ব্রেকিং: সাধারণ ছুটি ঘোষণা, মঙ্গলবার থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
আগামী ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারী-বেসরকারী অফিস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, আগামীকাল থেকে করোনা প্রতিরোধে কাজে লাগানো হবে সেনাবাহিনীকে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন তারা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়টায় একটা কথা খুব বেশি শোনা যাচ্ছে- লকডাউন। সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার মোকাবেলায় এই পথে হেঁটেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের কয়েকটা রাজ্যেও জারী করা হয়েছে কারফিউ বা লকডাউন। বাংলাদেশের কয়েকটা এলাকাতেও এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তবে পুরো বাংলাদেশ লকডাউন করে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায় আরেকটু ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। তবে সরকারী-বেসরকারী সব অফিস আগামী ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে অঘোষিত লকডাউনের পথে ইতিমধ্যেই হাঁটা শুরু করেছে বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সকল অফিস-আদালত আগামী ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতালসহ জরুরি সেবা বিভাগগুলো এই ঘোষণার আওতায় থাকবে না। কিছুক্ষণ আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সরকারী অফিস-আদালত বন্ধের সিদ্ধান্তটাকে লকডাউন হিসেবে দাবী করা হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ স্থানীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ঠিক লকডাউন না। অর্থাৎ মানুষের কাজ থাকবে না, ফলে ঘরের বাইরে বের হবার উৎসাহও থাকবে না কারো মধ্যে। সরকারের পক্ষ থেকেও বাসা থেকে বের না হয়ে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হবে সবাইকে।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, সেখানেও এই অনুরোধ করা হবে। এতে কার্যত লকডাউনের মতোই একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে যানবাহন চলাচল ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করা হবে না। মানুষ বের না হলে এমনিতেই যানবাহন ও নৌযান চলাচল কমে যাবে। আর রেল চলাচল কমিয়ে আনতে কাজ করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সকল স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়। পেছানো হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। সকল দোকান, বিপণি বিতান ২৫শে মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। করোনার ফলাফল খারাপের দিকে গেলে এই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেই জানা গেছে।