মুজিবকে জনতার কাছে আওয়ামীলীগ ফিরিয়ে দেবে না। জনতার মুজিবকে জনতাকেই আওয়ামী লীগের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হবে।

একটা শ্লোগান ছিল, 'যেই মুজিব জনতার / সেই মুজিব মরে নাই'

মুজিব শতবর্ষে সরকার বহু ফাত্রামি করেছে। শুরুই করেছে হাস্যকর লেজার লাইট শো দিয়ে। এরপর বইমেলায় এই বছর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই বেরিয়েছে কয়েক হাজার, যার ৭৫ ভাগই আলতু-ফালতু। করোনার মাঝেও ২০০০ কোটি টাকার লুটপাট হয়েছে মুজিবকে সামনে রেখে। এ সবকিছু দেখে দেখে সাধারণ জনগণ মুজিবের কাছ থেকে আরও দূরে সরে গেছে। 

আমার প্রশ্ন হচ্ছে সিভিল সোসাইটি, সচেতন নাগরিকরা কেন পাল্টা একটা মুজিবকে দাঁড় করাচ্ছে না? দাঁড় করালে সেই মুজিবটা কোথায়? যেই মুজিব জনতার, সেই মুজিব না হয় মরে নাই, কিন্তু সেই মুজিবের জন্ম তো হয়েছিল? মুজিবের ১০০তম জন্মবার্ষিকী তো তাঁকে স্মরণ করার গুরুত্বপূর্ণ সময়।

মুজিবকে জনতার কাছে আওয়ামীলীগ ফিরিয়ে দেবে না। জনতার মুজিবকে জনতারই আওয়ামী লীগের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য জনতারও মুজিব চর্চা করতে হবে। মুজিবকে ব্যবহার করেই আওয়ামী লীগকে পয়েন্টে পয়েন্টে বুঝিয়ে দিতে হবে তাদের অপকর্মগুলো। 

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখছেন, 
'রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনাবিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কতবড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।'

আমরা কাজলের মুক্তি চাই
আমরা দিদারের মুক্তি চাই
আমরা কিশোরের মুক্তি চাই

যেই মুজিব জনতার, যেই মুজিব মরে নাই, সেই মুজিব আসলে কাজল, সেই মুজিব আসলে কিশোর, সেই মুজিব আসলে দিদার।


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা