২০২০ সালে এসেও যদি পিরিয়ড নিয়ে কোনো প্রকার নেতিবাচক কথা হয়, এটা খুবই দুঃখজনক।

কয়েকদিন আগে সেনোরার একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম। দেখে আফসোস লাগলো, আমার ভাই নাই কেন! কী সুন্দর ভাইবোনের সম্পর্ক! 

একটা ঘটনা মনে পরলো, আমার যখন প্রথম পিরিয়ড হয়, তখন আমার এই সম্পর্কে কোনো আইডিয়াই ছিল না। এবং আমার ধারণা ছিল আমার পানি কম খাওয়ায় 'urine infection' থেকে এমনটা হচ্ছে! মা জানলে খবরই আছে, কারণ পানি কম খাই। তাই আমি সোজা আমার বাবার কাছে যেয়ে বলি, 'বাবা, আম্মু আমাকে মেরেই ফেলবে!' বাবা সোজা ফার্মেসি থেকে প্যাড এনে দেয় আর বুঝায়, ভয় পাওয়ার কিছু নাই! 

যেহেতু বাবা পেশায় ডাক্তার ছিলেন, তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন কেন হয়? কীভাবে হয় সব! 

এখন কথা হলো- পিরিয়ড কী? 

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার প্রথমবার পিরিয়ডের সময় তাঁর বাবা ছিলেন পাশে  

নারী জরায়ুতে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বানু নিঃসৃত হয়, এর ফলে তাদের হরমোনে ব্যাপক এটা পরিবর্তন আসে, যা তাদের আবেগীয় এবং আচরণের ক্ষেত্রেও অনেক প্রভাব ফেলে। এই ডিম্বানু যদি সময়ের মধ্যে নিষিক্ত না হয়, তবে জরায়ু প্রাচীর ফেটে গিয়ে রক্তপ্রবাহে বের হয়ে যায়। প্রায় ৭-১০ দিন এই প্রসেস চলে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা যৌনপ্রজনন প্রক্রিয়া। বরং এটা না হলেই বিপদ।

সেনোরার সেই বিজ্ঞাপন

এইটা সব মেয়েদেরই হয়, আমাদের মা'দেরও হয়েছে, আমাদের বোনেরও হয়েছে, আমাদের মেয়েরও হবে!

বাবা/ভাই এই সম্পর্কে জানলেই তাকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারবে, এইটা সম্পর্কিত সব কুসংস্কার এবং ভয় থেকে দূরে রাখতে পারবে! এই ২০২০-তে এসে এটা নিয়ে যদি কোনো প্রকার নেতিবাচক কথা হয়, এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের মানসিক পরিবর্তন খুবই জরুরী! 

This is a natural process #not_a_shame!

আরো পড়ুন- 


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা