আপনাকে দেখেছি বিটিভির পর্দায়, শুক্রবার বিকেল তিনটায়। ঘোষিকার মুখে ‘শ্রেষ্ঠাংশে সালমান শাহ’ শব্দটা শুনলেও বিকেলের খেলা মাথা থেকে হাওয়া হয়ে যেত। চৌদ্দ ইঞ্চি সাদাকালো পর্দায় মাথায় ব্যান্ডানা বাঁধা সালমান শাহকে দেখে প্রেমে পড়তে অসুবিধে হয়নি একটুও।

একাত্তরের অস্থির সময়ে ধরাধামে আপনার আগমন, একটা দেশের জন্ম হচ্ছে সেই সময়টায়, পরাধীনতার নাগপাশ ছিঁড়ে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডটা জেগে উঠছে। শোষণের শেকল ভাঙার সেই সময়ে উনিশে সেপ্টেম্বরে- আজ থেকে ঠিক ছেচল্লিশ বছর আগে সিলেট শহরটা মুখরিত হয়েছিল আপনার প্রথম কান্নার ধ্বনিতে। পরিবার বা পরিচিতজন কেউ কি ঘূর্ণাক্ষরেও কল্পনা করেছিলেন, রক্ষণশীল পরিবারের এই ছেলেটা একদিন বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যমণি হবে? কেউ ভেবেছিল, একই সালে জন্ম নেয়া দেশটার সিনেমা অঙ্গনে একইসাথে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি-আক্ষেপগুলোর একটি হয়ে থাকবে আপনার নামটা? 

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান নতুন একটা সিনেমা বানাবেন, একদম ফ্রেশ মুখ নিয়ে। সিনেমাটা আপনার করার কথা ছিল না। সোহান প্রথমে তৌকির আহমেদকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, টেলিভিশনের পরিচিতমুখ তৌকির সিনেমার রঙিন পর্দার ছোঁয়া গায়ে লাগাতে চাননি তখন। মডেল নোবেলকেও বলেছিলেন সোহান, রাজী হননি তিনিও। নায়ক আলমগীরের স্ত্রীর কাছে 'শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনে'র ফোন নাম্বার পেয়ে সোহান ফোন করলেন আপনাকে, বাউন্ডুলে আপনি সারাদিন থাকেন ঘরের বাইরে, সোহানের কি সাধ্যি এক চেষ্টায় আপনার টিকি ছুঁতে পারে! 

এর আগে বিটিভির কয়েকটা নাটকে অভিনয় করেছেন আপনি, 'ইত্যাদি'র গানের ভিডিওতেও দেখা মিলেছে আপনার। কিন্ত যে মানুষটাকে পাঠানো হয়েছে এভারেস্ট জয় করতে, সে তো গারো পাহাড়ে চড়ে থেমে যেতে পারে না, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন যার মনে, সে কি বিমানে চড়েই শান্তি পাবে? 

ম্যাকডোনাল্ডসে দেখা হলো সোহানের সঙ্গে, আপনাকে অপছন্দ করার ক্ষমতা সোহানের ছিল না। শুধু সোহান কেন, বাংলাদদেশের এগারো কোটি মানুষের মন জয় করবেন আপনি ক'দিন পরেই, সেটা তো নিয়তি লিখেই রেখেছিল। সোহান তো এখানে একটা উপসর্গ মাত্র! পাঁচটা সিনেমার কপিরাইট সোহানের হাতে, প্রিয় সিনেমা 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' বেছে নিলেন আপনি কোন দ্বিধা ছাড়াই। ছাব্বিশবার দেখা সিনেমাটায় ভোট দেবেন আপনি, এটাও অদৃশ্য কোন এক জগত থেকে ঠিক করে রাখা ছিল হয়তো। খুলনায় একই স্কুলে আপনার সহপাঠী ছিলেন মৌসুমি, রঙিন পর্দায় তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেই পা রাখলেন চলচ্চিত্রের এই চাকচিক্যময় জগতে। 

ঈদের দিন মুক্তি পেল সিনেমাটা। পরিচালক সোহান ঘুরছেন হলগুলোতে, নতুন নায়কের সিনেমা দেখার ব্যপারে খুব বেশী আগ্রহ নেই দর্শকের। সোহানের একটু মন খারাপ হলো, তিনি তো জানেন এই ছবির পেছনে তার নিজের, আপনাদের কত কষ্ট, কত শ্রম আর কি পরিমাণ স্বপ্ন মিশে আছে। ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে বসলেন সোহান, বিকেলের শো শুরু হলো। সোহান ডুব দিলেন নিজের বানানো সিনেমায়, চেনা গল্পে, পরিচিত মানুষগুলোকেই অন্যরকমভাবে আবিষ্কার করলেন যেন রঙিন পর্দায়, সোহান ভুলে গেলেন এই সিনেমার পরিচালক তিনিই! অথচ সিনেমা নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যথা নেই, ব্যবসা ভালো করলো কি মন্দ, সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায় আপনার! বাইক নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ফাঁকা রাস্তায় ছুটে বেড়ানোতেই আপনার নেশা! 

তার মতো সুদর্শন নায়ক খুব কম এসেছেন বাংলা চলচ্চিত্রে

অভিরুচি সিনেমা হলের মালিকের আমন্ত্রণে 'কেয়ামত থেকে কেয়ামতে'র পুরো টিম গেল বরিশাল, সোহান জোর করে ধরেবেঁধে নিয়ে গেলেন আপনাকেও। লঞ্চে করে গেলেন আপনারা, বরিশাল লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখলেন নামার উপায় নেই, লাখের ওপরে মানুষ জড়ো হয়েছে সেখানে। তারা পর্দায় দেখা রাজ আর রেশমিকে কাছে থেকে দেখতে চায়, কেউবা একটু ছুঁয়ে দেখতে চায়। ততদিনে ইমন নামটা হারিয়ে গেছে আপনার, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নতুন নাম দিয়েছে আপনাকে, 'সালমান শাহ'! 

নিজের জনপ্রিয়তা কি তখন অনুভব করতে পারছিলেন আপনি, বরিশালের লঞ্চঘাটে দাঁড়িয়ে? বুঝতে পারছিলেন কি, একটা সিনেমায় অভিনয় করেই কি লঙ্কাকাণ্ডটা বাঁধিয়ে দিয়েছেন? একটামাত্র সিনেমা, এক 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' আপনাকে বাউন্ডুলে এক তরুণ থেকে সুপারস্টার বানিয়ে দিলো, সোহানের সঙ্গে দেখা করার আগে এমনটা কল্পনা করেছিলেন আপনি? 

এরপর শুরু হলো একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দেয়া। মৌসুমির সঙ্গে 'অন্তরে অন্তরে', 'দেনমোহর' আর 'স্নেহ' করলেন, তারপর শাবনূরের সঙ্গে আপনার জুটি। সবাই লুফে নিল আপনাদের দুজনকে। 'সুজন সখী' এলো, 'বিক্ষোভ', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'মহামিলন', 'বিচার হবে', 'তোমাকে চাই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'আনন্দ অশ্রু'- একের পর এক দর্শনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়ে গেল আপনাদের জুটি। পর্দায় আপনাদের দেখে দর্শক হেসেছে, 'এই ঘর এই সংসার', 'সত্যের মৃত্যু নাই' কিংবা 'আনন্দ অশ্রু'র মতো সিনেমায় ইমোশনাল দৃশ্যে দর্শকের চোখে পানি জমেছে হরহামেশাই। নায়িকার সঙ্গে পর্দায় আপনার রোমান্স দেখে হলে শীষ পড়েছে একটানা, আপনার সিনেমার গান মানেই ছিল অন্যরকম কিছু, একই শিল্পীরা সমসাময়িক অন্যান্য নায়কের সিনেমাতেও গান গাইছেন, অথচ তাদের কণ্ঠে আপনি ঠোঁট মেলালেই গান হয়ে যাচ্ছে সুপারহিট! অদ্ভুত না? 

আপনার ইগো ছিল, রাগ ছিল, অভিমান ছিল, সেই ইগো আর অভিমান থেকে মৌসুমির সঙ্গে সিনেমা করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন একটা সময়ে, যিনি আপনাকে হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন সেই সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে তৈরী হয়েছিল দূরত্ব। অথচ সোহান কিন্ত সাক্ষী দিচ্ছেন, আপনার মতো ভালো মানুষ আর হয় না। নতুন গাড়ি কিনে তাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন, ওর সঙ্গে আবার সিনেমা করবেন বলে ডেট বের করছিলেন। সোহানকে ওস্তাদ বলে ডাকতেন আপনি; জানেন, সোহান নিজের শিষ্যকে কতটা মিস করেন? 

শাহরুখ খানের সঙ্গে সামমান শাহ, মুম্বাইয়ে তোলা ছবি

ইগো বা রাগের চেয়ে বেশী ছিল আপনার স্টার তকমার পরিচিতি, লোকে আপনাকে সুপারস্টার হিসেবে চিনতো বেশী, সেই স্টার তকমার আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল আপনার অভিনয়প্রতিভার কথা। লোকে আপনার চলে যাওয়া নিয়ে যতো কথা বলে, আপনার দারুণ অভিনয় নিয়ে তত কথা হয় না। স্টার হবার বাজে দিক বোধহয় এটিই। স্টাইল আইকনে পরিণত করেছিলেন নিজেকে, শার্টের অর্ধেকটা গুঁজে রেখে বাকীটা বের করে রাখাও যে আলাদা একটা স্টাইল হতে পারে, সেটা আপনিই করে দেখিয়েছিলেন প্রথম। আপনি মাথায় হ্যাট চড়ান, চোখে দেন রোদচশমা, শার্টের দুটো বোতাম খোলা, আপনার ঠোঁটের কোনায় সিগারেট- সবকিছুই স্টাইল হয়ে যায়! 

সিনেমাপাড়ায় সেই সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা আপনি, একটা নাটকে অভিনয় করতে এসেছেন, আপনার বিপরীতে আছেন তানভীন সুইটি, তাঁকে আপনি বললেন, "আমাকে স্টার না ভেবে কো আর্টিস্ট ভাবুন, কাজটা সোজা হয়ে যাবে।" এমন সরলতাও আপনার ভেতরে বসত করতো, তার খোঁজ তো খুব বেশী মানুষ পায়নি! চার বছরে সাতাশটা সিনেমা, কত ছোট্ট আপনার যাত্রা, মাত্র চারটে বছর! অথচ আপনি চলে যাবার একুশ বছর বাদেও লোকে নায়ক বলতে সালমান শাহ'কেই চেনে! এই বঙ্গে আপনার মতো হ্যান্ডসাম নায়ক কবে এসেছে বলুনতো? একই সিনেমায় হিউমার দিয়ে দর্শক হাসানো, রোমান্টিকতা দিয়ে আবেশে জড়ানো আর আবেগ দিয়ে কাঁদানো- এমনটা নায়করাজের পর আপনি ছাড়া আর কে করেছে বলুন? লোকে আপনাকে ভালোবাসবে না কেন? 

সমসাময়িক আরো নায়কেরা ছিলেন, অনেকেই সিনিয়র, কেউ নতুন উঠে আসছেন, তাদের সঙ্গে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল না। নিজের সময়ে আপনি ছিলেন নিজেরই প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিটা সিনেমায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া, আগের প্রতিভাকে ছাপিয়ে যাওয়ার বাসনাটা থাকতো আপনার মধ্যে। সিনেমা কত ব্যবসা করেছে, প্রযোজকের পকেটে কত ঢুকেছে সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর মানুষ আপনি ছিলেন না। প্রথম সিনেমা 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশী আয় করা সিনেমাগুলোর তালিকায় সেরা পাঁচে, এই নিয়ে কখনও আলাদা ভাবান্তর হয়নি আপনার মধ্যে। সালমান শাহে'র নামের পাশে এমন রেকর্ড থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক! 

ছিয়ানব্বইয়ের একুশে সেপ্টেম্বরের দিনটা অদ্ভুত এক বিষাদ বয়ে এনেছিল আমাদের চলচ্চিত্রের ছোট্ট জগতটার জন্যে। বাতাসে কষ্টের রেণু উড়ে এসে জানিয়েছিল সালমান শাহ আর নেই, সালমান শাহ মরে গেছেন! সালমান শাহ নামের মানুষটাকে আর সিনেমায় দেখা যাবে না, পর্দায় নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করতে আর কেউ দেখবে না তাঁকে! আপনি ছিলেন অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে, সফলতায়, পারদর্শীতায়, কিংবা সময়ের বিচারেও। সেই আপনি যখন হুট করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে, কিংবা আপনাকে কেউ জোর করে পাঠিয়ে দিলো সেখানে, ইন্ডাস্ট্রিটা খালি হয়ে গেল অনেকটা। 

সালমান শাহ চলে গেছেন, রেখে গেছেন শূন্যতা

কিছু শূন্যতা কখনও পূরণ হবার নয়, সিলেটের ইমন নামের সেই ছেলেটা, এফডিসি যাকে সালমান শাহ নাম দিয়েছিল, তার অভাব তো কেউ একুশ বছরেও পূরণ করতে পারেনি! একশো বছরেও কেউ পারবে না! আপনার মৃত্যু নিয়ে কত নাটক হলো। আত্মহত্যা নাকি হত্যা, এই নিয়ে সরগরম মিডিয়া। কত প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি, খ্যাতির চূড়ায় থেকে কেন একজন মানুষ আত্মহত্যা করবেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যায়নি কেউ, বলেছে অবান্তর সব কথাবার্তা। আদালতে গড়িয়েছে মামলা, বিচারের বাণী কেঁদে মরেছে নিভৃতে, অভিযুক্তরা সব বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়িয়েছে, আপনার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, আইনের তথাকথিত লম্বা হাত ছুঁতে পারেনি তাদের! হয়তো আপনার মৃত্যুরহস্যটা আপনার সঙ্গেই মাটিচাপা পড়ে গেছে, কে জানে! 

সিনেমার একজন নায়ক চলে গেছেন না ফেরার দেশে, তাঁর শোকে নিজের জীবনটা উৎসর্গ করে ফেলছে ভক্ত- বাংলা চলচ্চিত্র এই দৃশ্য আগে কখনঈ দেখেনি। আপনার প্রয়াণে এমন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। আমরা জেনেছি, মানুষের কাছে আপনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন, কতটা যত্নের ছিলেন, ছিলেন কতটা ভালোবাসার! আপনি যাদের চেনেন না, জানেন না, হয়তো কখনও দেখাও হতো না জীবনে, সেই মানুষগুলো নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে আপনার শোকে, যে পৃথিবীতে আপনি নেই সেখানে তাঁরাও থাকবেন না সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- ভাবা যায় এমনটা? 

আমাদের বয়েসীরা যখন সিনেমা বুঝতে শিখেছি, তখব আপনি নেই। আপনাকে দেখেছি বিটিভির পর্দায়, শুক্রবার বিকেল তিনটায়। ঘোষিকার মুখে 'শ্রেষ্ঠাংশে সালমান শাহ' শব্দটা শুনলেও বিকেলের খেলা মাথা থেকে হাওয়া হয়ে যেত। চৌদ্দ ইঞ্চি সাদাকালো পর্দায় মাথায় ব্যান্ডানা বাঁধা সালমান শাহকে দেখে প্রেমে পড়তে অসুবিধে হয়নি একটুও। অভিনয় বুঝেছি অনেক পরে, কিন্ত নায়ক সালমান শাহকে চিনে নিতে সমস্যা হয়নি আমাদের। চব্বিশটা বছর পার হয়ে গেছে আপনি নেই, সিনেমাপাড়া এগোয় নি একটুও, পিছিয়েছে চব্বিশ গুণ। 

অথচ আপনি থাকলে হয়তো কলকাতা-কেরালার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারতো ঢালিউড, প্রযোজকেরা চোখ বন্ধ করে লগ্নি করতে পারতেন আপনার ওপর, একটার পর একটা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যেত না, উল্টো বিল্ডিঙের মালিক টপ ফ্লোরে একটা সিনেপ্লেক্স করার কথা ভাবতেন বিল্ডিং তোলার আগেই। এসবই সম্ভব হতো, শুধু আপনি যদি থাকতেন... সালমান শাহ, আপনি দর্শকমনে জেগে থাকা এক বুনো আবেগের নাম, চলচ্চিতজগতের অফুরন্ত এক ভালোবাসার নাম, সেই সঙ্গে সালমান শাহ বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় আক্ষেপেরও নাম! 

*

প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা