একটা ভিডিও দেখলাম। বরিশাল জেলার 'উজিরপুর সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়' এর প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল হক, উনি উনার বাসায় আট-দশজন মেয়েকে প্রাইভেট পড়ান। পড়াতে পড়াতে মেয়েগুলোকে ‘আদর’ করেন।
তো কেউ একজন লুকিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে ভিডিও করেছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরো আট দশটা মেয়ের সাথে বেঞ্চে বসা সবুজ জামা পরা এক মেয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে উনি ‘আদর’ করছেন! করছেন তো করছেন, প্রায় সাড়ে ৫ মিনিটের ভিডিও’র পুরোটা জুড়েই উনি সেই মেয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে মেয়েটার মুখ ধরে মুখের কাছে আনছেন, চুমু খাওয়ার মতো করছেন, সারা গায়ে হাত বুলাচ্ছেন, নিজের শরীর মেয়ের শরীরে ঘষছেন।
মেয়েটার মাথায় হিজাব, উনার সহপাঠিনীদের মাথায় হিজাব। সহপাঠিনীরা বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বোঝা যায়। তবে এটাও বোঝা যায় উনারা এই ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই প্রত্যক্ষ করেন। লোকটার হাতে একটা বেত আছে। উনি বেত নিয়ে পড়ান। আর ছাত্রীর শরীরে শরীর ঘষেন। উনি একটা স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক।
আমি যখন স্কুলে পড়তাম, আমাদের স্কুলের সবচেয়ে ভাল ইংরেজির শিক্ষক নজরুল স্যার প্রাইভেট পড়ানোর সময় পিঠে বারবার হাত বুলাইতেন। সেই হাত পিঠ থেকে নামতে নামতে মেরুদণ্ডের কশেরুকা পর্যন্ত এসে থামতো। আরেক স্যারের কাছে বাসায় প্রাইভেট পড়তাম, এরশাদ স্যার, বয়স প্রায় ৬৫/৭০, কোন ভুল করলেই উনি খপ করে আমার হাত ধরে ফেলতেন, আর সহজে ছাড়তেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক হা*মীর বাচ্চার কাছে অংক শিখতাম ক্লাস ফাইভে, উনি টেবিলের নিচ দিয়ে হাত বাড়িয়ে আমার স্কার্টের নিচ দিয়ে উরু স্পর্শ করতে গেছিলেন। আরেকজন ছিলেন, উনি সম্ভবত মাস্টারবেশনের মতো কিছু করতেন, আমি এতই ছোট ছিলাম যে বিষয়টা ক্লিয়ার বুঝতাম না, কিন্তু অস্বস্তি লাগছিল বলে না পড়েই উঠে চলে গিয়েছিলাম।।
আমাদের চারপাশে শিক্ষক নাম নিয়ে এইসব লোকজন ঘুরাফিরা করে। সমাজে মহৎ পেশার ঠিকাদারি নিয়ে পিডোফাইলগিরি করে। এদেরকে সহজে ধরা যায় না, কারণ এরা শিশুদের টার্গেট করে কাজ সারে। শিশুরা অসহায়, কম বুঝে, কম জানে, ভয় পায়। তাই এই সব বেজন্মাদের অপরাধ অপ্রকাশ্য থেকে যায়। বহুদিন পর পর হঠাৎ একটা দুটা পরিমলের খোঁজ পাওয়া যায়, যারা বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকে আর তাদের ধর্ষক মনোবৃত্তির চর্চা করে।
বরিশাল জেলার 'উজিরপুর সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়' এর প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল হককে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন
আরও পড়ুন-