সাকিব আল হাসান, স্টারডম ও একটি বিজ্ঞাপনের গল্প!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
মানেন আর নাই মানেন, যতই তাকে অপছন্দ করেন, বেয়াদব বলেন, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, তার বউ পর্দা করেনা কেন- এইসব ভেবে নিজের মাথার যতই চুল ছিঁড়েন, সত্যটা হচ্ছে- সাকিব আল হাসান, একজনই...
বিশ্বের নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডারের সাথে কাজ করেছি মাত্র একটি, তবে একটি কাজে তার কাছ থেকে যা শিখেছি তা হয়ত অন্য অনেকের সাথে একাধিক কাজ করেও শেখা হত না। নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত সময়ের মাঝেই এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। "সুপারস্টার মানেই দেরি করে সেটে আসতে হবে; যত বড় সুপারস্টার, তত বেশি দেরি" -এইরকম জিনিসটা দেখি নি তার মাঝে।
শটের ফাঁকে বারবার স্মার্টফোন দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ইউটিউবে, বেশিরভাগ সময় দেখছিলেন নতুন পুরোনো ক্রিকেট খেলার হাইলাইটস। শুধু "দেখছিলেন" বললে ভুল হবে, "পর্যবেক্ষণ" শব্দটা সঠিক হয়। বোলার কীভাবে বলটা ঘুরাচ্ছে, ব্যাটসম্যানের ফুটওয়ার্ক- সবকিছুতে তার শ্যেনদৃষ্টি। জিজ্ঞাসা করলাম- এতকিছু অর্জন করার পরেও আপনি এখনও এইভাবে অন্যের খেলা দেখেন?
মুচকি হেসে তিনি বললেন- শেখার কোন শেষ নাই! শুটিং সেটে টেকনিক্যাল ফল্ট হচ্ছে, এনজি শট হচ্ছে- সাকিবের মাঝে এতটুকু বিরক্তি নাই। একবার তাগাদাও দিচ্ছেন না- ভাই জলদি শেষ করেন। বরং 'কাট' শুনে নিজেই বলেন- তাহলে আরেকবার দেই? সমস্যা নাই, এবার হয়ে যাবে। হি ইজ জাস্ট রিল্যাক্সড। তবে চোখের মণি দুটো সর্বদা চঞ্চল, সাথে স্মার্টফোনের কীপ্যাডে হাতের আঙ্গুল সদা সক্রিয়।
এর মাঝে একমাত্র মেয়ের খবর নিচ্ছেন, আগের দিন রাতে মেয়ে নাকি বেশ কেশেছে। এরই ফাঁকে একের পর এক ভক্তের সাথে সেলফি, উইলফি, অটোগ্রাফ- বিরক্তিতে ভ্রূটা একবারও কুঁচকাতে দেখলাম না। হি এঞ্জয়েস হিজ স্টারডম, এন্ড হি নো'স হাউ টু হ্যান্ডেল ইট। মে বি দ্যাটস হোয়াই, হি ডিজার্ভস দিস স্টারডম।
শটের ফাঁকেই সেলফি তুলে রেখেছিলাম, ভেবেছিলাম শুটিং শেষে ধীরেসুস্থে একটা অটোগ্রাফ নেব। শুটিং শেষ হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় শুনি- তিনি নাই, বাসায় চলে গেছেন। প্রোডাকশন হাউজের মানুষেরা বললেন- তিনি এমনই, কাজ শেষ হলে অনর্থক গল্প আড্ডায় সময় নষ্ট করার মানুষ তিনি না। শুধু ভাবলাম- একটা মানুষ কতটাই না প্রফেশনাল!
মানেন আর নাই মানেন, যতই তাকে অপছন্দ করেন, বেয়াদব বলেন, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, তার বউ পর্দা করেনা কেন- এইসব ভেবে নিজের মাথার যতই চুল ছিঁড়েন, সত্যটা হচ্ছে- সাকিব আল হাসান, একজনই... And i am proud to work with him. I also feel proud that, we share the same "name"!