এগিয়ে চলো এক্সক্লুসিভ

মিউজিক এন্ড টেরর- রত্নম ও রহমানের ভালোবাসার দর্শন! (পর্ব ১)

1 / 4

মিউজিক এন্ড টেরর- রত্নম ও রহমানের ভালোবাসার দর্শন! (পর্ব ১)

মিউজিক এন্ড টেরর- রত্নম ও রহমানের ভালোবাসার দর্শন! (পর্ব ১)
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট
  • পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নব্বইয়ের শুরু থেকে ভারত অনেকগুলো রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যেতে শুরু করে। কাশ্মীর বিরোধ, হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, উত্তর-পূর্ব ভারতের স্বাধীনতা চেষ্টা- সবকিছু মিলিয়ে দেশ হিসেবে ভারতকে রিডিফাইন করা প্রয়োজন ছিল। সিনেমা যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশে খুব বড় একটি মাধ্যম, খুব স্বাভাবিকভাবেই তখনকার পরিস্থিতি তুলে আনার চেষ্টা নির্মাতাদের মধ্যে ছিল।

এর মাঝে মণি রত্নম খুব যত্ন নিয়ে তিনটি টপিক সিলেক্ট করলেন। প্রতিটি সঙ্কটকে কেন্দ্র করে একটি ভালোবাসার গল্পকে সে সঙ্কটের ভেতর স্থান দিলেন এবং প্রকাশ করার জন্য সঙ্গী হিসেবে নিলেন সিনেম্যাটোগ্রাফার সন্তোষ শিভান (রোজা ও দিল সে) ও তরুণ মিউজিক কম্পোজার এ আর রহমানকে। রহমান তখন জিঙ্গেল করে বেশ ভালোই নামডাক কামিয়েছিলেন। মণি রত্নমের সিনেমাগুলো দেখলে দর্শক দ্বিধায় পড়ে যাবেন যে এটাকে পলিটিক্যাল ফিল্ম বলবেন নাকি নিটোল প্রেমের গল্প। কারণ দুটো জনরাই তার সিনেমার সাথে যায়। আর এ আর রহমান থাকলে সে সিনেমাকে মিউজিক্যাল বলতেও তো দ্বিধা নেই।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সিনেমা বানাতে চাইলে একজন নির্দেশককে খুব চতুর হতে হয়। কারণ একটু এদিক সেদিক হলেই কোন না কোন গোত্রের, কোন না কোন ধর্মের, কোন না কোন ব্যক্তির অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। মণি রত্নম তার রাজনৈতিক গল্পগুলো বলার জন্য প্রথমেই কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটকে নির্বাচন করলেন। কাশ্মীরের প্রেক্ষাপট নেয়ার প্রধান কারণ তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষ তখনো কাশ্মীরের সাথে অতটা পরিচিত নয়। কাশ্মীরের রাজনীতি তখনও তাদের আকৃষ্ট করে নি। কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য তখনো অনেক ভারতীয়ই চোখ মেলে দেখে নি। কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটে গল্প তৈরি করতে হলে কাশ্মীরের অস্থিরতার বাস্তব রূপকেও দেখাতে হবে।

১৯৯১ সালে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একজন এক্সিকিউটিভকে কাশ্মীরি মিলিট্যান্টরা কিডন্যাপ করলে সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মণি রত্নম গল্প লেখেন ‘রোজা’ সিনেমার। প্রধান চরিত্র সেখানে রোজা, আর অপহৃত হয় তার স্বামী ক্রিপ্টোলজিস্ট ঋষি কুমার। এই অপহরণকে ঘিরে মণি রত্নম কাশ্মীর ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি ছবি আঁকেন।

কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র ফুটে উঠেছে "রোজা" সিনেমায়

সিনেমার শুরুতেই দীর্ঘ মন্টাজের মাধ্যমে আমরা দেখি একটি টেরোরিস্ট গ্রুপ ও পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষ এবং সবশেষে একজন টেরোরিস্টের পাকড়াও হওয়া। সিনেমার শুরুতেই মণি রত্নম নির্দেশ দিয়ে দেন যে এই অস্থিরতাই গল্পের বাঁকবদল করবে। ঋষি কুমার একজন সাদামাটা সরকারি চাকুরে হয়েও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা অটুট। তাই ঘটনাচক্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কোড ব্রেকের জন্য সাহায্য করতে নবপরিণীতা স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীর যাওয়া প্রয়োজন হলেও সে দ্বিধা করে নি। সেখানেই ঋষি কুমার যখন অপহৃত হয়, তখন মণি রত্নম দেখান কাশ্মীরের টেরোরিজমের বাস্তব চিত্র। ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীর আর পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরের লড়াইয়ের মাঝখানে যে সাধারণ কাশ্মীরি জনগণ বাস করে তারাই ন্যায় পাবার জন্য, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পাবার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। এক পক্ষের হয়ে অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রেইনওয়াশড করা একদল টেরোরিস্টকে আমরা দেখি ঋষি কুমারকে জিম্মি করে তাদের সঙ্গী ওয়াসিম খানকে মুক্তি দেয়ার দাবি করে। সে টেরোরিস্ট দলের প্রধান লিয়াকত, তার চোখে মুখে ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ঝরে পড়ে যেন। কিন্তু ঋষি কুমার আবিষ্কার করে তার আশেপাশের এই মানুষগুলো আসলে ব্রেইনওয়াশড। পাকিস্তানের হয়ে লড়াই করলে স্বাধীন ভূখণ্ড পাবো এই দীক্ষায় তারা দীক্ষিত। কিন্তু যখন পাকিস্তান বর্ডার পার হয়ে যাবার সময় টেরোরিস্ট লিডার লিয়াকতের ভাইসহ গ্রামের তরুণ যুবাদের পাক সেনারা হত্যা করে তখন লিয়াকত টের পায় যে তারা আসলে অন্যের হয়ে যুদ্ধ করছে। তারা না ভারতের, না ই বা পাকিস্তানের।

মণি রত্নম টেরোরিজম দেখাতে গিয়ে দেখালেন এক মানবিক গল্প, দেখালেন দেশাত্ববোধ। আজকালকার সিনেমাগুলোর মতো চাইলেই জিঙ্গোইজম দেখাতে পারতেন, দেখাতে পারতেন যে আর্মি-পুলিশ গিয়ে হত্যা করছে টেরোরিস্টদের, আর রক্ষা করছে ভারতকে। কিন্তু তিনি দেখিয়েছেন যে দু পক্ষেরই বলার মতো গল্প আছে। তিনি লিয়াকতকে ভারতপ্রেমী বানিয়ে দেন নি, বরং লিয়াকতের ভেতরকার মানবতার জাগরূক রূপটিকে অনুসন্ধান করেছেন। কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতা যে অস্ত্র দিয়ে থামবে না, দোষারোপ করে শেষ হবে না, বরং এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলেই শান্তি ফিরে আসবে সেটাই বুঝিয়েছেন। দক্ষিণের দর্শক রোজার চোখ দিয়েই আবিষ্কার করেছে কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যও। রোজা না দেখার আগ পর্যন্ত দর্শক দেখতে পায় না কাশ্মীরকে, কাশ্মীরের ভয়ঙ্কর ও সুন্দর রূপকে। মণি রত্নম ও সন্তোষ শিভান সে কাশ্মীরকেই দেখিয়েছেন, জানিয়েছেন পুরো দেশকে যে আলোর পেছনের কালোকেও জানতে হবে।

হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন কিছু নয়। কিন্তু নব্বই পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ের ট্রেন ব্লাস্ট, বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা যেন আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। সে দুঃসহ সময়কে কেন্দ্র করেই মণি রত্নম লিখলেন বম্বের গল্প। বম্বে ফেরত শেখরের হাত ধরে যে গল্পে প্রবেশ। তামিলনাড়ুর এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান শেখরের মুক্তচিন্তা যেন মণি রত্নমের নিজের প্রতিচ্ছবি। হিন্দু-মুসলমান প্রসঙ্গ আসার অনেক আগেই দক্ষিন ভারতের মানুষদের উত্তর ভারতের মানুষদের প্রতি ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিদ্বেষ নির্দেশক নির্দ্বিধায় প্রকাশ করেন শুরুতে।. একটু যেন নির্দেশও করেন যে সামনে কীরকম বৈপরীত্য আসছে। এই বিষয়গুলো যেন ভারতের শত শত বছরের জাতিবিদ্বেষ, বর্ণ বৈষম্য, ধর্ম বৈষম্যকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

ব্রাহ্মণ পরিবারের শেখর প্রেমে পড়ে যায় মুসলমান পরিবারের শায়লা বানুর। শেখর আর শায়লা বানুর ভালোবাসাকে পুঁজি করে মণি রত্নম গল্পের প্রথমভাগে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব তুলে ধরেন আর দ্বিতীয় ভাগে বম্বেতে গিয়ে দেশের ভেতর থাকা দুই দেশের দ্বন্দ্বকে। শেখর গল্পের শুরুতে যখন বারবার বলে ওঠে বম্বে অনেক এগিয়ে গেছে, বম্বেতে গোঁড়ামি নেই, সেগুলোই যেন একের পর এক চপেটাঘাত হয়ে পড়তে থাকে তার গালে গল্পের দ্বিতীয় ভাগে এসে। ট্রেন ব্লাস্ট, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়া নিয়ে পুরো দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে, সবচেয়ে উত্তাল হয় বম্বেই। হিন্দুরা বলছে এই দেশে মুসলমানের জায়গা নেই আর মুসলমানরা বলছে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সাহস করে কীভাবে হিন্দুরা। একে অপরের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, তলোয়ার-ত্রিশূল নিয়ে রক্তাক্ত করা, যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা নেমে আসে সো কল্ড আধুনিক বম্বেতে। মণি রত্নম এই অস্থিরতার পুরোটাই দেখিয়েছেন শেখর আর শায়লার চোখ থেকে। যারা নিজেরা একটা সেকুলার জীবন যাপন করছিল, দুই সন্তানের নামও রেখেছিল কমল বশীর আর কবির নারায়নন।

সে সময় পুলিশ ও মিডিয়ার নির্বিকার রূপের ঝলকও দেখিয়েছেন মাঝে মাঝেই নির্দেশক। মণি রত্নম এই সিনেমাজুড়ে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন, হিন্দু-মুসলমানের অনর্থক লড়াইয়ের যে বীভৎসতা দেখিয়েছেন সেটি থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন শেখর ও শায়লার পিতৃদ্বয়ের মাধ্যমে। নারায়না আর বশীর যেভাবে নিজেদের সকল বিভেদ ভুলে একে অপরকে আপন করে নিয়ে এক ঘরে থাকে সেভাবে ভারতের হিন্দু মুসলিমকেও একীভূত হতে হবে। তাহলে এই কলহ, এই বিভেদ কিছু দিয়েই আর তাদের আলাদা করা যাবে না। তবে কবে সে একতা আসবে সেটি বোধহয় আজ অব্দিও কেউ জানে না।

সিনেমার নাম বম্বে

হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, কাশ্মীর ইস্যু, ইন্দো-চীন সঙ্কটের মাঝে কখনো সেভাবে উঠে আসে না উত্তর-পূর্ব ভারতের অস্থিরতা। অথচ সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্বাধীনতার জন্য ভারতের এই অংশটাই লড়াই করে যাচ্ছে। মাত্র ১৪ মাইল প্রস্থের শিলিগুড়ি করিডোরের মাধ্যমে যুক্ত থাকা ৯ টি রাজ্যকে ভারত সরকার কখনোই দেয় নি অটোনমি, স্বাধীনতা তো দূরের কথা। বছরের পর বছর ধরে ভারত সরকার, সেনাবাহিনীর সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে চলছে এই অঞ্চলের লাখো মানুষ। কেউ কেউ সন্ত্রাসবাদকেও উসকে দিচ্ছে সেসব অঞ্চলে। এই অস্থিরতাকেই মণি রত্নম সঙ্গী করেছেন তার দিল সে সিনেমায়। তার প্রথম হিন্দি ভাষার সিনেমা, ব্রড অডিয়েন্সের কাছে এই সাবজেক্টকে পৌঁছে দেবার জন্যই হয়তো।

অল ইন্ডিয়া রেডিওর অমরের সাথে দর্শকরাও যেন বারাক ভ্যালি এক্সপ্রেসে করে চলে যায় আসামের শিলচরে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে সেখানকার মানুষের অনুভূতি, আবেগ জানার জন্য যাওয়া অমর মূলত ফেরত নিয়ে আসে একরাশ অভিযোগ, অনুযোগ আর ক্ষোভকে। এমনকি এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপের প্রধান এক সাক্ষাৎকারে তাকে সাফ জানিয়ে দেয় এই অঞ্চলের দারিদ্রতা আর হিউম্যান রাইট ভায়োলেশনের কারণ ভারতের সরকারই। তারাই এ অঞ্চলের উন্নতির জন্য কোন খরচ করে না এমনকি দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা সরকারের সাথে কোনপ্রকার আলোচনায় বসতেও রাজি নয়। এ থেকেই বোঝা যায় যে কী পরিমাণ ক্ষোভ জমা হয়ে আছে সেখানকার মানুষের মাঝে।

আমরা এই সিনেমায় দেখা পাই মেঘনার। এক রহস্যময় চরিত্র, প্রথম থেকেই বোঝা যায় এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপের অংশ মেঘনা। দর্শকের কাছে ঠিকই খোলাসা করা হয়, অমর না জানলেও। ছোটবেলায় অমানবিক সহিংসতার শিকার হয় সে ও তার পরিবার, তখন থেকেই প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে সে। মেঘনা ও তার আরও কিছু সহযোগীকে আমরা দেখতে পাই দিল্লীতে। মণি রত্নম চোখে আঙুল দিয়ে দেখান দর্শককে যে একটি অঞ্চলের মানুষ কতোটা কোণঠাসা ও পরে গিয়ে ব্রেইনওয়াশড হলে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে এসে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আত্মঘাতী বোমা হামলা করতে পারে। সরকারের সাথে দেশের সাধারণ প্রান্তিক মানুষদের দূরত্ব, সিবিআই-পুলিশ-সেনাবাহিনীর সরাসরি টেরোরিস্ট হিসেবে ট্রিট করা ও দেশের অঞ্চলভেদে মানুষের মাঝে বৈষম্য সবই উঠে আসে দিল সে সিনেমায়।

মণি রত্নম খুব যত্ন করে নিখুঁত বুননে এই তিনটি সিনেমার মধ্যে দিয়ে ভারতের একটি মানচিত্র এঁকেছেন। যে মানচিত্রে কাশ্মীর আছে, তামিলনাড়ু আছে, বম্বে আছে, আসাম আছে, দিল্লীও আছে। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ সবগুলো অংশকেই জোড়া লাগিয়েছেন মণি রত্নম, কিন্তু সে জোড়াটা রক্ত দিয়ে। একই দেশের মানুষ কীভাবে রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় ও জাত বিদ্বেষকে পুঁজি করে একে অন্যের রক্তে হাত ভেজাচ্ছে, দেশকে রক্তাক্ত করছে সে চিত্র এঁকেছেন। মণি রত্নম চাইলে তার এই তিন সিনেমায় কেবল এই অস্থিরতার গল্পই বলে যেতে পারতেন। কিন্তু এই অস্থিরতার মাঝে স্বস্তিও খুঁজে নিয়েছেন তিনি। এই স্বস্তি খুঁজেছেন ভালোবাসার মধ্যে। রোজা, বম্বে ও দিল সে এই তিন সিনেমাতেই ভালোবাসার যে কোমল রূপ তিনি দেখিয়েছেন সেটি যেন এই অশান্ত সাগরকে নিমিষেই শান্ত করে দিতে পারে। পরের পর্বে আলোচনা করছি এই তিন সিনেমার ভালোবাসার গল্প নিয়ে। যে ভালোবাসায় সিক্ত হবে মন, আর্দ্র হবে চোখ।

চলবে...

শেয়ারঃ


মিউজিক এন্ড টেরর- রত্নম ও রহমানের ভালোবাসার দর্শন!