ঘুরে বেড়ানোটা অনেকের কাছে নেশার মতো, আবার অনেকের কাছে শখ। ব্যস্ত জীবনের হাজারটা ঝামেলা থেকে ছুটি ম্যানেজ করে একটু দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি উড়াল দিতে কে না চায়! কিন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় সাধ আর সাধ্যের ব্যবধানটা। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের জন্য বেড়ানোটা একরকম বিলাসিতার মতোই ব্যাপার।

আচ্ছা, কেমন হয়, যদি ঘুরে বেড়ানোর টাকাটা ঋণ হিসেবে দেয়া হয় আপনাকে? যেটা আপনি ছয় মাসের মধ্যে বিনা সুদে ফেরত দিতে পারবেন! আর ছয় মাসের বেশি সময় নিলে যে বাড়তি টাকাটা দিতে হবে, সেটার পরিমাণও সামান্যই। বাংলাদেশের প্রথম ট্র্যাভেল অ্যাডভোকেসি ব্র্যান্ড 'গো যায়ান' নিয়ে এসেছে ট্র্যাভেলারদের জন্যে দারুণ এই ঋণের সুযোগ, যেটির নাম দেয়া হয়েছে 'ট্র্যাভেল লোন'। দারুণ এই উদ্যোগে গো যায়ানের সাথে কোলাবোরেশান করেছে আইপিডিসি ফিন্যান্স।

প্রক্রিয়াটা সহজ। প্রথমেই গো যায়ান ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ট্র‍্যাভেল লোনের জন্যে আবেদন করতে হবে, কিছু ডকুমেন্ট এবং তথ্য দিতে হবে সেখানে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঋণ গ্রাহকের হাতে এসে পৌঁছুবে, যদি তিনি সেটি পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হন। সর্বোচ্চ দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে এই ট্র্যাভেল লোনের আওতায়, পরিশোধের সময়সীমা আঠারো মাস পর্যন্ত। তবে ছয় মাসের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিলে গুণতে হবে না বাড়তি কোন টাকা। আর এর বেশি হলে সময়ের সাথে সুদের হার বাড়বে। সেটাও সর্বোচ্চ দশ পার্সেন্টের বেশি নয়।

তবে এই ঋণ পেতে হলে ছোটখাটো কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, আপাতত শুধু চাকুরীজীবীরাই এই ঋণ পাবেন। আর ট্র্যাভেল লোন নেয়ার জন্যে স্যালারি একাউন্ট থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রতি মাসের বেতনটা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে (অবশ্যই বৈধ) জমা হবার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। আর মাসিক বেতন হতে হবে কমপক্ষে বিশ হাজার টাকা, তাহলেই আপনি ট্র্যাভেল লোন পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।

গো যায়ান দিচ্ছে দারুণ এই সুযোগ!

ট্র্যাভেল লোন নেয়ার জন্যে যেসব ডকুমেন্ট লাগবে- পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ন্যাশনাল আইডি কার্ড/স্মার্ট কার্ড, অফিস আইডি/ভিজিটিং কার্ড, স্যালারি স্টেটমেন্ট। এই ডকুমেন্টগুলোর সফট কপি (আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে উভয় পাশ) গো যায়ান ওয়েবসাইটের ট্র্যাভেল লোন আবেদনের পেজে গিয়ে আপলোড করলেই আপনার আবেদন যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, এই ট্র্যাভেল লোন নেয়ার জন্যে জামিনদার হিসেবে কাউকেই লাগবে না!

ট্র্যাভেল লোন গ্রাহককে দেয়া হলে সেটা তিন মাসের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে, নইলে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে। কমপক্ষে ১০% ডাউন পেমেন্ট প্রদান করতে হবে প্রতিটি ট্র্যাভেল লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে, অর্থাৎ ২০০০০ টাকা ঋণ নিলে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট জমা রাখতে হবে। এই ট্র্যাভেল লোন দিয়ে আপনি গো জায়ানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিমানের টিকেট, হোটেল বুকিং এবং ট্র‍্যাভেল প্যাকেজ কিনতে পারবেন। একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে একাধিক ট্র্যাভেল লোনের জন্যেও বিবেচিত হতে পারবেন। তবে সর্বমোট ঋণের পরিমাণ দুই লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবে না।

এর বাইরে ট্র্যাভেল লোন নিয়ে আর কিছু জানার থাকলে ঘুরে আসতে পারেন গো যায়ানের ওয়েবসাইটে, সেখানে গ্রাহকের প্রতিটি প্রশ্নেরই জবাব দেয়া আছে। চাকুরীজীবীদের জন্যে আপাতত এই ট্র্যাভেল লোনের কার্যক্রম শুরু হলেও, ভবিষ্যতে ছাত্র এবং অন্য সবার জন্যেও চালু হবে- এমন আশা করাই যায়।

ঘুরে বেড়ানোর পোকা যারা, কিংবা যারা শুধু বাজেটের চিন্তায় ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে যেতে পারছেন না, তাদের জন্যে এটি দারুণ একটা অফার, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাহলে আর অপেক্ষা কেন? নগদ টাকা হাতে না থাকলেও পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না!

 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা