এনআইডি, সার্টিফিকেট, মোবাইল, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, কার্ড হারালে যা করণীয়!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
সাধারণত আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু হারিয়ে আমরা বিপাকে পড়ে যাই। তাৎক্ষনিক কিছু করার বুদ্ধিও মাথা আসে না। এক্ষেত্রে একটু সচেতন হলে হয়তো সেই বিপদ থেকে নিজেকে উদ্ধার করার সুযোগ থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বুঝি না আমাদের কী করণীয়। জেনে রাখুন, এসব দরকারি জিনিস হারালে কী করণীয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে যা করণীয়
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে ব্যাপারটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন। আপনার হারানো ন্যাশনাল আইডি যদি কোনো অপরাধের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় তবে নির্দোষ হওয়া স্বত্বেও ফেঁসে যেতে পারেন আপনি। যেকোনো অপরাধীই আপনার হারানো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অঘটন ঘটাতে পারে। তখন আইনি জটিলতায় বিপদ বাড়তেই থাকবে। অতএব, জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সর্বপ্রথম নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। জিডিতে অবশ্যই নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার এবং হারানোর স্থান ও কারণ উল্লেখ করতে হবে। এবং কপিতে জিডির কার্বন কপিতে সিলসহ সংস্লিষ্ট অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
http://www.nidw.gov.bd/download/NIDForms/lost_duplicate_form6.pdf জিডি করার পর নির্বাচন কমিশনের এই লিংকে গিয়ে একটি ফরম পাবেন। এই ফরমটি পূরণ করে পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করবেন। পরে প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদনের মাধ্যমে এতদিন বিনামূল্যে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা যেত। এখন থেকে নির্ধারিত ফি ইসি সচিব বরাবর পে অর্ডার বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
সার্টিফিকেট হারালে যা করণীয়
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে দেরি না করে প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র’ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখ সহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে।
পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
মোবাইল ফোন হারালে যা করণীয়
এখন স্মার্টফোন হারালে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কারণ প্রায় প্রতিটি আধুনিক ফোনেই সিকিউরিটি এবং ট্র্যাকারের ব্যবস্থা রাখা সম্ভব। তবে সেজন্যেও আগে থেকে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। চুরি হওয়া ফোনের ক্ষেত্রে প্রথমেই স্থানীয় থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করুন। ফোনের জিপিএস ট্র্যাকার অন থাকলে সাইবার ক্রাইম বিভাগের থেকে ফোনটি ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে সাহায্য পেতে পারেন। ব্যক্তিগত তথ্য, যা অন্য কারও জানা সম্ভব নয়, তা দিয়ে লক স্ক্রিন মেসেজ সেট করে রাখতে পারেন।
গুগলে অ্যাকাউন্ট থাকলে ফোনে থাকা কনট্যাক্ট, ছবি বা ডেটা সবই উদ্ধার করে ফেলা সম্ভব। ফোন হারিয়ে গেলে অন্য কোনও ডিভাইস থেকে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার খুলে সব ক’টি অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করুন। ফোনে ফাইন্ড মাই অ্যাপ চালু রাখুন। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে নামী কয়েকটি ব্র্যান্ড এবং আইফোনে নিজস্ব সিকিয়োরিটির ব্যবস্থা থাকে। যদি ঠিক মতো নিজের অ্যাকাউন্টটি ট্র্যাকে রাখেন, তা হলে সহজে সুরাহা সম্ভব।
ফোন হারিয়ে ফেলেছেন, বুঝতে পারা মাত্রই অন্য কোনও ফোন থেকে নিজের নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করুন। রিং হলে বুঝবেন, ফোনটি কোথাও খোয়া গিয়েছে, চুরি যায়নি। সাধারণত চুরি গেলে সিম সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলা হয়। হারিয়ে যাওয়া ফোনে যদি রিং না হয়, তা হলে বুঝতে হবে, হয় ব্যাটারি ড্রেনড হয়েছে অথবা ফোনটি চুরি গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হোন। চুরি হয়েছে বুঝতে পারলে ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সরিয়ে ফেলা দরকার। না হলে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা থেকে যায়।
মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারের সাহায্যে পার্সোনাল ডেটা ফোন থেকে মুছে ফেলুন। পাসওয়ার্ড বদলে নিন। ফোন, ল্যাপটপের মতো ডিভাইস চুরি গেলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। কল/ইন্টারনেট সার্ভিসও সাসপেন্ড করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ‘মার্ক অ্যাজ লস্ট’ করতে ভুলবেন না।
ড্রাইভিং লাইলেন্স হারালে যা করণীয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে চিন্তা না করে সেটার ডুপ্লিকেট কপি তোলার ব্যবস্থা করুন। চিন্তায় সমাধান হবে না। হারানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হল- সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা। আপনার লাইসেন্সের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা সে জন্য ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। আপনি যে এলাকা থেকে লাইসেন্সটি করেছিলেন, ডুপ্লিকেট কপির জন্য সে এলাকায় আবেদন জমা দিতে হবে।
আবেদনের নিয়ম:
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২. জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩. বিআরটিএ’র নির্ধারিত ফি’র ব্যাংক জমাদানের রসিদ।
৪. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্মার্টকার্ড প্রিন্টিংয়ের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
পাসপোর্ট হারালে যা করণীয়
প্রথমেই পাসপোর্টটি যে থানা এলাকায় হারিয়ে গেছে সেই থানায় পাসপোর্ট হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের মেয়াদ আলা ভিসা লাগানো থাকে তবে সেই বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করতে হবে। কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট হারানো বা চুরি হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা রুজুর পর পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করবে যাতে উক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশ গমন করতে না পারে। তাই হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্ট পাওয়া গেলে একইভাবে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা হতে পাসপোর্টটি প্রত্যাহারের নিমিত্তে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে সাধারণ ডায়েরির কপিসহ পুনরায় আবেদন করলে পাসপোর্ট অফিস আপনাকে নতুন একটি পাসপোর্ট দিবে। পাসপোর্ট একটি অত্যন্ত মূল্যবান নিস। তাই ভ্রমণকালে এটি যত্নের সাথেই সংরক্ষণ করা উচিৎ। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সঙ্গে রাখা যায় পার্সপোর্টের একাধিক রঙিন ফটোকপি। এরপরও পাসপোর্ট যাতে চুরি না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে আপনাকেই।
ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড হারালে যা করণীয়
সাথে ক্যাশ টাকা রাখার বদলে ব্যবহার ও বহনে বেশি সুবিধার জন্য আমরা ইদানিং ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডই বেশি ব্যবহার করে থাকি। বর্তমানে দেশে এই কার্ড জালিয়াতি চক্রেরও অভাব নেই। আবার যদি হারিয়ে যায় অথবা ছিনতাই হয়, চুরি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিভাবে এই কার্ড আবার পাওয়া যাবে বা কার্ডটি হ্যাক হলে করণীয় কী সেটিও জেনে রাখা প্রয়োজন।
তবে জেনে রাখুন, কোনো অবস্থাতেই কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। কার্ডের পাসওয়ার্ড কোথাও লিখে রাখা কিংবা মোবাইলে সেইভ করে রাখাটা নিরাপদ না। অনেক সময় এটিএম বুথে ছিনতাইকারীর কবলে পরে কার্ড দিয়ে দিতে হয়। তারা জোর করে পাসওয়ার্ড চায়, তখন আপনাকে একটু কৌশল অবলম্বন করে উল্টো পাসওয়ার্ড বলতে হবে। অর্থাৎ, আপনার পাসওয়ার্ড যদি হয় ৪৩২১ তবে আপনাকে বলতে হবে ১২৩৪। এতে আপনার টাকা মেশিন থেকে বার হবে ঠিকই তবে মাঝ পথে এসে থেমে যাবে আর বের হবে না। আর তখন কন্ট্রোল রুমে অটোসিগন্যাল চলে যাবে যে আপনি বিপদগ্রস্ত।
কার্ডটি হারিয়ে গেলে, চুরি হলে বা ছিনতাই হলে সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যাংকের মাধ্যমে কার্ড পেয়েছেন সেই ব্যাংকে জানান। হারানো কার্ডটি সাথে সাথে বন্ধ করে দেবার ব্যবস্থা করুন। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য সব ব্যাংকেরই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন ফোন নম্বর তাদের থাকে। কার্ড হারানোর পর সেই নম্বরে ফোন করে আপনার কার্ডের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করে দিন। অনলাইন ব্যাংকিং হলে ব্যালেন্স চেক করুন এবং কোন প্রকার গোলমাল মনে হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর, কার্ড হারানোর তারিখ, ব্যাংকে জানানোর সময় ইত্যাদি তথ্যসংবলিত মেইল আসবে আপনার ই-মেইল ঠিকানায়। ই-মেইল টি নিজের সংগ্রহে রাখুন। ই-মেইল টি ভালো করে দেখুন কোন প্রকার লেনদেন হয়েছে কিনা। যদি লেনদেন হয়ে থাকে তবে তা সাথে সাথে ব্যাংক কর্তপক্ষকে জানান। অবশ্যই বিস্তারিত জানিয়ে স্থানীয় থানায় জিডি করুন। যেকোনো অবস্থায় ব্যক্তিগত কাগজপত্র হারালে জিডি আপনাকে করতেই হবে। অনেকে জিডির ব্যাপারটিকে উটকো ঝামেলা মনে করেন। ঝামেলা হলেও, ডকুমেন্ট হারানোর পর জিডির কোনো বিকল্প নেই।
আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে, যদি আপনি নতুন কার্ড পেতে চান তবে প্রথমে আপনাকে একটি জিডি করতে হবে। জিডি করার কাগজটি নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে এবং জমা দিতে হবে। নতুন কার্ডের জন্য আপনাকে ব্যাংকের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমে আপনার সম্পর্কে সকল তথ্য দিতে হবে। আপনার জন্মসনদ, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি প্রয়োজন হবে। প্রতিটা কার্ডের নির্দিষ্ট কিছু চার্জ সিস্টেম থাকে, তেমনি আপনাকে কার্ডের ধরন অনুযায়ী কার্ডের জন্য চার্জ দিতে হবে। এরপর আপনাকে ২ সপ্তাহ পর নতুন পিন নম্বর সহ নতুন কার্ড দেওয়া হবে। নতুন কার্ড হাতে পাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বয়ংক্রয়িভাবে প্রতি মাসে লেনদেন করতেন, সেসব প্রতিষ্ঠানে নিজের অ্যাকাউন্টটি আপডেট করিয়ে নিতে হবে।
কোনো ব্যক্তিগত কাগজপত্র হারালে মন খারাপ বসে না থেকে সমস্যার সমাধানে তৎপর হউন, নতুবা সমস্যা বাড়তেই থাকবে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক তৎপরতাই আপনাকে বাঁচাতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো বিপদ থেকে।
তথ্যসূত্রঃ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ, যুগান্তর, আনন্দবাজার।