রণবীর কাপুর: এই জেনারেশনের সেরা বলিউডি অভিনেতা?
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
রকস্টার, বরফি, তামাশা বা সাঞ্জুর কথা বাদই দিলাম, নানা পাটেকর, মনোজ বাজপাই, অজয় দেবগনের মতো অভিনেতাদের মাঝে রাজনীতি সিনেমায় রণবীর কাপুর যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, সেটাকে বিস্ময়কর বললেও কম হবে...
রনবির কাপুরকে তার জেনারেশনের সেরা অভিনেতা মনে হয় আমার কাছে। অভিনেতাদের প্রথম সিনেমা সেভাবে রেসপন্স না পেলে অনেকেই ধরে নেন, 'ক্যারিয়ার শুরুর আগেই শেষ"। 'স্টারকিড' হলে তো খবরই আছে! ক্রমাগত বাবার সাথে তুলনা আর "বাবার জন্যই টিকে আছেন" টাইপ কথাবার্তা শোনা। সাওয়ারিয়া সেভাবে বক্স অফিসে ভাল করতে না পারলেও, রনবির কাপুর যে আসলেই ট্যালেন্টেড আর স্ক্রিপ্ট বাছাইয়ে মনোযোগী সেটা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন 'বেশরম' টাইপের কিছু ব্যতিক্রম বাদে। তা নাহলে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ওয়েক আপ সিড আর একই বছর রকেটসিং টাইপের সিনেমা করা- মোটেও সহজ কর্ম নহে এত কম বয়সে।
তবে রকস্টার আর তামাশা সিনেমাতে রনবির যে লেভেলের পার্ফরমেন্স দিয়েছে, আমার মনে হয় না তার জেনারেশনের আর কেউ এই লেভেলের পার্ফরমেন্স দিতে পারবে। মন ভেঙে চুরমার হয়ে তুমুল হতাশায় একাকীত্ব বরণ করা সম্ভবত রনবির কাপুরের চেয়ে ভাল আর কেউ পারেন না এই জেনারেশনে।
তামাশা প্রথমবার দেখায় হয়ত অনেকেরই পছন্দ হবে না, তবে ধীরে ধীরে এই সিনেমার একটি কাল্ট ফ্যানবেজ গড়ে উঠেছে যাদের মাঝে আমি নিজেও একজন। বেদ নামের ক্যারেক্টারটি যে জার্নির মাঝে দিয়ে গিয়েছে, সেটার মাঝ দিয়ে অল্প পরিমাণে কেউ গেলেই তামাশা সিনেমাটির সাথে রিলেট করতে পারবে সে। এখন পর্যন্ত আমার কাছে রনবির কাপুরের সেরা অভিনয় তামাশা। আয়নার সামনে বলা মনোলগগুলো দেখলে এখনও গুজবাম্ব হয়। আর শেষের দিকে নিজের বাবার সামনে বসে 'বাবা, একটা গল্প শুনাই?' এর দৃশ্যটা অনবদ্য!
বিদেশি অনেক সিনেমার দৃশ্য থেকে জাস্ট কাট পেস্ট করা হলেও, বরফি সিনেমাটাকে অস্বীকার করতে পারিনা শুধু রনবির আর প্রিয়াঙ্কার অভিনয়ের জন্য। কথা না বলেও কতকিছু যে বলে দেয়া যায়, সেটা রনবির প্রমাণ করেছেন এই সিনেমায়। আর নানা পাটেকর, মনোজ বাজপাই, অজয় দেবগনের মত অভিনেতা থাকার পরেও রাজনীতি সিনেমাতে রনবির কাপুর যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, সেটা বিস্ময়কর লাগে আমার কাছে। আর কখনও থামতে না চাওয়া 'ইয়ে জাওয়ানি, হ্যায় দিওয়ানি'র বানি ক্যারেক্টরটি অনেকেরই প্রচন্ড পছন্দের। সাঞ্জু সিনেমাটি যতই 'আই ওয়াশ' হোক না কেন, রনবির যেভাবে সঞ্জয় দত্ত হয়ে গিয়েছিলেন, সেটার প্রশংসা যত করব- কম হবে।
রনবির কাপুর ব্যক্তিগত জীবনে যার অভিনয়ের সবচেয়ে বড় ফ্যান, আমিও তার ফ্যান। তিনি হচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো। হলিউডের অন্যতম সেরা মেথড এক্টর। পছন্দের তারকাদের চোখের সামনে দেখলে ভক্তরা আবেগে পাগলামি করে বসে অনেক ধরনের- যার কোন ব্যাখ্যা নাই। আবার তারকারা যখন তাদের প্রিয় তারকাদের মুখোমুখি হন, তারাও এরকম পাগলামি করে বসেন। তার প্রমাণ হচ্ছে এই ছবিটা। রবার্ট ডি নিরো খাতায় অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত, আর রনবিরের পাগলামি বাঁধ ভেঙে গেছে এখানে। প্রিয় অভিনেতাকে এত কাছে দেখে কী করবেন যেন নিজেই বুঝতে পারছেন না
জন্মদিনের শুভেচ্ছা, রনবির কাপুর।
*
প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন