যে সোহেল তাজ নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে কর্মীদের বাঁচাতো, যেই ছেলের বাপটা শুধু বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করবে না বলে এক অন্ধকার জেলের ভেতর মরে পড়ে ছিল ঘাতকের গুলির আঘাতে। আনুগত্যের পরীক্ষা দিতে হবে সেই সোহেল তাজকে?

তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদের সন্তান। তরুনদের কাছে এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং অতি অবশ্যই একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ।

সোহেল তাজ হঠাৎ করে একদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এবং তারপর সংসদ সদস্যের পদ থেকেও সরে গেলেন। ইস্তফার পরেও তাঁর ব্যাংক একাউন্টে সরকারী অর্থ ঢুকবার পর তিনি প্রকাশ্যে সেটির কারন জানতে চেয়েছেন এবং সকল অর্থ রাষ্ট্রকে ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। সোহেল তাজ কেন রাজনীতি ছেড়ে চলে গেলেন এই প্রশ্নটি যদি আপনি করেন তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন অনলাইন বা অফলাইন জগতে এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে কয়েকটি মিথিকাল গল্প প্রচলিত রয়েছে।

গল্পটি কি? এই গল্পটি আসলে এক রৈখিক নয়। মানে দাঁড়ায় গল্পের মুলো ছাঁচ এক হলেও গল্পের পাত্র পাত্রী প্রায়-ই পালটায় এবং ঘটনার নানাবিধ ব্যাতিক্রম ক্রম আমরা লক্ষ্য করি। এই গল্পের নানাবিধ ক্রম আমার কানেও এসেছে। বোধকরি এই গল্প আপনারাও অনেকে শুনেছেন। এই শোনা গল্প বা গুজবের কয়েকটি উদাহরন আমি দিচ্ছি-

(১) শেখ সেলিমের বাসায় সোহেল তাজকে অপমান করা হয়েছে। শেখ সেলিমের বেয়াই, অর্থ্যাৎ শেখ সেলিমের ছেলে শেখ নাঈমের শ্বশুর বি এন পি'র ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সংক্রান্ত একটি ঘটনায় সোহেল তাজ দ্বিমত করেন এবং শেখ সেলিমের আদেশ অমান্য করেন কিংবা বাক বিতন্ডা হয়। এইসময় শেখ সোহেল বা শেখ জুয়েল সোহেল তাজের উপর হাত উঠান। সোহেল তাজ একটি শব্দও না বলে সেখান থেকে চলে আসেন।

(২) শেখ হেলাল সোহেল তাজকে তার বাসায় অপমান করেন কিংবা হাত পর্যন্ত তোলেন।

(৩) শেখ সেলিমের বাসায় নয় কিন্তু অন্য স্থানে কোনো এক কথা কাটাকাটির পর্যায়ে শেখ সোহেল ও শেখ জুয়েল সোহেল তাজের উপর হাত তোলেন।

(৪) শেখ সেলিম খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সোহেল তাজের উপর হাত তোলেন

উপরে বর্ণিত ৪ টি ঘটনা আমি নানাবিধ ব্যাক্তিদের কাছে শুনেছি কিন্তু বিশ্বাস করেছি কিনা, সত্য মনে করেছি কিনা এগুলো নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে উপরের তিনটি ঘটনাকেই আমি মিথ্যে অপঃপ্রচার ও গুজব বলে ধরে নিচ্ছি। কেন আমি গুজব বলে ধরে নিচ্ছি?

সোহেল তাজ

এর কারন আর কিছুই নয়, প্রথম আলো পত্রিকাতে গত ২৪/০৪/২০১২ ইং তারিখে জনাব সোহেল তাজের একটি লেখাতে খোদ সোহেল তাজ নিজেই বলেছেন-

'কথার পেছনে অনেক কথা থাকে। অনেক লুকায়িত সত্য থাকে। যা দেশ, জনগণ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে জনসমক্ষে বলা উচিত নয়। আর তা সম্ভবও নয়। শুধু এটুকু বলি, আমি ‘সংগত’ কারণেই এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি'

কথার পেছনে সোহেল তাজের অনেক কথা রয়েছে। অনেক লুকোনো সত্য রয়েছে এবং দেশ-জনগন-দলের বড় স্বার্থের জন্য এসব লুকায়িত সত্য প্রকাশ থেকে তিনি বিরত ছিলেন। খোদ সোহেল তাজ যেখানে হয়ে যাওয়া ঘটনা নিয়ে চুপ থাকবার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন সেখানে আমাদের মত আম-জনতা এইসব শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল সম্পর্কিত গল্পগুলো নিয়ে মাতামাতি করা হবে 'বাঁশের থেকে কঞ্চি গরম' জাতীয় কাজ। সোহেল তাজের প্রতি সম্মান রেখেই আমি ধরে নিচ্ছি ঘটনার পেছনের ঘটনা আর লুকায়িত সত্য একমাত্র সোহেল তাজ-ই জানেন এবং তিনি প্রকাশ্যে না বলা পর্যন্ত আমাদের সবার কনো গুজব না ছড়ানো হবে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন।

আমার আজকের লেখাটার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। কি সেই উদ্দেশ্য? সোহেল তাজের ফেইসবুক পেইজ কিংবা অনলাইনে তিনি সম্পর্কিত যে কোনো পোস্টে একদল লোক এসে অসম্ভব রকমের 'ইতরামী' কথা বার্তা বলেন। কি সেই ইতরামী কথা-বার্তা?

'আরে সোহেল ভাই আপনি আওয়ামীলীগ ছেড়ে দিসেন। থাকতে তো পারলেন না। বড় বড় কথা বইলেন না"

"ময়দান থেকে পলাইয়া গেসেন এখন আবার বড় কথা, অফ যান"

'আপনি আওয়ামীলীগকে ধারন করতে পারেন নাই। আপনি আসলে আসল আওয়ামীলীগার না'

‘যে বঙ্গবন্ধুর দল থেকে চলে যায় সে ভয় পাইসে। সে আমাদের না’

আমি এসব দেখি আর হাসি। মাঝে মাঝে একটা যন্ত্রণার মতও হয় আমার। এই যন্ত্রণা অব্যক্ত। দেখাতে পারিনা এমন। বোঝাতে পারিনা এমন।

বি এন পি জামাত আমলের একটা ছবি। সোহেলের পরনের পাঞ্জাবি ছিন্ন ভিন্ন হয়েছে পেটোয়া পুলিশের আক্রমণে। দুই হাত দিয়ে সাপের ফনার মত ছোবলের মত তীব্র লাঠির মার ঠেকাচ্ছে সোহেল। শরীর তাঁর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু নেতা আর কর্মীদের মার খেতে দেবে না সোহেল।

আরেকটা ছবি রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে পেটোয়া পুলিশ বাহিনী নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করতে এলে বাজ পাখির মত দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে কর্মীদের গোপন করছে ওই দুই বাহুর নীচে। বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের সোহেল। সব মার সোহেল একাই খাবে কিন্তু কর্মীদের গায়ে যেন একটি আঁচড়-ও লাগতে দেবে না সোহেল।

এই দুটো ছবি আপনারা অনলাইনে অসংখ্যবার দেখেছেন এবং সোহেল কার ছেলে, কোন ঔরসে তাঁর জন্ম, এই দেশের রাজনীতিতে সোহেল ঠিক কতটা অনন্য ছি্লেন এটি সোহেলের অল্প যতটুকু সময় রাজনীতি করেছেন, ততটুকু সময়েই বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশে কোন বাপের ব্যাটা আছে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়? কোন বাপের ব্যাটা আছে যিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেয়? বাপের ব্যাটা রাজনীতিতে ঐ একটাই। সোহেল তাজ। সোহেল তাজ কোনোদিন একটু টূঁ শব্দ করেনি তাঁর এইসব পদ ছাড়বার পেছনের ঘটনা বলে। সেটিও তিনি করেছেন আওয়ামীলীগের দিকে তাকিয়ে। সেটিও তিনি করেছেন দলকে ভালোবেসে। কেননা এইসব ঘটনার পুরোটা প্রকাশ হলে দল বিব্রত হবে, দল বিপদে পড়বে শুধু এইটুকু মনে করে। সেই সোহেল তাজকে নিয়ে আজকে লেখে নাক চাপ দিলে দুধ বের হয় এমন ছেলে-পেলেরা? আজকে এইসব নাবালক ছোকরাদের কাছে সোহেল তাজকে প্রমাণ করতে হবে সোহেল কত বড় আওয়ামীলীগার কিংবা আওয়ামীলীগকে কতটুকু ধারন করেন তিনি?

আজকে বাংলা ইনসাইডারের মত পত্রিকা সোহেলের ‘আওয়ামীলীগত্বের’ পরীক্ষা নেবে? মুখে এখন পর্যন্ত মোছ কিংবা দাড়ির রেখা জন্মায়নি এমন শিশুরা সোহেলের পরীক্ষা নিতে চায়? সোহেলকে আওয়ামীলীগ শেখায়? এই দুঃখ আর যন্ত্রণা আমরা কোথায় রাখি? সোহেল তাজ সমস্ত দুঃখ নিয়ে তাই বলেন-

‘নিজের দলীয় ও তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্টি করা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষের ভালোবাসায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। দুর্ভাগ্য, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আমার কাপাসিয়ার মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোটের চলতে থাকে একের পর এক হামলা, মামলা ও নির্যাতন।

প্রতিবাদে কাপাসিয়ার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিএনপি-জামায়াতের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন আমার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুবলীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন সরকার। পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামাল ফকিরকে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অনশন করতে গিয়ে বারবার পুলিশের নির্মম হামলার শিকার হয়েছি। বস্তুত, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচটি বছর হামলা-মামলা ঠেকাতে আমাকে বেশির ভাগ সময় রাজপথ ও আদালত প্রাঙ্গণে সময় কাটাতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোহেল তাজ

কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেকে জড়াইনি। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে যা আয় হতো, তা দিয়েই চলত আমার রাজনীতি। এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিও বিক্রি করেছি রাজনীতির জন্য। খুব সাদামাটা সাধারণ জীবন যাপন করেছি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ড আমাকে হতাশ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার আমাকে রাজনীতিতে আরও বেশি উৎসাহিত করে, যে ইশতেহারটি ছিল প্রগতিশীল ও দিনবদলের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকার।

আশাবাদী হই একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির। যে সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ পাবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা, উদীচী ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।

বাংলাদেশে হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা—সব মিলিয়ে একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আর তাই যে মন্ত্রণালয় কেউ নিতে চায়নি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম।

এই দায়িত্বটি ছিল শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব অপরিসীম। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্বের অনেকটাই ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আমার সব সময়ই চেষ্টা ছিল, পুলিশ বাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে জনগণের বন্ধু করে তোলা।

মন্ত্রিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত ছিল। কতটুকু পেরেছি বা কেন পারিনি, সে কথায় না গিয়ে শুধু এটুকু বলতে চাই, আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, সব সময় অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সেটা যে-ই করুক না কেন। যতটুকু সম্ভব আমি আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে চেষ্টাও করেছিলাম। সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়াও শুরু করতে সহযোগিতা করেছিলাম'

[ সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৪ এপ্রিল ২০১২]

সোহেল তাজ এই দেশের রাজনীতি থেকে অভিমান হোক কিংবা কষ্ট হোক, মুখ সরিয়ে নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে সামান্যতম বিব্রত না করে তিনি তাঁর মত কাজ করছিলেন। চলে গিয়েছিলেন আমেরিকা। কিন্তু যার শরীরে তাজউদ্দিন আহমদের রক্ত তিনি কি বসে থাকেন শেষ পর্যন্ত? না তিনি বসে থাকেন নি।

দেশে ফিরে শুরু করেছিলেন এক অনন্য বিপ্লব। তরুন আর যুবকদের ফিটনেস যাতে ঠিক থাকে, তাঁদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সর্বপোরি এই দেশের তরুনেরা যাতে সুস্বাস্থ্য নিয়ে এই দেশটাতে সামনে আগায় তাই তিনি শুরু করেছিলেন 'হটলাইন কমান্ডো' নামে একটি অনুষ্ঠান। সেখানেও সেসব নাবালক নব্য আওয়ামী লীগারদের আক্রমণ।

‘হে হে হে হে। রাজনীতি ছাইড়া এখন সোহেল করে বডি বিল্ডিং’

‘আরে রাজনীতিতে চান্স নাই তাই বডি ফডি নিয়া আছে’

‘ইশ, তাজউদ্দিন আহমদের ছেলেটা উচ্ছন্নে গেলো রে’

এইসব সমস্ত ইতরামি গিলে খেয়ে নেয় সোহেল তাজ। কি-ই বা করবেন তিনি? হয়ত এসব দেখেন আর বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। হয়ত ভেতরে এক অজানা বিষাদে কাতরাতে থাকেন। এক অসম্ভব যন্ত্রণায় তিনি চুপ থাকেন সমস্ত নোংরামো কে উপেক্ষা করে। আসলে যে পরিবারে তিনি জন্মেছেন, সে পরিবার তো সারাটা জীবন সহ্য-ই করে গেছে, সারাটা জীবন তো এই পরিবার এই দেশের জন্য নিজেদের বিলীন করে গেছেন। সোহেল তাই চুপ থাকবার পথেই হেঁটেছেন সেই একই লিগেসিতে।

কিন্তু আমরা যারা দূর থেকে এই পুরো ব্যাপারগুলোকে পর্যবেক্ষকের মত দেখি, আমরা যারা এগুলো নিয়ে বিশ্লেষন করি তাঁদের জন্য এই নোংরামো, এই ইতরামী মেনে নেয়া বড় কষ্টের। এই দেশে শেখ সেলিম এক ছেলের বিয়ে বি এন পি’র টুকুর মেয়ের সাথে দিলে দলীয় ভৃত্যরা প্রশ্ন তোলে না, আরেক ছেলেকে মুসা বিন শমশেরের মেয়ের সাথে বিয়ে দিলে প্রশ্ন তোলে না, শেখ হেলালের মেয়েকে বি এন পি’র পার্থের সাথে বিয়ে দিলে প্রশ্ন তোলে না কিংবা 'রাজাকার'-'কাউয়া'-'আউটসাইডার' বলে ট্যাগ করে না কিংবা তাদের ইনট্রেগিটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না।

শুধু সেই ব্লাডি ইন্টেগ্রিটি নিয়া প্রশ্ন তোলা হয় কিংবা কনসিসটেন্সি নিয়া প্রশ্ন তোলা হয় বঙ্গতাজের ছেলের দিকে আঙ্গুল তাক করে!! যে সোহেল নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে কর্মীদের বাঁচাতো, যেই ছেলের বাপটা শুধু বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করবে না বলে এক অন্ধকার জেলের ভেতর মরে পড়েছিলো ঘাতকের গুলির আঘাতে। পরীক্ষা দিতে হয় কিংবা হবে সেই সোহেল তাজকে?

এইসব দেখে রাগে, দুঃখে, ক্রোধে, যন্ত্রণায় মনে হয় গায়েব হয়ে যাই। এই দেশটার নাম আর মুখে না নেই। আর ভেতরে ভেতরে এত কষ্টে না মারা যাই। মাই ফুট!!

*

প্রিয় পাঠক, চাইলে এগিয়ে চলোতে লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই লিংকে ক্লিক করে- আপনিও লিখুন


শেয়ারঃ


এই বিভাগের আরও লেখা