তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক দেশে, চাকরি করেছেন বিভিন্ন জায়গায়, কিন্তু শিকড়টা পোঁতা ছিল কলকাতায়ই। একদিন হঠাৎ চাকরি ছেড়ে, সব ছেড়েছুড়ে কলকাতায় চলে এলেন। বাবা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- তুমি যেটা করছো জীবন নিয়ে, সেটা এডভেঞ্চার নয়, ম্যাডভেঞ্চার!'

সৈকত রহমান:

কবীর সুমনকে যত বেশি জানছি তত বিস্মিত হচ্ছি। এক জীবনে তার যত অভিজ্ঞতা, ভালো লেখকের হাতে পড়লে চমৎকার একটা বই লিখে ফেলতে পারতো। সুন্দর মুভি বানানো যাবে তাঁর জীবনপ্রবাহ নিয়ে। কবীর সুমনের জন্ম হয়েছিল কটকে, সুমন চট্টোপাধ্যায় হিসেবে। তবে শেষকালে নামের শেষে চট্টোপাধ্যায়টা টিকতে পারেনি, একান্ন বছর বয়সে মুসলমান হয়ে নামের শেষাংশ বাদ দিয়ে সামনে একটা কবির জুটিয়ে তিনি কবীর সুমন হয়ে যান। 

ঠিক ঐ সময়ই প্রথিতযশা শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে সম্পর্কে জড়েছিলেন বলে অনেকে ভাবতে পারেন প্রেমের টানে বুঝি তিনি মুসলমান হয়েছেন। কিংবা অনেক ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাও হয়তো খুশি হতে পারেন একজন হিন্দু তাও আবার ব্রাহ্মণের মুসলমান হয়ে যাওয়াতে। কিন্তু সত্য হলো তিনি ইসলামের প্রতি প্রচন্ড অনুরাগ থেকে কিংবা প্রেমের টান দুটোর কোনো কারণেই ধর্মান্তরিত হোন নি, বরং ভারতবর্ষে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া নির্যাতনে ব্যথিত হয়ে তিনি ঠিক করলেন- শোষক এই সংখ্যাগুরুদের দলে আর থাকবেন না। 

ধর্মের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ কোনকালেই ছিল না, সব ধর্মই সমান মানেন। কিন্তু গোঁড়া ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আর সেইসব গোঁড়া মানুষের প্রতি ছিল তাঁর বিদ্বেষ যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ মারতেও কুন্ঠাবোধ করে না। দুই নাবালক পুত্রসহ ফাদার গ্রাহাম স্টেইন্সকে উড়িষ্যায় হিন্দুদের দ্বারা জীবন্ত পুড়িয়ে মারা তাঁকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে, দাঙ্গায় মুসলমানদের মৃত্যু তাঁকে কষ্ট দিয়েছে, পুলিশের হাতে তাঁর পরিচিত বান্ধবীর ধর্ষিত হওয়া তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। 

তাই সিদ্ধান্ত নিলেন সাংবিধানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষতার দেশে সংখ্যায় বেশি হওয়ার জন্যই যে ধর্মের অনুসারীরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের আঘাত করে সেই অনুসারীদের সাথে তিনি ধর্ম ভাগাভাগি করবেন না। এজন্য সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় যত ডকুমেন্টস আছে সবখানে চট্টোপাধ্যায় কেটে হয়ে যান আজকের কবীর সুমন। তিনি খ্রিস্টানও হতে পারতেন। একজন যীশু যিনি শুধুমাত্র শিষ্যদের মঙ্গলের জন্য হাতে পায়ে পেরেক গুঁজে ঝুলে আছেন, এই ছবিটার যে নির্মম আবেদন, এটা উপেক্ষা করার শক্তি তাঁর নেই, এখনও নেই। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মতো একজন গ্রেট লিডার, গ্রেট প্রফেটের ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে শেষমেশ মুসলমানই হয়ে যান।

কবীর সুমন

আবার বলে রাখা ভালো, হিন্দু ধর্মের প্রতি তার বিন্দুমাত্র বিদ্বেষ নেই, বিশ্বের কোনো ধর্মের প্রতিই তার বিদ্বেষ নেই। তার এখন মাঝেমাঝে মনে হয় খ্রিস্টান হবেন। অর্থাৎ এইসব ধর্ম তাঁর কাছে প্রধান ফ্যাক্ট না। যে ধর্ম তাঁর কাছে ধ্রুব তা হলো সঙ্গীত ধর্ম আর মানবধর্ম। তাঁর গানেই এর আঁচ পাওয়া যায়- 'পাকস্থলীতে তো ইসলাম নেই, নেইকো হিন্দুয়ানী তাতে যাহা জল তাহাই পানি।' 

তিনি ছোটবেলা থেকেই গান শিখতেন। সংস্কৃতমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন খেয়াল, রাগ, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, আধুনিক বাংলা গান সহ সমসাময়িক সব গান শিখে শিখে। কৈশোরের শেষ অবধি সেসব গানই করেছেন। কিন্তু এরপর হাওয়া বদলে গেল, সময়টা হয়ে উঠলো বড়ই বিপ্লবের, হতে লাগলো বিভিন্ন আন্দোলন। ঠিক সেই মুহুর্ত থেকে আর এসব গানে তুষ্ট হতে পারছিলেন না। কোন সময়ে কোন গান গাচ্ছেন তিনি! সময়কে ধরতে পারার মত, কালের দাবি মেটাবার মত গান তার গলায় কোথায়?

ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র, বেতারে চাকরি নিয়েছিলেন, শিল্পী হিসেবে নয়, উপস্থাপক হিসেবে। একদিন ধুতি পাঞ্জাবি পরে কর্মস্থলে যাবার পথে নজর পরে পাশের নদীতে, দেখেন কোন এক যুবকের লাশ ভেসে যাচ্ছে। লাশের পিছনে ছুরিটা এখনো পোঁতা। তিনি হতবাক হয়ে যান। স্তম্ভিত হয়ে যান মৃত্যুর বিভীষিকা দেখে! তখন দেশে চলছে নকশাল আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন আর সাথে ধর্মীয় দাঙ্গা! বিপ্লবের উত্থান ঘটছে তরুণদের মাঝে। কলেজগুলোতে লেলিন, হো চি মিন, মাও সেতুং, চে গুয়েভারাদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা, 'তোমায় আমায় দিচ্ছে নাড়া, মাও সে তুং এর চিন্তাধারা!' রাস্তাঘাটে অবরোধে নামছে তরুণেরা, আন্দোলন করছে মুক্তির জন্য। স্লোগান দিচ্ছে বিপ্লবের আহবান৷ এরকম একটা সময়, এরকম উন্মাতাল পরিবেশ, এই সময়ে তিনি কী গাইবেন? রবীন্দ্রগীতি, নজরুলগীতি, আধুনিক প্রেমের গান? নাহ! গাওয়ার মত কোন লেখা খুঁজে পেলেন না। সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁর নিজেকেই গান লিখতে হবে। রক্তে জেগে ওঠা বিপ্লবকে রুপ দেবেন গানে। প্রকাশ করবেন সুরে সুরে কেননা প্রকাশের মাধ্যম তাঁর একটাই৷ 

শুরু হল গানে তাঁর নিজের অধ্যায়। আর তৈরি হতে থাকলো একটার পর একটা সুভাস ছড়ানো বুলেট। কী কথা আর কী সুর! মোহনীয় শব্দের গাঁথুনি আর সুরের একেকটা গান৷ যে সময়ের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে নিজে লেখা শুরু করেছিলেন সেই দায়বদ্ধতাকে হাজার গুণে বুঝিয়ে দিলেন।  শুরুতে গান করতেন হারমোনিয়াম আর পিয়ানো বাজিয়ে। সাঁইত্রিশ বছর বয়সে প্রথম গিটার শেখা শুরু করেন তাঁর থেকে দশ বছরের ছোট এক গুরুর কাছে ফ্রান্সে৷ করেন গিটারটা আয়ত্ত্ব। 

আক্ষরিক অর্থে তিনি ছিলেন একজন বিশ্ব নাগরিক। চাকরি করেছেন বিশ্বের তিনটা ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে! শুরুটা জার্মানি দিয়ে। ভয়েস অফ জার্মানি রেডিও স্টেশনের বেতার সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর একই প্রফেশনে চাকরি করেছেন আমেরিকায়, লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে, অবশেষে পুনরায় জার্মানি ফিরেছেন। এর মাঝে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন দেশে, মিশেছেন বিচিত্র সব মানুষের সাথে, জড়িয়েছেন অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা। আর বিচিত্র এসব অভিজ্ঞতাকে পারতপক্ষে রুপ দিয়েছেন গানে। এরকমই একটা অভিজ্ঞতা তাঁর।

একটা অনুষ্ঠানে গাইতে শোনেন বব ডিলানকে। আগে কখনো শোনেননি তার গান। একটা গিটার হাতে হারমোনিকা বাজিয়ে ছোটখাটো একটা মানুষ গেয়ে চলেছে ব্লোয়িন ইন দ্য ওয়াইন্ড। তিনি চমকে ওঠেন, থমকে যান। খুব ভাল গাইয়ে না, কিন্তু অদ্ভুতভাবে একা দুইটা যন্ত্র বাজিয়ে কী কথাগুলো বলে চলেছেন! এসব তো তাঁরই কথা, আমাদের কথা, সবার কথা। এরপর বব ডিলানের গানে ডুবে যাওয়া এবং গিটার শেখার উৎসাহ পাওয়া। তাঁর জীবনে বব ডিলান বেশ প্রভাব রেখেছিল বলা যায়! এখানেও হয়তো ববের নোবেলপ্রাপ্তির স্বার্থকতা, শুধু গান করেই অন্য আরেকটি ভাষায় তৈরি করেছেন আরেকটা সত্যভাষী কণ্ঠ। গিটার শেখার আরেকটা কারণ ছিল তাঁর, বহনযোগ্যতা। বাজিয়ে বাজিয়ে গণমানুষের মাঝে পৌঁছে যাওয়া পিয়ানোতে সম্ভব না৷ তিনি গাইতে গাইতে মিশে যেতে চান মানুষে, সুতরাং গিটারটা ছাড়া উপায় নেই। এজন্যই জীবনের সাঁইত্রিশ বছর পার করে গিটারে মনোনিবেশ। 

যখন আমেরিকায় বেতার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন তখন ইংরেজি খবরগুলো বাংলায় অনুবাদের কাজ পান। চাকরি সুখের ছিল কিন্তু আনন্দের ছিল না। কেননা অনেক নির্মম সংবাদ অনুবাদ করতে হত সেসময়। ইসরায়েল আক্রমণ করছে বিভিন্ন দেশে, যে দেশে আছেন সে দেশের মদদপুষ্টে। কিন্তু কিছুই করার নেই তাঁদের, সরকারি কর্মচারী। বুক ফেটে যেত তাঁর এসব খবর পৌঁছে দিতে৷ সাগর পেরিয়ে বোমা মেরে এসে মানুষ মারছে, এই খবর অনুবাদ করতে হাত কাঁপতো তাঁর। আবার দুই বাংলার জন্যই খবরগুলো অনুবাদ করতে হতো। সেখানে কলকাতার কেউ অনুবাদ করলে ওয়াটারের জায়গায় জল লিখতেন। বাংলাদেশের পরিবেশক সেটাকে কেটে পানি লিখে পরিবেশন করতেন। অনুরুপভাবে কোলকাতার পরিবেশক পানি কেটে জল বলে উপস্থাপন করতেন৷ এরকম শব্দের পার্থক্য কষ্ট দিত তাঁদের সবাইকে ভীষণ। এর প্রেক্ষিতে একদিন লিখলেন আমেরিকান প্রবাসী বাঙ্গালির গান।

কবীর সুমন- যখন যুবক ছিলেন

এরকম অনেককিছুই তাঁকে প্রভাবিত করেছে। নিউজউইক পত্রিকায় বড় করে ফ্রন্টপেজে চে গুয়েভারার মৃতদেহের ছবি, নিকারাগুয়ার মায়ের বুকের দুধের ব্যাংক, লাতিন আমেরিকার দর্শন, মানুষের সংগ্রাম, এলভিস প্রিসলির গান, ইউরোপীয় জীবন, বাঙ্গালির চরিত্র প্রভৃতি। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক দেশে, চাকরি করেছেন বিভিন্ন জায়গায়, কিন্তু শিকড়টা পোঁতা ছিল কলকাতায়ই।একদিন হঠাৎ চাকরি ছেড়ে, সব ছেড়েছুড়ে কলকাতায় চলে এলেন। আর চাকরি করবেন না, গানই বাঁধবেন শুধু। তাঁর বাবা অবাক, পাগল না হলে এরকম চাকরি কেউ ছাড়ে বলে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। বাবা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে তিনি যেটা করছেন জীবন নিয়ে সেটা এডভেঞ্চার নয়, ম্যাডভেঞ্চার! 

তাঁর এই ম্যাডভেঞ্চারময় জীবনে প্রেমেও পরেছেন বহুবার। পাগলের মতো মারাত্নক প্রেমে পরেই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর অন্যতম হিট গান প্র‍থমত আমি তোমাকে চাই। প্রত্যহ জীবনে প্রেমিকাকে চাওয়ার এমন কথা হয়তো আগে কল্পনা করেনি কেউ। প্রেমে তিনি পরেছেন যেমন তেমনি ছিল বৈপ্লবিক চিন্তাধারার। প্রেম আর বিদ্রোহ একসাথে চালিয়ে গেছেন। আমাদের রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতো তিনিও প্রেমে ডুবে দ্রোহকে ভুলে যাননি কিংবা বিদ্রোহের আবহে প্রেমহীন হননি। বরং প্রেম ও দ্রোহের অদ্ভুত সম্মিলনেই লিখেছেন গান। আর আমরা গাইতে শুনেছি-

'ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিক্যাড করো, প্রেমের পদ্যটাই 
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।' 

জীবনে তিনি অনেকের কাছেই ঋণী এবং সব ঋণ বিনয়ের সাথে স্বীকার করেন নির্দ্বিধায়৷ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেমন তাঁর প্রেরণা, বব ডিলান তাঁর প্রেরণা, সুকুমার রায়ের লেখা তাঁর প্রেরণা, ওস্তাদ আমির খানের খেয়াল তাঁর প্রেরণা, হ্যারি বেলাফোন্তে প্রেরণা, বিচিত্র দেশের বিচিত্র কালচার তাঁর প্রেরণা। জীবনে অনেক সম্মাননাও পেয়েছেন। পুরষ্কার পেয়েছেন, পেয়েছেন শ্রদ্ধা। তবে আমার মনে হয় জীবনে বিশেষ স্মর্তব্য যেটা পেয়েছেন তিনি, সেটা হলো রোমাঞ্চ, থ্রিল। এক জীবনে এত বেশি পাগলাটে অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জোটে। তিনি হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে বলতে পারবেন, হায় ইশ্বর! কী বিচিত্র আর অদ্ভুত সুন্দর জীবন ছিল আমার! 

কবির সুমন আমার প্রেরণা, ভীষণরকম প্রেরণা। আমি নিশ্চিত আরো অনেকেরই প্রেরণা। এমনকি আরেক দিকপাল অঞ্জন দত্ত বলেছিলেন, কবির সুমন ছিলেন বলেই তিনি গতানুগতিক আধুনিক গান থেকে বেরিয়ে নিজের মত গান করার জন্য গিটার ধরার সাহস পেয়েছিলেন। কবির সুমনের গান, জীবন দর্শন আমাকে মুগ্ধ করে৷ গানের কথার জন্যই একটানা কবির সুমনকে শুনতে কখনো ক্লান্তি কাজ করেনি।

তবে আফসোস এরকম একটা মানুষকেও বাংলাদেশী কতিপয় জ্ঞানপাপী সুশীল অপমান করেছিল। একটা প্রোগ্রামে তাঁর বাংলাদেশে পারফর্ম করার আয়োজন করা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের কতিপয় আমলাশ্রেণিয় চতুষ্পদ ঘোর আপত্তি জানায় তিনি ভারতের শিল্পী বলে ফেনা তুলে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আসতেই দেয়া হয়নি। অথচ তিনি একজন বিশ্বনাগরিক। এবং এর আগে একবার বাংলাদেশে এসে স্বাধীনতা মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার জন্য একক প্রোগ্রাম করে পঞ্চাশ লাখের উপরে টাকা কালেকশন করে দিয়েছিলেন। একটি টাকাও নেননি সে অর্থের, দায়িত্ববোধ থেকে পুরো টাকাটা দিয়ে গেছেন মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠাকল্পে।

বাংলাদেশিদের তিনি ভালো মতোই চিনেছেন- অভিমান করে বলে দিয়েছেন জীবদ্দশায় আর এ দেশের মাটি পাড়াবেন না৷ থাক, দরকার নেই, এই দেশে আসার দরকার নেই। আবার ভারতীয় বলে হয়তো সাক্ষাৎ অপমান করা হবে। ভক্ত হিসেবেও কষ্ট পাবো। তবে বাংলাদেশে এলে হয়তো সরাসরি দেখা হতে পারতো কোনো কনসার্টে বা অনুষ্ঠানে, দেখার সাধও পূরণ হতো। কিন্তু থাক, দরকার নেই...

*

প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা