শেখ হাসিনা ৫০ লাখ গরীব পরিবারকে দেয়ার জন্য ১২৫০ কোটি টাকা ছাড় করালেন। আর আমাদের 'দেশপ্রেমিক' জনপ্রতিনিধিরা ঈদ সালামী মনে করে তার মধ্যে ৮০০-১০০০ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ভরে ফেলার প্ল্যান পাক্কা করে ফেললো!

ত্রাণমন্ত্রী জানিয়েছেন ৫০ লাখ মানুষকে ২৫০০ করে টাকা দেবার জন্য সংগ্রহ করা ফোন নাম্বারগুলোর মধ্যে ৮লাখ নাম্বার বাদ দেয়া হয়েছে কারণ এগুলো ডাবল এসেছে। ৮ লাখ নাম্বার ডাবল আসা মানে মিনিমাম ১৬ লাখ এন্ট্রি। তারমান ১৬ লাখ গুনন ২৫০০ টাকা= কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা ঈদের আগেই খেয়ে দিতে চেয়েছিলো সরকারের বিশ্বস্ত মেম্বার-চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর ও মেয়র তথা জনপ্রতিনিধিরা!

তাও এই হিসেব কমিয়ে ধরা৷ জাষ্ট ডাবল এন্ট্রি বাদ দেয়া হয়েছে। (এর মধ্যে এক নাম্বার চল্লিশ-পঞ্চাশ বার ও পাওয়া গেছে বলে খবরে প্রকাশ)। তাছাড়া এখনো বহাল তবিয়তে থাকা সিঙ্গেল এন্ট্রিগুলোর মধ্যে একেকজন কয়টা সিমের মালিক কে বলবে? তাছাড়া আমি নাম দিতে পারলে কি আমার ভাই বন্ধু ভাতিজা ভাইগ্না দুলাভাই শালার চেয়ে গরীব কেউ আর দুনিয়াতে থাকতে পারে? ঐসব ঠক ধরা গেলে দেখা যাবে আরো ৪০০-৬০০ কোটি নাই!

শেখ হাসিনা কত কষ্ট আর তাড়াহুড়ো করে ৫০ লাখ গরীব পরিবারকে দেয়ার জন্য ১২৫০ কোটি টাকা ছাড় করালেন যাতে তারা অন্তত ঈদের দিনটা ভালো থাকেন। আর অন্যদিকে  দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধিরা ঈদ সালামী মনে করে তার মধ্যে ৮০০-১০০০ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ভরে ফেলার প্ল্যান পাক্কা করে ফেললো! খুব খারাপ লাগে নেত্রীর জন্য৷ ভালো লোকজন তাঁর দলে আজ বড় কোনঠাসা! সেকারণে জনগণও! 

এই দেশ যেহেতু সারাবছর জনগণের পরিশ্রম আর আল্লাহর খাস রহমতেই চলে সেহেতু চুরি করেও এদেশের বরকত কমানো যায়না৷ কিন্তু চলমান বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চাইলে এসব জনপ্রতিনিধিদের সকল ক্ষমতা সাময়িক রদ করে সরকারী প্রশাসন দিয়ে দেশ চালাতে পারে৷ পরে আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে নাহয় তেনাদের চুরি করতে ফিরিয়ে আনা যাবে!


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা