কিম নোবেল, হঠাৎ পালটে যায় মানুষটা। নিজেকে আর কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, হয়ে যায় আরেকজন মানুষ! এরকম এক কিমে বাস করে ২০ জন কিম! কী করে সম্ভব?
স্কুল শিক্ষিকা ব্যাল্ডউইন যখন ক্লাসের মাঝখান দিয়ে হেঁটে হেঁটে কিম নোবেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, পুরো ক্লাসে তখন পিনপতন নিরবতা। ব্যাল্ডউইন পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে কিম নোবেলের হাত ধরে টেনে তুলতে তুলতে চিৎকার করে বললেন, “উঠে দাঁড়াও কিম নোবেল! কী কারণে তুমি এমন করেছ বলো?” কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছোট্ট মেয়ে কিম নোবেল তার পরনের গেঞ্জি আর স্কার্টের দিকে তাকালো। সেগুলো বলপয়েন্টের কালিতে মাখামাখি। “যখন আমি এগুলো করিনি বলেছিলাম, শিক্ষিকা ক্রোধে ফেটে পড়েছিলেন। কিন্তু সত্যিই আমি সেটা করিনি। অন্তত আমার এমন কিছু মনে পরে না।”
ছেলেবেলার একটি ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে বলেছিলেন কিম নোবেল। এখন তার বয়স ৫৮বছর, সার্বক্ষণিক সঙ্গী একমাত্র কন্যা এমি। কিম সত্যিই কাজটা করেনি, কিন্তু যে কাজটা করেছিল সেও আসলে কিম নোবেলই ছিল! গোলমেলে ঠেকছে না ব্যাপারটা? আসলেই গোলমেলে, কেননা কিম নোবেল ছিল জটিল এক মানসিক রোগে আক্রান্ত, যে রোগের নাম ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার (Dissociative Identity Disorder-DID) বা সংক্ষেপে ডিড।
পরিচিত লাগছে কি রোগটার নাম? খুব বেশি মানুষের পরিচিতি থাকার কথা না রোগটির সাথে। কেননা এটি একটি বিরল রোগ। দুনিয়াতে এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। এই ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিজঅর্ডার রোগটির সাথে আমার পরিচয় দক্ষিণ কোরিয়ান একটি নাটকের মাধ্যমে। নাটকটির নাম 'কিল মি হিল মি'। নাটকটির প্রধান চরিত্র যে ছেলেটা, সে এই রোগে আক্রান্ত। ফলে, সে একই ছেলের মধ্যে বাস করে ভিন্ন ভিন্ন সাতটি চরিত্র বা স্বতন্ত্র সাতটি ব্যক্তিত্ব। ব্যাপারটা এককথায় এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, ‘একই শরীরে অনেক প্রাণ’।
প্রথম দেখে নাটকটা ভালো লাগলেও, কাল্পনিক কাহীনি মনে হয়েছিল। কিন্তু সত্যিই এমন কোন রোগের অস্তিত্ব আছে নাকি তা জানার জন্য যখন গুগলের দারস্ত হলাম, তখন জানলাম যে বাস্তবেই অস্তিত্ব রয়েছে এমন রোগের। নাটকে তো একজন মানুষের মস্তিষ্কে মাত্র সাতজনের বাস দেখানো হয়েছে, বাস্তবে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দু-একজনের মধ্যে ২০-২৫ টি ব্যক্তিত্বেরও পরিচয় পাওয়া গেছে।
এ লেখায় যে মহিলাকে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, কিম নোবেল, তার মধ্যে ২০ টি স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের দেখা পাওয়া গেছে। হঠাৎ হঠাৎই তার নিজের ব্যক্তিত্ব পাল্টে যেত, কিম নোবেলের যায়গায় সে হয়ে উঠত অন্য এক মানুষ। তার মস্তিষ্ক অন্য কোন মানুষের চরিত্রে রুপান্তরিত করত তাকে। কিমের মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি যে চরিত্রে রুপান্তরিত হত, তার নাম পাট্রিসিয়া। পাট্রিসিয়া ছাড়াও অন্য যে সব ব্যক্তিত্ব নোবেলের মধ্যে প্রাণ পেত তাদের মধ্যে ছিল, অ্যাবি নামক একজন নিঃসঙ্গ মেয়ে, যে সবসময় ভালবাসার জন্য মরিয়া হয়ে থাকত। বনি নামক একজন মা, যার একটি তরুণী মেয়ে আছে। স্যালোমি নামের একজন রোমান ক্যাথলিক। এছাড়াও, কিম নোবেলের মস্তিষ্কে বাস করত ডিয়াবালুস নামের একজন ছোট্ট ছেলে, যে কিনা কেবল ল্যাটিন ভাষায় লিখতে পারত। বাস করত ২০ বয়সী কেন নামের এক মেয়ে।
কিম নোবেলের ঘটনা যদিও অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়, তবু অনেক বছর ধরে থেরাপিস্ট ও ডাক্তাররা তাকে নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়েছেন যে কিম নোবেল কোন কল্পনার জগতে বাস করে না, সত্যিই তার মানসিক অবস্থা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তার ভিতরে বাস করা চরিত্রগুলো সে চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিম নোবেলের চরিত্রগুলোর মধ্যে যে প্রাধান্য বিস্তার করে রয়েছে, আজ কয়েকবছর ধরে বেশিরভাগ সময় সেই পাট্রিসিয়ার চরিত্রেই বাস করছে কিম নোবেল। নোবেলের ভিতরের পাট্রিসিয়া তার হয়ে ঘর-সংসার সামলাচ্ছে, মেয়ে এমির যত্ন করছে ও একজন ভালো মা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং মেয়েকে নিয়ে একটি সাধারণ মানুষের মতো জীবন-যাপন করার চেষ্টা করছে।
এরমধ্যেও দু-একদিন হঠাৎ করেই পাল্টে যায় তার চরিত্র। তার মধ্যে জায়গা করে নেয় সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন মানুষ, ভিন্ন কোন চরিত্র। করে, তার যা করতে ইচ্ছে করে। সেসময় কিম নোবেলের নিজের শরীর বা মস্তিষ্ক কোনটার উপরই নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সাজানো গোছানো পাট্রিসিয়া থেকে হঠাৎ এক একদিন কিম নোবেল হয় ওঠে জেদী আর একরোখা মেজাজের ১৫ বছরের তরুণী জুডি। খাওয়া-দাওয়া, চাল-চলন, পোষাক-পরিচ্ছদ সব কিছুই এক নিমিষে পাল্টে যায়।
"কোন কোন সময় এক সকালেই ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ রকম পোশাক পরতে দেখা যায় আমাকে”- পাট্রিসিয়া তার মানসিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলে। “কোন এক দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি আর কাঁচা বাজার নিয়ে চলে আসি কোন কোন দিন, যে জিনিসগুলো আসলে আমার কোন দরকারই নেই বা আমি কিনিইনি। আমার ওয়ারড্রোব খুললে দেখা যায় হরেক রকমের পোষাক যা আমি কিনিনি। কোনদিন হয়ত পিৎজার ডেলিভারি এসে পৌঁছে বাড়িতে, যা আমি অর্ডার করিনি”- এভাবেই নিজের প্রতিদিনের জীবনের বর্ণনা দেয় পাট্রিসিয়া ওরফে কিম নোবেল।
কিম নোবেলের ভেতর বাস করা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের একটির সাথে অন্যটির তেমন একটি পরিচয় নেই। যদিও তারা একই শরীরে বাস করে তবু একজন অন্যজনের কোন কাজ বা চিন্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রচন্ড ধরনের মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় ডিড নামক ভয়াবহ এ রোগের। রোগী প্রচন্ড মানসিক চাপ বা ভয়াবহ মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে নিজের মস্তিষ্ককে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে ভাগ করে ফেলে। এই মানসিক রোগের কারণে জীবনে কম ধকল পোহাতে হয়নি কিম নোবেলকে।
যদি এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে রুপান্তরিত হলেই আগের স্মৃতি হারিয়ে যায়, তবু সে ভয়াবহ কিছু অবস্থার কথা মনে করতে পারে। যেমন, তার বিভিন্ন চরিত্রের খামখেয়ালীপনার জন্য তাকে অনেকবার জেলে যেতেও হয়েছে। রিয়া নামের বারো বছর বয়সী এক মেয়ের চরিত্র বাস করে নোবেলের মস্তিষ্কে। এই মেয়ে কিম্ভূত ধরণের সব ছবি এঁকে ছোট বাচ্চাদের সেগুলো দিয়ে ভয় দেখায়, বিরক্ত করে। এমন বিভিন্ন চরিত্রের রয়েছে বিভিন্ন ধরণের অদ্ভূত বৈশিষ্ট্য যা কিম নোবেলকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়।
কিম নোবেলকে ভয়ঙ্কর সব থেরাপি সেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার এ মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। কিন্তু মুক্তি মেলেনি। এর মধ্যেও স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে, তার যে ডোমিনেন্ট পার্সোনালিটি, পাট্রিসিয়া, সে অন্য চরিত্রগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার একটি পথ বের করেছে। সে সব চরিত্রগুলোকে তার বাড়ির নিয়মিত অতিথির মতো মেনে নিয়েছে। সে তাদের জন্য আলাদা আলাদা নোট লিখে রেখেছে। তাদের মধ্যে অনেকের ইমেইল আড্রেস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পাট্রিসিয়া তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।
এত সমস্যার মাঝেও কিম নোবেল তার মানসিক অবস্থার ভালো দিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। সে আজ একজন সফল চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সে তার ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রগুলোকে রং-তুলিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। এগুলো নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। যখন ছোট্ট কিম নোবেল দক্ষিণ লন্ডনের ক্রয়ডন শহরে বেড়ে উঠছিল জীবন তার কাছে এত বেশি ভয় এবং শঙ্কার ছিল যে তার মস্তিষ্ক ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ভাগ হয়ে যাচ্ছিল। ফলে সে বিচিত্র রকম আচরণ করতে শুরু করেছিল।
তার বাবা-মা জেমস এবং ডরোথি নোবেল কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করত। তারা মেয়ের সমস্যার দিকে সম্ভবত সময়ের অভাবে ঠিকমত খেয়ালই করতে পারেনি। মেয়ের বিচিত্র ধরনের আচর-আচরণকে তাই তারা স্বভাবসুলভ দুষ্টামি বলেই ধরে নেয়। কিন্তু কিম যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছাল তখন তার আচরণ আরও অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিল। তার মধ্যে নতুন নতুন স্বত্ত্বা জেগে উঠতে শুরু করল- এর মধ্যে ছিল রেবেকা, যার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল, সোনিয়া, যার সব ব্যাপারেই ছিল অনীহা এবং জুডি যার ছিল মদ্যপানের আসক্তি। কিম নোবেলকে সর্বপ্রথম মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয় ১৪ বছর বয়সে। তারপর থেকে ২০ বছর বয়স অবধি তাকে সিজোফ্রেনিয়ার রোগী মনে করে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়। যার ফলে তার রোগ না কমে বরং বাড়তে থাকে। সে সময় তাকে বেশি মাত্রার আন্টিসাইকোটিক ঔষধ দেওয়া হত। এমনকি তাকে পরের ছয় বছর মানসিক রোগের হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কিম নোবেল সে সময় সহজাতভাবেই বুঝতে পারতো যে তার ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। এ চিকিৎসার হাত থেকে সে মুক্তি পেল যখন তার মধ্যে হেইলি নামের একজন মহিলার চরিত্র দেখা দিল।
হেইলি আদালতের দারস্থ হলো চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা থেকে বাঁচতে। যতদিনে হেইলি নিজেকে হাসপাতাল থেকে মুক্ত করতে পারলো, ততদিনে তার মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এর পরের কিছু দিনে তিনটি চরিত্র তার শরীরের উপর কর্তৃত্ব করতে উঠেপড়ে লাগল। হেইলি, বোনি এবং পাট্রিসিয়া। এর মধ্যে পাট্রিসিয়া ছিল সবথেকে বেশি বিবেচনা সম্পূর্ণ।
যা হোক, সে অবস্থায় কিম কোথায় থাকছে বা কি করছে তা নির্ভর করত কখন কোন চরিত্র তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে তার উপর। কিম নোবেলের জীবনের এই অংশটা এতটাই গোলমেলে যে তার বর্ণনা শুনে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। কঠিন হলেও এটা যেহেতু কোন সাধারণ মানুষের জীবনী নয় তাই বিশ্বাস না করেও কোন পথ নেই। কীই বা হতে পারে তার কিম্ভূত জীবনাচরণের সহজ ব্যাখ্যা!
কিম নোবেলের একটি কন্যা সন্তান আছে, কিন্তু সে মনে করতে পারে না কে এই কন্যার পিতা। তার ধারণা পাট্রিসিয়ার একজন ছেলেবন্ধু ছিল, সেই হয়তো তার মেয়ের বাবা। কিন্তু সে পরিষ্কারভাবে কিছুই মনে করতে পারে না। আবার সে যে একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে, এ ঘটনাও কিম নোবেল মনে করতে পারে না। তার প্রেগনেন্সির সময়ের অসহনীয় কষ্ট ভুলতেই তার মধ্যে সম্ভবত আরও একটি চরিত্রের উদ্ভব হয়, ডাউন নামের এক মহিলার। এই ডাউনই কেবল মনে করতে পারে মেয়ের জন্মের কথা। তার প্রেগনেন্সির সময়টায়, এবং সন্তান জন্মের পরে সাইক্রিয়াটিস্টরা তাকে এ ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছে। একারণেই তার ভেতরে বাস করা সব চরিত্রই তার মেয়ে এমিকে চেনে এবং সবাইই তাকে পছন্দ করে।
১৯৯০ সালে একজন থেরাপিস্ট ডা. এভিলিন লেইনির সহায়তায় কিম নোবেলের মস্তিষ্কের সৃষ্ট কিছু চরিত্রকে একত্রিত করা সম্ভব হয়। তখন থেকেই সে অনেকটা স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করে। কিম নোবেলের কন্যা এমি খুব ছোট্টবেলা থেকেই মায়ের ভিতরে আলাদা আলাদা সব মানুষের বাস দেখে অভ্যস্ত। তাই হঠাৎ মায়ের ভেতরে পরিবর্তন দেখা দিলে সে চমকে যায় না। নোবেলের ভিতরে বাস করা প্রতিটি আলাদা আলাদা চরিত্রকেই সে চেনে। মজাও হয় এসব নিয়ে মাঝে মাঝে। এমির কোন জন্মদিনে হয়ত দেখা যায়, সে মায়ের ভেতর বাস করা আলাদা আলাদা মানুষদের কাছে অনেক ধরনের উপহার পেয়ে যায়। টাকা অবশ্য কিম নোবেলেরই যায়। কারণ ক্রেডিট কার্ড তো তার নামেই ইস্যু করা। মেয়ে এমিই প্রথম কিম নোবেলকে ছবি আঁকতে উৎসাহিত করে। আর এখন নোবেলের মধ্যে বাস করা ১৩ টি আলাদা আলাদা চরিত্র ছবি আঁকে।
এক সকালে ঘুম থেকে উঠে কিম নোবেল হয়ত আবিস্কার করে তার ঘরে সুন্দর কোন ছবি, যেটা সে আসলে আঁকেইনি। এমনই এক বিচিত্র জীবনে বাস করছে কিম নোবেল নামের এক মহিলা। কিম নোবেলের মস্তিষ্কের মতো কত ধরনের রহস্যই না ছড়িয়ে আছে পৃথিবীতে। যেগুলোকে ব্যাখ্যা করা এবং বুঝে ওঠা শুধু কঠিনই নয় অনেকসময় অসম্ভব।
* প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন