শাহরিয়ার আলমের বাসায় চারজনের করোনা শনাক্ত!
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট
- পড়তে সময় লাগবে মিনিট

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসার সহকারী ও নিরাপত্তারক্ষী সহ চারজন। তবে শাহরিয়ার আলমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে...
বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় সবচেয়ে বিচক্ষণ এবং সেন্সিবল মানুষদের তালিকা করলে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নামটা সেখানে ওপরের দিকেই থাকবে। প্রথাগত রাজনীতিবিদদের মতো তিনি বেঁফাস কথাবার্তার মেলা বসান না, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যে বিরোধী দলের দিকে আঙুল তোলেন না। নতুন ভোটার এবং তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করার মতো। প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের অনেক সমস্যা লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি, সেসব উদ্যোগ প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বেশ সক্রিয়। সেখানেই আজ একটা দুঃসংবাদ শোনালেন শাহরিয়ার আলম। তার বাসার সহকারী এবং নিরাপত্তারক্ষী সহ চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে শাহরিয়ার আলম এবং তার পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন-

"করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিলো। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে উঠেনি। অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষেরা পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি।
তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বললো বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরিক্ষা করালাম, নিজের সহ মোট ৯ জনের। ফলাফল এসেছে, মুসা এবং সেই নিরাপত্তাকর্মী সহ মোট ৪ জন পজেটিভ। মানে বাকি দুইজন পজেটিভ হয়েও কোন লক্ষ্মণ নেই। আমরা বাকীরা নেগেটিভ।
গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রুগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে। কাজটা সহজ না হলেও করতে হবে। সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন। ৩-৪ দিন পরে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করানো হবে।

গত দুইমাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করবো সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এইসময় মুলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভাল তো আছেই। এখন আর কথা না বাড়াই। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই।
একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমার বাসার কাউকে দয়াকরে শুধু খোঁজ নেবার জন্য ফোন দিবেন না। তারা সবাই মানসিকভাবে কিছুটা হলেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে খাপখাইয়ে নেবার জন্য ব্যস্ত আছেন। আপনার কোন বার্তা থাকলে তা নিচে লিখে দিতে পারেন অথবা যেকোন মাধ্যমে সরাসরি আমার কাছে। আল্লাহতালা রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের প্রতি সদয় হউন।"