্র ফেসবুক রিএকশন বাটনে চাপ দিয়েই তো জীবন পরিবর্তন করা যায় না, দরকার ফলপ্রসু উদ্যোগ। একক প্রচেষ্টায় সেই উদ্যোগই গ্রহণ করেছেন জিএমবি আকাশ। আপনিও যদি এই মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে চান তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুক GMB Akash , টুইটার @GmbAkash , ইন্সটাগ্রাম gmbakash আইডিতে অথবা মেইল করতে পারেন akashphoto@gmail.com এই ঠিকানায়। আপনার আমার সহযোগিতায় এগিয়ে চলুক জিএমবি আকাশ, এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ।   

আরো পড়ুনঃ একজন আকাশ ও তার বিশালতার গল্প!


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা